ঢাকা ০১:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরীগঞ্জে কুশিয়ারার তীরে উদ্ধারকৃত মস্তকবিহীন লাশের দাফন সম্পন্ন  গ্রাহক সেজে সাভার বিআরটিএ কার্যালয়ে দুনীতি দমন কমিশন দুদক অফিসারের অভিযান সাউন্ড থেরাপির উপকারীতা সত্যিই চমকে যাওয়ার মতোই বেক্সিমকো শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ মেংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের নির্বাচন বানচালে সক্রিয় আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন হুমকি দেওয়া বিমানের সেই ফ্লাইটে তল্লাশি চালিয়ে যা জানাল কর্তৃপক্ষ মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের খরচ নিয়ে সুখবর কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র সহ ০২ জন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আটক মোংলায় জমি জমার বিরোধের জেরে সংঘর্ষ আহত ৩ কালিয়াকৈরে উঠান বৈঠক ও বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত

চিড়িয়াখানা কর্মীকে হত্যা করে পালাল বাঘ!

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৫:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৩৮৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

ইন্দোনেশিয়ার বোর্নিও দ্বীপের একটি চিড়িয়াখানা থেকে বিপন্ন প্রজাতির দুটি সুমাত্রা বাঘিনী পালিয়ে গেছে। এদের হামলায় চিড়িয়াখানার এক কর্মী নিহত হয়েছেন।

কয়েক দিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধস হলে সিনকা চিড়িয়াখানার বাঘের খাঁচাটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একপর্যায়ে ১৮ মাস বয়সী বাঘ দুটি পালিয়ে যায় বলে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ট্রাঙ্কুইলাইজার (চেতনানাশক) তীর ছুড়ে একটি বাঘকে ধরা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু অন্যটি আক্রমণাত্মক আচরণ করায় গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে। এর আগে, ওই বাঘটিকে চেতনানাশক তীর ছুড়ে শান্ত করার চেষ্টা করা হলেও সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয় বলে জানানো হয়।

বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা আরো জানায়, শুক্রবার রাতে বাঘের খাচার কাছে চিড়িয়াখানার ৪৭ বছর বয়সী এক কর্মীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার শরীরে কামড়ের ক্ষত এবং আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাঘ দুটি পালিয়ে যাওয়ার সময় তার ওপর হামলা করে, এতে তিনি নিহত হয়। এ ছাড়া ওই খাঁচার কাছাকাছি একটি উট পাখি এবং একটি বানরসহ বেশ কয়েকটি মৃত প্রাণীও পাওয়া যায়।

বাঘ দুটি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পশ্চিম কালিমন্টানের সিঙকাওয়াং শহরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। কাছাকাছি থাকা আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় পুলিশ এবং লোকজনকে বাড়িতে থাকতে বলা হয়। বন কর্মকর্তারা প্রাণীকে দুটিকে জীবন্ত ধরার আশা করলেও একটি বাঘের ওপর গুলি চালাতে বাধ্য হন বলে জানান।

স্থানীয় সংরক্ষণ সংস্থার প্রধান সাদাতা নূর আদিরামন্ত এএফপিকে বলেছেন, “আমরা বাঘটিকে জীবিত অবস্থায় ধরার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। প্রথমে একটি ট্রাঙ্কুইলাইজার বন্দুক দিয়ে চেষ্টা করেছি কিন্তু এটি কাজ করেনি, তাই মানুষের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে আমরা বাঘটিকে গুলি করতে বাধ্য হই। কারণ বাঘটি খুবই আক্রমণাত্মক আচরণ করেছিল”।

বেঁচে যাওয়া বাঘটিকে চিড়িয়াখানায় ফিরিয়ে নিতে একটি খাঁচা প্রস্তুত করা হয়েছে। সেটার ভেতরে এমন অনেক প্রাণী রাখা হয়েছে যেন বাঘটি সেগুলো শিকার করে খাওয়ার লোভে ভেতরে প্রবেশ করে।

সুমাত্রা বাঘ বিপন্ন হয়ে পড়েছে, বনের ভেতরে এই প্রজাতির বাঘের সংখ্যা ৪০০টিরও কম করে ধারণা করা হচ্ছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চিড়িয়াখানা কর্মীকে হত্যা করে পালাল বাঘ!

আপডেট টাইম : ০৬:৩৫:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

ইন্দোনেশিয়ার বোর্নিও দ্বীপের একটি চিড়িয়াখানা থেকে বিপন্ন প্রজাতির দুটি সুমাত্রা বাঘিনী পালিয়ে গেছে। এদের হামলায় চিড়িয়াখানার এক কর্মী নিহত হয়েছেন।

কয়েক দিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধস হলে সিনকা চিড়িয়াখানার বাঘের খাঁচাটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একপর্যায়ে ১৮ মাস বয়সী বাঘ দুটি পালিয়ে যায় বলে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ট্রাঙ্কুইলাইজার (চেতনানাশক) তীর ছুড়ে একটি বাঘকে ধরা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু অন্যটি আক্রমণাত্মক আচরণ করায় গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে। এর আগে, ওই বাঘটিকে চেতনানাশক তীর ছুড়ে শান্ত করার চেষ্টা করা হলেও সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয় বলে জানানো হয়।

বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা আরো জানায়, শুক্রবার রাতে বাঘের খাচার কাছে চিড়িয়াখানার ৪৭ বছর বয়সী এক কর্মীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার শরীরে কামড়ের ক্ষত এবং আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাঘ দুটি পালিয়ে যাওয়ার সময় তার ওপর হামলা করে, এতে তিনি নিহত হয়। এ ছাড়া ওই খাঁচার কাছাকাছি একটি উট পাখি এবং একটি বানরসহ বেশ কয়েকটি মৃত প্রাণীও পাওয়া যায়।

বাঘ দুটি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পশ্চিম কালিমন্টানের সিঙকাওয়াং শহরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। কাছাকাছি থাকা আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় পুলিশ এবং লোকজনকে বাড়িতে থাকতে বলা হয়। বন কর্মকর্তারা প্রাণীকে দুটিকে জীবন্ত ধরার আশা করলেও একটি বাঘের ওপর গুলি চালাতে বাধ্য হন বলে জানান।

স্থানীয় সংরক্ষণ সংস্থার প্রধান সাদাতা নূর আদিরামন্ত এএফপিকে বলেছেন, “আমরা বাঘটিকে জীবিত অবস্থায় ধরার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। প্রথমে একটি ট্রাঙ্কুইলাইজার বন্দুক দিয়ে চেষ্টা করেছি কিন্তু এটি কাজ করেনি, তাই মানুষের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে আমরা বাঘটিকে গুলি করতে বাধ্য হই। কারণ বাঘটি খুবই আক্রমণাত্মক আচরণ করেছিল”।

বেঁচে যাওয়া বাঘটিকে চিড়িয়াখানায় ফিরিয়ে নিতে একটি খাঁচা প্রস্তুত করা হয়েছে। সেটার ভেতরে এমন অনেক প্রাণী রাখা হয়েছে যেন বাঘটি সেগুলো শিকার করে খাওয়ার লোভে ভেতরে প্রবেশ করে।

সুমাত্রা বাঘ বিপন্ন হয়ে পড়েছে, বনের ভেতরে এই প্রজাতির বাঘের সংখ্যা ৪০০টিরও কম করে ধারণা করা হচ্ছে।