মসজিদের টাকা আত্মসাৎ কারি, অবৈধ শক্তিধর কে এই নাজমুল হাসান পলাশ
- আপডেট টাইম : ০৪:০২:১৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৩
- / ১৭৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন জিএমজি মোড় কুনিপাড়া জামে মসজিদের মুসল্লিগণ ও এলাকাবাসি ৯/১/২০২৩ ইং তারিখ মসজিদ প্রাঙ্গনে এক প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনের আয়োজন করেন। উক্ত মানববন্ধনে এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন ওবায়দুল রহমান শ্যামল । তার বক্তব্য ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন, অবৈধ শক্তিধর মোহাম্মদ নাজমুল হাসান পলাশ গত ১২ বছর যাবৎ জোরপূর্বক অবৈধভাবে উক্ত মসজিদের স্বঘোষিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ দখল করে রেখেছেন । মসজিদের নতুন কমিটি করার সুযোগ দিচ্ছেন না এবং কেউ করতে গেলে তাদেরকেও বাধা দিচ্ছেন ও প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছেন ।এই মসজিদের একটি মাত্র দোকানের ভাড়া থেকে ইমাম সাহেব ও খাদেমসহ আনুষাঙ্গিক খরচ বহন করা হতো। কিন্তু অবৈধ অস্ত্রধারী পলাশ জোর পূর্বক গত১৪ বছরের বেশি সময় ধরে দোকানের ভাড়া আত্মসাৎ করে যাচ্ছেন । তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না কারণ তার রয়েছে পালিত অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী । তার ক্যাডার বাহিনীর চারজন মসজিদের ভিতরেই অবস্থান করে, ফজরের নামাজের সময় ক্যাডারদের ঘুম নষ্ট হয় এই কারণে মসজিদের ইমাম সাহব সাউন্ড বক্সে নামাজ পড়াতে পারেন না। নামাজের উচ্চ শব্দে তাদের ঘুমের ব্যাঘাত হওয়ায় মসজিদের মুসল্লিদের প্রায়ই গালাগাল ও মারপিট করতে উদ্ধত হয় পলাশের ক্যাডার বাহিনী। এদের কারণে মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে, ব্যাহত হচ্ছে মুসল্লিদের নামাজ। এছাড়া মসজিদের জায়গায় ওঠানো চারটি বিলবোর্ডের মোট ভাড়া ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা যা পলাশ জোরপূর্বক আত্মসাৎ করেছেন। এর ফলে মসজিদের ঈমাম ও খাদেমের প্রতিমাসের বেতন দিতে মুসল্লীদের নানা সমস্যায় পরতে হচ্ছে। মসজিদের দোকানের ভাড়া দিয়েই অনায়াসে ইমাম সাহেবের বেতন সহ আনুষাঙ্গিক খরচ চালানো সম্ভব। পলাশের এহেন ঘৃণ্য কাজের কারণে মসজিদের উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে না। মসজিদের উন্নয়ন কাজে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে পলাশ তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। শুধু তাই নয়, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সরকারি রাস্তা দখল করে অবৈধ হোটেল দোকান, ক্লাবঘরসহ নানা স্থাপনা তৈরি করে অবৈধ ভাবে কামিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা । এইসব অবৈধ স্থাপনায় রয়েছে অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন, পানির সংযোগ সহ নানা ধরনের সংযোগ। যার বিল কখনোই পরিশোধ করে না পলাশ, এর ফলে সরকার তথা দেশের লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতদিন তার বিরুদ্ধে কেউ সাহস করে কথা বলতে চায়নি, কারণ কথা বলতে গেলে তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। বক্তারা বলেন, আজ আমরা এলাকাবাসী ও মসজিদের মুসল্লিগণ এই অবৈধ শক্তিধর পলাশের হাত থেকে মসজিদসহ এলাকাবাসীকে রক্ষা করার জন্য জীবন বাজি রেখে রাস্তায় দাঁড়িয়েছি । এলাকাবাসী ও মসজিদের মুসল্লিগন মানববন্ধের মাধ্যমে প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাহায্য কামনা করেন।