সরকারি ঘর দিয়েছে নতুন জীবন বদলায়নি যোগাযোগ ব্যবস্থা।
- আপডেট টাইম : ১০:৫৭:৪০ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৩
- / ২৬০ ৫০০০.০ বার পাঠক
পিরোজপুরের নাজিরপুরের শাঁখারিকাঠী গ্রামে গড়ে উঠেছে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীনদের জন্য আবাসন প্রকল্প নেই যোগাযোগ ব্যবস্থা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ৯২ টি পরিবারের জীবন মানের উন্নয়নের পরিবর্তন ঘটলেও তাদের যোগাযোগের জন্য নেই ভালো রাস্তা এবং আবাসনে ডুকতে পার হতে হয় বাঁশের সাঁকো এতে স্কুল কলেজ পরুয়া সহ শিশু কিশোর বৃদ্বারা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পাড় হয় এই সাঁকো।
যাব আমি ওই পাড়ে, এই বাাঁশের সাঁকো পাড়িয়ে, আবাসনের তীরে, মাথাগোজার ঠাই পেয়েছি এই আবাসনে, তাইতো মোদের দাবী একটি ব্রীজের এ আবাসনে। খালের ওপারে থাকা পরিবারগুলো নিজেদের প্রয়োজনে নিজেরাই তৈরি করে নিয়েছেন এ সাঁকো। মূলত মুজিব বর্ষ উপলক্ষে যারা ঘর পেয়েছেন তারা সবাই হত দরিদ্র, কেউ ভ্যান চালিয়ে সংসার চালায় আবার কেউ দিনমজুরের কাজ করে। সাড়া দিন ভ্যান-রিক্সা চালিয়ে দিন শেষে যখন বাড়ি ফেরে তখন তাদের একামত্র সম্বল ভ্যান-রিক্সাটি নিতে পারে না বাড়িতে, থাকেন আতঙ্কে কখন যেন চুরি হয়ে যায় শেষ সম্বলটি। শিশুরা স্কুলে যেতে হলে পারাপার হতে হয় এই সাঁকো, অভিভাবকরা থাকেন চিন্তায় কখন যেন আমার কোমলমতি শিশুটি পা পিছলে পড়ে যায় খালে। বৃদ্ধ মা বাবা, গর্ভবতি মায়েরা অনেক কষ্ট করে পার হয়ে যায় উপজেলা স্বাস্থকমপ্লেক্সে। উপজেলা থেকে প্রায় ৫ কিলমিটার দূরে এ আবাসনটি অবস্থিত। প্রতিদিনই যেন তাদের আতঙ্কে কাটে অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনার আসঙ্কায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এই ৯২ পরিবারের লোকজন খুবই আনন্দে জীবন যাপন করেছে, একটু মাথা গোজার ঠাই পেয়ে, তবে সাঁকো পাড় হয়ে এপাড়ে আসার কথা চিন্তা করলেই যেন কপালে ওঠে চিন্তার ভাজ ।
আবাসনের বয়বৃদ্ধ মনোয়ারা বেগম (৮০), আবুবক্কবর (৭০) বলেন সরকার ঘড় দিয়েছে বলে আজ বৌ, বাচ্চা, নাতি-নাতনী নিয়ে বিল্ডিং এ থাকতে পারি, একটি ব্রীজ হলে আমাদের আর কোন প্রাপ্তি থাকে না, তা হলে নাতি-নাতনি নিয়ে আমরাও একটু স্কুলে এগিয়ে দিতে পারতাম।
স্কুল পড়ুয়া কোমলমতি শিশু লিজা,জাকারিয়া, আব্দুল্লাহ্ জানায়, আমরা স্কুলে যাওয়ার পথে খুবই ভয়ে থাকি লিজা বলে আমি দু’বার এই সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে বই-খাতা ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে আর মা না দেখলে হয় তো ভেসেই যেতাম,কাকা আপনারা একটা ব্রিজের ব্যবস্থা করে দেন’না আমাদের ? ।
এবিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ইস্রাফিল হোসেন জানান, বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিতে আছে, চেষ্টা করবো ওখানে একটা বরাদ্দ দেওয়ার।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা: সঞ্জীব দাস বলেন, এবিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে দেখব, তাদের দাবী যৌক্তিক হলে চেষ্টা করব একটা বরাদ্দ দেওয়ার।