ঢাকা ০৯:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ঐতিহ্যবাহী কালিয়াকৈর প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল ২০২৫ অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, অভিযুক্ত ধর্ষককে গণ ধোলাই পবিত্র মাহে রমজানে নগরজুড়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ এর ডমিনেশন পেট্রোলিং ও আইনশৃঙ্খলা তদারকি গাজীপুরের কাশিমপুর থেকে হেরোইনহ মোহাম্মদ আলী নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে কাশিমপুর থানা পুলিশ বিএমপি গোয়েন্দা শাখার অভিযানে ৫০০ গ্রাম গাঁজা সহ আটক ০২ জন। সংকট উত্তরণে পাকিস্তানকে ২ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিল চীন মাগুরার সেই শিশুর সব ছবি অপসারণ করতে হাইকোর্টের নির্দেশ নাগরিকদের পাকিস্তান ভ্রমণে সতর্ক করলো যুক্তরাষ্ট্র হাইমচরে আগুনে পুড়ল দোকান অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেলো আল- কুরআন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকগণের সম্মানে জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল

চট্রগ্রামের কাজির দেউড়িতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে ৪ মামলায় আসামি কয়েক শতাধিক

মোঃ শহিদুল ইসলাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান চট্রগ্রামঃ
  • আপডেট টাইম : ১২:২১:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ২০৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউড়ি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম) মাহবুবের রহমান শামীম, মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করসহ কয়েক শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

গত কাল সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে সন্ত্রাস দমন আইন, বিস্ফোরক আইন এবং দণ্ডবিধি আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় কোতোয়ালি থানায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনার পর ২০ জনকে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির। সাংবাদিকদের বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি জেলা পুলিশ এবং তিনটি কোতোয়ালি থানা পুলিশ বাদী হয়েছে। এসব মামলায় ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৯০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে,অজ্ঞাত আরও ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশের গাড়িতে আগুন দিয়েছে। নগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটেছে।

সরকারবিরোধী আন্দোলন, নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাসহ পূর্বঘোষিত ১০ দফা দাবি নিয়ে সারা দেশের মতো চট্টগ্রাম বিএনপি অফিসের সামনে দুপুর ৩টায় কর্মসূচি শুরু হয়। শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে দলটির নেতাকর্মীরা আসছিলেন। সেই সঙ্গে সমাবেশও চলছিল। হঠাৎ করেই কাজীর দেউড়ি মোড়ে একটি মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয় বলে দাবি পুলিশের। তবে আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন।

অন্যদিকে নগর বিএনপির আহ্ববায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের ভাষ্য, “আমাদের সমাবেশ করার অনুমতি দিলেও কাজীর দেউড়ি মোড়ে ‘ব্যারিকেড’ দিয়ে যুবদলের একটি মিছিল আটকে দেওয়া হয়, তাদের পেছনে স্বেচ্ছাসেবক দলেরও একটি মিছিল ছিল। যুবদল কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে আসার চেষ্টা করলে বিনা উসকানিতে পুলিশ লাঠিপেটা করে এবং ছররা গুলি ছেঁড়ে। তাতে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।

“কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ বিনা উসকানিতে হামলা চালিয়েছে। হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এক কর্মীর চোখে গুরুতর আঘাত পেয়েছে

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চট্রগ্রামের কাজির দেউড়িতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে ৪ মামলায় আসামি কয়েক শতাধিক

আপডেট টাইম : ১২:২১:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউড়ি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম) মাহবুবের রহমান শামীম, মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করসহ কয়েক শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

গত কাল সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে সন্ত্রাস দমন আইন, বিস্ফোরক আইন এবং দণ্ডবিধি আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় কোতোয়ালি থানায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনার পর ২০ জনকে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির। সাংবাদিকদের বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি জেলা পুলিশ এবং তিনটি কোতোয়ালি থানা পুলিশ বাদী হয়েছে। এসব মামলায় ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৯০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে,অজ্ঞাত আরও ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশের গাড়িতে আগুন দিয়েছে। নগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটেছে।

সরকারবিরোধী আন্দোলন, নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাসহ পূর্বঘোষিত ১০ দফা দাবি নিয়ে সারা দেশের মতো চট্টগ্রাম বিএনপি অফিসের সামনে দুপুর ৩টায় কর্মসূচি শুরু হয়। শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে দলটির নেতাকর্মীরা আসছিলেন। সেই সঙ্গে সমাবেশও চলছিল। হঠাৎ করেই কাজীর দেউড়ি মোড়ে একটি মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয় বলে দাবি পুলিশের। তবে আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন।

অন্যদিকে নগর বিএনপির আহ্ববায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের ভাষ্য, “আমাদের সমাবেশ করার অনুমতি দিলেও কাজীর দেউড়ি মোড়ে ‘ব্যারিকেড’ দিয়ে যুবদলের একটি মিছিল আটকে দেওয়া হয়, তাদের পেছনে স্বেচ্ছাসেবক দলেরও একটি মিছিল ছিল। যুবদল কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে আসার চেষ্টা করলে বিনা উসকানিতে পুলিশ লাঠিপেটা করে এবং ছররা গুলি ছেঁড়ে। তাতে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।

“কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ বিনা উসকানিতে হামলা চালিয়েছে। হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এক কর্মীর চোখে গুরুতর আঘাত পেয়েছে