বাশেঁর সাঁকোই দুই উপজেলার একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম।

- আপডেট টাইম : ০৪:৩৪:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৩৪৮ ১৫০.০০০ বার পাঠক
পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার শেষ প্রান্ত দেউলবাড়ি ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রাম ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার নয়াকান্দি ইউনিয়নের বানারঝোড় গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে বাশঁবাড়িয়া নদী। এ দুই উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম বাশের সাঁকো। সোনাপুর ও বানারঝোড় গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া এ নদীতে ব্রীজ না থাকায় আট গ্রামের বাসিন্দা প্রায় ২০ হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে র্দীঘদিন ধরে পারাপার হচ্ছে এ বাঁশের সাঁকো।
এলাকাবাসী জানান, এ স্থানে ব্রীজ না থাকায় নাজিরপুর উপজেলার সোনাপুর,চাঁতর,বিলডুমরিয়া,পদ্মডুবি,দেউলবাড়ি,পেনাখালি,ঝনঝনিয়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বানারঝোড়, নয়কান্দি,করফা গ্রামের বাসিন্দারা ও দুই পাড়ে অবস্থিত প্রাথমিক , মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সহ সাধারণ মানুষের চলাচলের ও মালামাল আনা-নেয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাস্তাঘাট অনুন্নত ও এলাকাটি উপজেলার শেষ সীমান্ত হওয়ায় জনসাধারনকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাশঁবাড়িয়া হয়ে মাটিভাঙ্গা-পিরোজপুর মহাসড়ক দিয়ে বাস কিংবা অটোরিক্সায় প্রায় ৩০ কিঃমিঃ ঘুরে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করতে হয়। এ ছাড়া তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজার জাত করনে পড়তে হয় চরম দূর্ভোগে। সাঁকো পারাপারে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে ছোট খাট দূর্ঘটনা। ঝুকিঁপুর্ন এ বাঁেশর সাঁকোটি দিয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে সাহস পায়না গর্ভবতী ও প্রসূতী মহিলারা এবং ভয়ে সাকোঁ পাড় হয়ে বিদ্যালয় যেতে চায়না কোমলমতী শিক্ষার্থীরা। ফলে মৃত্যু ঝ’কিঁতে থাকতে হয় প্রসুতী মায়েদের ও ঝড়ে পরার সম্ভবনা রয়েছে কোমলমতী শিক্ষার্থীদের।
সোনাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছরোয়ার হোসেন গাজী জানান, বেশির ভাগ কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সাঁকো থেকে নদীতে পড়ে গিয়ে প্রায়ই বই, খাতা নষ্ট করে। মাঝে মাঝে সাঁকো ভেঙে গেলে আমার শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার হয়। তাই এখন আমাদের দাবী আর বাঁশের সাঁকো নয়, এখানে অনতি বিলম্বে একটি ব্রীজ হওয়া এলাকাবাসীর প্রানের দাবী।।
বিলডুমরিয়া গ্রামের কৃষক আখতার তালুকদার বলেন, নদীতে ব্রিজ না থাকায় কৃষকেরা কৃষিপণ্য মাথায় করে ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পার হয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার তরুর বাজার ও পার্শ্ববর্তী সাতলা, হারতা বাজারে ব্যবসার উদ্দেশ্যে যোগাযোগে পড়তে হয় চরম বিপাকে।
এলজিইডি প্রকৌশলী মো.জাকির হোসেন জানান,টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কোটালীপাড়া ও নাজিরপুর উপজেলার সাথে যোগাযোগের জন্য গাঁওখালি থেকে কাচারীভিটা নামক স্থানে একটি প্রস্তাবনা রয়েছে। আমরা উক্ত স্থানে দুই উপজেলার যোগাযেগের জন্যএকটা কানেক্ট বের করতে চাচ্ছি।