ঢাকা ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরীগঞ্জে কুশিয়ারার তীরে উদ্ধারকৃত মস্তকবিহীন লাশের দাফন সম্পন্ন  গ্রাহক সেজে সাভার বিআরটিএ কার্যালয়ে দুনীতি দমন কমিশন দুদক অফিসারের অভিযান সাউন্ড থেরাপির উপকারীতা সত্যিই চমকে যাওয়ার মতোই বেক্সিমকো শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ মেংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের নির্বাচন বানচালে সক্রিয় আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন হুমকি দেওয়া বিমানের সেই ফ্লাইটে তল্লাশি চালিয়ে যা জানাল কর্তৃপক্ষ মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের খরচ নিয়ে সুখবর কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র সহ ০২ জন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আটক মোংলায় জমি জমার বিরোধের জেরে সংঘর্ষ আহত ৩ কালিয়াকৈরে উঠান বৈঠক ও বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত

যশোরে তিন বছরে বিষাক্ত স্পিরিট পানে মৃত্যু ১৯

যশোর প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪১:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ২১৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

যশোরে মাদকের নীল ছোবলে যুবসমাজ ধ্বংসের মুখে। সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় খুব সহজেই হাতের নাগালে মিলছে ভয়ংকর সব মাদক।আলোর পথ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে প্রজন্ম। ইথাইল অ্যালকোহলের ৯৫.৬% জলীয় দ্রবণকে রেকটিফাইড স্পিরিট (Rectified spirit) বলে। এতে ৪.৪% পানি থাকে। ডাক্তারি কাজে পচন নিবারক ও জীবাণুনাশক হিসাবে রেকটিফাইড স্পিরিট ব্যবহার করা হয়।তুলনামূলকভাবে সহজলভ্য হওয়ায় হোমিওপ্যাথি দোকান ও চোরাই পথে আসা বিষাক্ত স্পিরিট পানে (নেশাজাতীয় দ্রব্য) গত তিন বছরে যশোরে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়েছে কয়েকশ ।

জানা গেছে, গত ২৫ জানুয়ারি রাতে যশোর সদরের আবাদ কচুয়া গ্রামের একটি বাগানে এই গ্রামের ইসলাম হোসেন, আবুল কাশেম ও জাকির হোসেন এবং সিতারামপুর গ্রামের বাবলু হোসেন ও রিপন হোসেনসহ ২৪ জন নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করেন। এর মধ্যে ৩ জন মারা গেছে। বাকীরা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এদের বেশিরভাগ বিষাক্ত মদপানে অসুস্থ হয়ে মারা যান। আর এ মদ তৈরি হয় রেকটিফাইড স্পিরিটের সঙ্গে বিভিন্ন উপকরণ মিশিয়ে। যশোরে বেশ কয়েকটি চক্র এরসঙ্গে জড়িত। যশোরের হোমিওপ্যাথিক দোকান ও ঢাকার মিডফোর্ড থেকে চক্রটি এ রেকটিফাইড স্পিরিট সংগ্রহ করে। প্রশাসনের অভিযানে মাঝে মধ্যে এ মদ ও রেকটিফাইড স্পিরিটের দু-একটি চালান ধরা পড়লেও সাধারণ সময়ে বেচাকেনা হয় অহরহ। কিন্তু এ মদ যখন বিষাক্ত হয়ে যায় তখনই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

এরআগে ২০২০ সালের ১৭ জুন যশোরের ঝিকরগাছায় নেশাজাতীয় দ্রব্য পানে রাজাপুর গ্রামের হাবিল গাজী ও নুর ইসলাম খোকা, বর্নি গ্রামের ফারুক হোসেন, হাজিরালী গ্রামের আসমত আলী, পুরন্দরপুর গ্রামের হামিদুর রহমান এবং ঋষিপাড়ার নারায়ণের মৃত্যু হয়।

একই বছরের ২৫ ও ২৬ এপ্রিল নেশাজাতীয় দ্রব্য পানে মৃত্যু হয় ১০ জনের। যশোর সদর উপজেলার শেখহাটি কালীতলা এলাকার শাহিন, যশোর শহরের বেজপাড়ার নান্নু, শহরতলির ঝুমঝুমপুর মান্দারতলার ফজলুর রহমান, শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের মনিবাবু, ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের সাবু, যশোর শহরের বারান্দি মোল্যাপাড়ার বাসিন্দা মদের দোকানের কর্মচারী আব্দুর রশিদ, চুড়ামনকাটির ছাতিয়ানতলার আক্তারুজ্জামান, ঝিকরগাছার কাটাখালী গ্রামের সাহেব আলী, মণিরামপুরের মোহনপুর গ্রামের মোমিন ও মোহনপুরের মুক্তার আলী মারা যান।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালক হুমায়ুন কবির বলেন,
হোমিওপ্যাথিক ওষুধের দোকানসহ যেসব উৎস থেকে রেকটিফাইড স্পিরিট সংগ্রহের সুযোগ আছে, সেসব জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

যশোরে তিন বছরে বিষাক্ত স্পিরিট পানে মৃত্যু ১৯

আপডেট টাইম : ০৬:৪১:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

যশোরে মাদকের নীল ছোবলে যুবসমাজ ধ্বংসের মুখে। সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় খুব সহজেই হাতের নাগালে মিলছে ভয়ংকর সব মাদক।আলোর পথ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে প্রজন্ম। ইথাইল অ্যালকোহলের ৯৫.৬% জলীয় দ্রবণকে রেকটিফাইড স্পিরিট (Rectified spirit) বলে। এতে ৪.৪% পানি থাকে। ডাক্তারি কাজে পচন নিবারক ও জীবাণুনাশক হিসাবে রেকটিফাইড স্পিরিট ব্যবহার করা হয়।তুলনামূলকভাবে সহজলভ্য হওয়ায় হোমিওপ্যাথি দোকান ও চোরাই পথে আসা বিষাক্ত স্পিরিট পানে (নেশাজাতীয় দ্রব্য) গত তিন বছরে যশোরে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়েছে কয়েকশ ।

জানা গেছে, গত ২৫ জানুয়ারি রাতে যশোর সদরের আবাদ কচুয়া গ্রামের একটি বাগানে এই গ্রামের ইসলাম হোসেন, আবুল কাশেম ও জাকির হোসেন এবং সিতারামপুর গ্রামের বাবলু হোসেন ও রিপন হোসেনসহ ২৪ জন নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করেন। এর মধ্যে ৩ জন মারা গেছে। বাকীরা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এদের বেশিরভাগ বিষাক্ত মদপানে অসুস্থ হয়ে মারা যান। আর এ মদ তৈরি হয় রেকটিফাইড স্পিরিটের সঙ্গে বিভিন্ন উপকরণ মিশিয়ে। যশোরে বেশ কয়েকটি চক্র এরসঙ্গে জড়িত। যশোরের হোমিওপ্যাথিক দোকান ও ঢাকার মিডফোর্ড থেকে চক্রটি এ রেকটিফাইড স্পিরিট সংগ্রহ করে। প্রশাসনের অভিযানে মাঝে মধ্যে এ মদ ও রেকটিফাইড স্পিরিটের দু-একটি চালান ধরা পড়লেও সাধারণ সময়ে বেচাকেনা হয় অহরহ। কিন্তু এ মদ যখন বিষাক্ত হয়ে যায় তখনই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

এরআগে ২০২০ সালের ১৭ জুন যশোরের ঝিকরগাছায় নেশাজাতীয় দ্রব্য পানে রাজাপুর গ্রামের হাবিল গাজী ও নুর ইসলাম খোকা, বর্নি গ্রামের ফারুক হোসেন, হাজিরালী গ্রামের আসমত আলী, পুরন্দরপুর গ্রামের হামিদুর রহমান এবং ঋষিপাড়ার নারায়ণের মৃত্যু হয়।

একই বছরের ২৫ ও ২৬ এপ্রিল নেশাজাতীয় দ্রব্য পানে মৃত্যু হয় ১০ জনের। যশোর সদর উপজেলার শেখহাটি কালীতলা এলাকার শাহিন, যশোর শহরের বেজপাড়ার নান্নু, শহরতলির ঝুমঝুমপুর মান্দারতলার ফজলুর রহমান, শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের মনিবাবু, ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের সাবু, যশোর শহরের বারান্দি মোল্যাপাড়ার বাসিন্দা মদের দোকানের কর্মচারী আব্দুর রশিদ, চুড়ামনকাটির ছাতিয়ানতলার আক্তারুজ্জামান, ঝিকরগাছার কাটাখালী গ্রামের সাহেব আলী, মণিরামপুরের মোহনপুর গ্রামের মোমিন ও মোহনপুরের মুক্তার আলী মারা যান।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালক হুমায়ুন কবির বলেন,
হোমিওপ্যাথিক ওষুধের দোকানসহ যেসব উৎস থেকে রেকটিফাইড স্পিরিট সংগ্রহের সুযোগ আছে, সেসব জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে।