ঢাকা ০২:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে ভারতের নীতি নির্ধারকরা রাঙ্গামাটির পাহাড়ে বিরল গোলাপি হাতি দেশে প্রথমবার, গবেষকরা বলছেন প্রাকৃতিক বিস্ময় হজে গিয়ে ৩৬ বাংলাদেশির মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৫ চলতি বছরে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ১৩ লাখে পৌঁছাতে পারে ইসরাইলের বিরসেবায় ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, রেলস্টেশন বন্ধ কাঠালিয়ায় ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবক গ্রেফতার সীমান্তের ওপারে ঝুলছে বাংলাদেশির মরদেহ; ৩ দিনের যুগলজীবনের ইতি দেড় বছরে ঠাকুরগাঁয়ে গ্রাম আদালতে ২ হাজারেরও বেশি মামলা নিষ্পত্তি হাসিনার আদালত অবমাননার মামলায় অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ আরও এক সেশন শ্রীলংকার, চাপে পড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ

বন্দরটিলা আয়শার মার গলি এলাকায় ছারপোকার ঔষধের বিষক্রিয়াতে দুই বোনের মৃত্যু

মোঃ শহিদুল ইসলাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান চট্রগ্রামঃ
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫৪:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১৭৫ ১৫০.০০০ বার পাঠক

চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন দক্ষিণ হালিশহর বন্দরটিলায় বাসায় হঠাৎ করে অসুস্থ্য‌ হয়ে আপন দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। পথের ভাসমান বিক্রেতার কাছ থেকে কেনা পোকা মারার ওষুধের বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। তবে মৃত্যুর কারণ আরও খতিয়ে দেখার কথাও জানিয়েছে ইপিজেড থানা পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ইপিজেডের বন্দরটিলার আয়শার মার গলি এলাকায় লেদাইয়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত রহিমা আক্তার (২৪) ও ফজিলা আক্তার (১৬) পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া এলাকার ইদ্রিস আলীর মেয়ে। এর মধ্যে রহিমার বিয়ে হয়েছে। তার স্বামী প্রবাসী। দুই বোনই চাকরি করে। রহিমা সুইটার ফ্যাক্টরিতে এবং ফজিলা ইয়াংওয়ানে কাজ করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর করিম সাংবাদিকদের বলেন, তারা রাতে ঘুমানোর আগে ছারপোকা নিধনের ওষুধ ঘরে দিয়ে দরজা জানালা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও পরে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তারা মারা যান। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ছারপোকার ওষুধ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওষুধের গ্যাসের প্রভাবেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবুও মৃত্যুর আসল কারণ খতিয়ে দেখতে আমরা আমাদের তদন্ত চালিয়ে যাব।

তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজিলাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহিমাও বিকেলে মারা যায়। বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। জানতে চাইলে তাদের বড় বোন নাজমা আখতার সাংবাদিকদের বলেন, অসুস্থতার খবর পেয়ে আমরা তাড়াতাড়ি বাসায় যাই। আমরা যাওয়ার আগেই ফজিলা মারা গিয়েছিল। রহিমা তখনও কথা বলতে পারছিল।
সে জানায়,রাতে ছারপোকা মারার ওষুধ ছিটিয়ে তারা দরজা জানালা বন্ধ করে। এরপর ভাত ও ডালিম খেয়ে শুয়ে পড়ে। হঠাৎ রাতে তারা অসুস্থ বোধ করে। কিছুক্ষণ পর পর বমি করছিল। এরপর আর কিছু বলতে পারেনি সে। পরে দু’জনকে বন্দরটিলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং পরে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজিলাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পর বিকেলের দিকে রহিমাও মারা গেছেন বলে জানান।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বন্দরটিলা আয়শার মার গলি এলাকায় ছারপোকার ঔষধের বিষক্রিয়াতে দুই বোনের মৃত্যু

আপডেট টাইম : ০৬:৫৪:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩

চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন দক্ষিণ হালিশহর বন্দরটিলায় বাসায় হঠাৎ করে অসুস্থ্য‌ হয়ে আপন দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। পথের ভাসমান বিক্রেতার কাছ থেকে কেনা পোকা মারার ওষুধের বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। তবে মৃত্যুর কারণ আরও খতিয়ে দেখার কথাও জানিয়েছে ইপিজেড থানা পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ইপিজেডের বন্দরটিলার আয়শার মার গলি এলাকায় লেদাইয়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত রহিমা আক্তার (২৪) ও ফজিলা আক্তার (১৬) পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া এলাকার ইদ্রিস আলীর মেয়ে। এর মধ্যে রহিমার বিয়ে হয়েছে। তার স্বামী প্রবাসী। দুই বোনই চাকরি করে। রহিমা সুইটার ফ্যাক্টরিতে এবং ফজিলা ইয়াংওয়ানে কাজ করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর করিম সাংবাদিকদের বলেন, তারা রাতে ঘুমানোর আগে ছারপোকা নিধনের ওষুধ ঘরে দিয়ে দরজা জানালা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও পরে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তারা মারা যান। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ছারপোকার ওষুধ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওষুধের গ্যাসের প্রভাবেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবুও মৃত্যুর আসল কারণ খতিয়ে দেখতে আমরা আমাদের তদন্ত চালিয়ে যাব।

তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজিলাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহিমাও বিকেলে মারা যায়। বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। জানতে চাইলে তাদের বড় বোন নাজমা আখতার সাংবাদিকদের বলেন, অসুস্থতার খবর পেয়ে আমরা তাড়াতাড়ি বাসায় যাই। আমরা যাওয়ার আগেই ফজিলা মারা গিয়েছিল। রহিমা তখনও কথা বলতে পারছিল।
সে জানায়,রাতে ছারপোকা মারার ওষুধ ছিটিয়ে তারা দরজা জানালা বন্ধ করে। এরপর ভাত ও ডালিম খেয়ে শুয়ে পড়ে। হঠাৎ রাতে তারা অসুস্থ বোধ করে। কিছুক্ষণ পর পর বমি করছিল। এরপর আর কিছু বলতে পারেনি সে। পরে দু’জনকে বন্দরটিলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং পরে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজিলাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পর বিকেলের দিকে রহিমাও মারা গেছেন বলে জানান।