রমেক হাসপাতালে পরিচালকের দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

- আপডেট টাইম : ০৪:০৮:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩
- / ১৪১ ৫০০০.০ বার পাঠক
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক শরিফুল হাসান এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রমেক চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারীরা।
বিক্ষোভ মিছিলে পরিচালকের দ্রুত অপসারণ চান কর্মচারীরা।রোববার (২২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় মেডিকেল চত্বরে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির (১৬-২০) এর সভাপতি শাহীনুর ইসলাম শাহীন এর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান নয়ন।
বক্তব্যে তিনি বলেন আমাদের হাসপাতাল ৫০০ শয্যা থেকে এক হাজার শয্যা হয় আর একই কর্মচারী দিয়ে অত্র হাসপাল পরিচালনা করে আসছেন। দীর্ঘ দিন ধরে নিয়োগ না থাকায় কর্মচারীর মৃত্যু জনিত ও রিটায়ার্ড এর কারনে বর্তমান এ হাসপাতালে কর্মচারী নেই বললে চলে।
এই কারনে গত তিন মাস আগে আউট সোসিং এর নিয়োগ আসেন।এই নিয়োগ এর জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
সেই কমিটির ৬ জনেই যে প্রতিষ্ঠান ১০০ নম্বর পেয়েছেন তাকে মনোনীত করেছেন।
কিন্তু এই পরিচালক তার নিজ স্বার্থে জন্য যে প্রতিষ্ঠান ৬৮ নাম্বার পেয়েছেন তাকে এই ডেন্ডার দেওয়ার পায় তারা করে রিটেন্ডার ঘোষণা করেছেন। পরিস্কার পরিস্নন্ন কর্মচারী ৩০০ থেকে ছাটাই করে ১৫০ জন নিয়ে এসেছেন। সরকারী অফিস টাইম-সকাল ৮ থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট প্রযর্ন্ত। অথচ এই পরিচালক নিজ ইচ্ছায় বিকেল তিন টায় অফিস এসে
মধ্য রাত অবধী বহিরাগত লোক জন নিয়ে অফিস করেন। আমরা কিছু বলতে গেলে তিনি আমাদের পুলিশে ধরিয়ে দিবেন এবং বদলি করে দিবেন হুমকি প্রদান করেন সব সময়।
এছাড়াও দুই কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছেন মেডিকেল চত্তরে ফুলের গাছ লাগানোর জন্য।
অথচ হাসপালে মেশিনপত্র বিকল হয়ে পড়ে আছে। এই পরিচালকের দ্রুত অপসারণ চান কর্মচারীরা।এছারাও বক্তব্য রাখেন জেলা শাখার সভাপতি খান বাবু,
রংপুর মেডিকেল কলেজ চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এসময় রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সভাপতি শাহীনুর ইসলাম শাহীন জানান, পরিচালক দায়িত্বে আসার পর থেকেই নানা অজুহাতে কর্মচারীদের ওপর অত্যাচার চালিয়ে আসছে, সেই সঙ্গে লাগামহীন দুর্নীতি করছেন তিনি। কোনো বিষয়ে প্রতিবাদ করলেই ট্রান্সফার আর চাকরিচ্যুতের ভয় দেখান। পরে কর্মচারীরা রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরিচালক উপস্থিত না থাকায় কর্মচারীরা পরবর্তী কর্মসুচি ঘোষণা করে বিক্ষোভ শেষ করে।
এদিকে, বিক্ষোভ মিছিল চলাকালীন রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. শরীফুল হাসান হাসপাতালে আসেননি।
অন্যদিকে, একই দাবিতে কর্মসুচি ঘোষণা করেছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।