ঢাকা ০১:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রায়পুরে চিকিৎসকের বিচার দাবীতে মানববন্ধন বিরামপুরে এক পা ওয়ালা শিশু সহ জমজ শিশু জন্ম দিলো এক প্রসুতি মা সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে দুই চোরাকারবারি গ্রেফতার,ট্রাকসহ ২১ লক্ষ টাকার ভারতীয় চিনি জব্দ ভন্ড ও দুর্নীতিবাজদের আড্ডাখানা রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ আজমিরীগঞ্জে আউট অব স্কুল চিল্ড্রেন এডুকেশন এর উদ্যেগে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ইবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রস্তুত, দ্রুত হতে পারে ঘোষণা হল-অনুষদ সম্মেলন ঈদের পর মোংলায় ছাত্রদলের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ইবি সাইন্স ক্লাবের সভাপতি নিরব, সম্পাদক জুনাইদ ইবিতে স্বাধীনতা দিবসে বিনামূল্যে উন্নতমানের খাবার পাচ্ছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা পঞ্চগড়ের সুগারমিল চালু হলে কর্মসংস্থান ফিরে পাবে শ্রমিকরা, সচল হবে জেলার অর্থনীতি

পরিবেশ সুরক্ষায় ক্ষতির মুখে কনক্রিট ব্লক ইট নির্মাণ উদ্যোক্তারা

পরিবেশের সুরক্ষার জন্য মাটি দিয়ে ইট তৈরী ও আগুনে পোড়ানো বন্ধের লক্ষে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর আলোকে প্রচলিত ইটভাটার পরিবর্তে কনক্রিট ব্লক তথা সিমেন্ট বালু দিয়ে তৈরী ইট নির্মাণ ফ্যাক্টরী করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী অনেক উদ্যোক্তা ইতোমধ্যে গড়ে তুলেছেন প্রকল্প। কিন্তু পৃষ্ঠ পোষকতা না থাকায় উৎপাদিত পন্য বিপণনে অচলাবস্থার কারণে চরমভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে উদ্যোক্তারা। ফলে সম্ভাবনাময় ও পরিবেশসম্মত এই আর্থিক উন্নয়ন ক্ষেত্রটি বিকশিত হওয়ার আগেই মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। অথচ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এমন প্রকল্প খুবই প্রয়োজন।

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইয়াহামা কোম্পানির স্থানীয় ডিলার মাসুম মটরস এর স্বত্বাধিকারী মাসুম আহমেদ জানান, বিশাল অংকের অর্থের বিনিয়োগকৃত ইটভাটা ফেলে রেখে নতুন করে অর্থলগ্নির মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব কনক্রিট ব্লক নির্মাণ প্রকল্প করেছি। সৈয়দপুরের পার্শবর্তী রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার খিয়ারজুম্মা এলাকায় আমার ইটভাটার পাশেই একটি কনক্রিট ব্লক ফ্যাক্টরী করেছি। এখানে গড়ে প্রতিদিন ১০ হাজার পিস ইট তৈরী করা হয়। কিন্তু বিক্রয় হয় গড়ে মাত্র ৪ শ’ থেকে ৫ শ’ পিস। উৎপাদিত মাল পড়ে থাকছে। ফলে উৎপাদন কমিয়ে দিতে হয়েছে। কিন্তু ৫ থেকে ৭ জন শ্রমিককে নিয়মিত পুরো মজুরিই দিতে হচ্ছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছি।

সরকার যদি কার্যকর পদক্ষেপ নেয় তাহলে আমরা যেমন উপকৃত হবো তেমনি কর্মসংস্থানও হবে। সেইসাথে পরিবেশ রক্ষার জন্য কার্যকর সফলতা আসবে। আপাতত শুধু সরকারী প্রকল্পগুলোতেই যদি কনক্রিট ব্লক ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় তাহলেই সৃষ্ট অচলাবস্থা দূর হবে। পাশাপাশি সরকারী কার্যক্রমের ফলে সাধারণ মানুষের মাঝেও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী তৈরী হবে। তাছাড়া মাটির ইটের পরিবর্তে ব্লক ব্যবহারে গ্রাহক লাভবান হবেন। কেননা ইটের চেয়ে ব্লক মূল্য সাশ্রয়ী, মানসম্পন্ন ও দীর্ঘস্থায়িত্বের দিক দিয়ে খুবই চমৎকার।

তাহলে একসময় এই সেক্টরটি লাভজনক হিসেবে দাঁড়াতে পারবে। নয়তো ফসলী জমির মাটি কেটে উর্বরা শক্তি নষ্টের সাথে ভাটার ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষণ চলতেই থাকবে। যা কোনভাবেই আমাদের দেশের জন্য শুভকর হবেনা। তাই তিনি এব্যাপারে সরকারের আশু হস্তক্ষেপ দাবী করেছেন।

ছবি আছে

রাজু আহম্মেদ
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি
মোবাঃ০১৭৫১২২০০৮৩
তারিখঃ ১৮/১২/২২ইং

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

রায়পুরে চিকিৎসকের বিচার দাবীতে মানববন্ধন

পরিবেশ সুরক্ষায় ক্ষতির মুখে কনক্রিট ব্লক ইট নির্মাণ উদ্যোক্তারা

আপডেট টাইম : ১০:১৯:৩১ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২

পরিবেশের সুরক্ষার জন্য মাটি দিয়ে ইট তৈরী ও আগুনে পোড়ানো বন্ধের লক্ষে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর আলোকে প্রচলিত ইটভাটার পরিবর্তে কনক্রিট ব্লক তথা সিমেন্ট বালু দিয়ে তৈরী ইট নির্মাণ ফ্যাক্টরী করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী অনেক উদ্যোক্তা ইতোমধ্যে গড়ে তুলেছেন প্রকল্প। কিন্তু পৃষ্ঠ পোষকতা না থাকায় উৎপাদিত পন্য বিপণনে অচলাবস্থার কারণে চরমভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে উদ্যোক্তারা। ফলে সম্ভাবনাময় ও পরিবেশসম্মত এই আর্থিক উন্নয়ন ক্ষেত্রটি বিকশিত হওয়ার আগেই মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। অথচ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এমন প্রকল্প খুবই প্রয়োজন।

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইয়াহামা কোম্পানির স্থানীয় ডিলার মাসুম মটরস এর স্বত্বাধিকারী মাসুম আহমেদ জানান, বিশাল অংকের অর্থের বিনিয়োগকৃত ইটভাটা ফেলে রেখে নতুন করে অর্থলগ্নির মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব কনক্রিট ব্লক নির্মাণ প্রকল্প করেছি। সৈয়দপুরের পার্শবর্তী রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার খিয়ারজুম্মা এলাকায় আমার ইটভাটার পাশেই একটি কনক্রিট ব্লক ফ্যাক্টরী করেছি। এখানে গড়ে প্রতিদিন ১০ হাজার পিস ইট তৈরী করা হয়। কিন্তু বিক্রয় হয় গড়ে মাত্র ৪ শ’ থেকে ৫ শ’ পিস। উৎপাদিত মাল পড়ে থাকছে। ফলে উৎপাদন কমিয়ে দিতে হয়েছে। কিন্তু ৫ থেকে ৭ জন শ্রমিককে নিয়মিত পুরো মজুরিই দিতে হচ্ছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছি।

সরকার যদি কার্যকর পদক্ষেপ নেয় তাহলে আমরা যেমন উপকৃত হবো তেমনি কর্মসংস্থানও হবে। সেইসাথে পরিবেশ রক্ষার জন্য কার্যকর সফলতা আসবে। আপাতত শুধু সরকারী প্রকল্পগুলোতেই যদি কনক্রিট ব্লক ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় তাহলেই সৃষ্ট অচলাবস্থা দূর হবে। পাশাপাশি সরকারী কার্যক্রমের ফলে সাধারণ মানুষের মাঝেও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী তৈরী হবে। তাছাড়া মাটির ইটের পরিবর্তে ব্লক ব্যবহারে গ্রাহক লাভবান হবেন। কেননা ইটের চেয়ে ব্লক মূল্য সাশ্রয়ী, মানসম্পন্ন ও দীর্ঘস্থায়িত্বের দিক দিয়ে খুবই চমৎকার।

তাহলে একসময় এই সেক্টরটি লাভজনক হিসেবে দাঁড়াতে পারবে। নয়তো ফসলী জমির মাটি কেটে উর্বরা শক্তি নষ্টের সাথে ভাটার ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষণ চলতেই থাকবে। যা কোনভাবেই আমাদের দেশের জন্য শুভকর হবেনা। তাই তিনি এব্যাপারে সরকারের আশু হস্তক্ষেপ দাবী করেছেন।

ছবি আছে

রাজু আহম্মেদ
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি
মোবাঃ০১৭৫১২২০০৮৩
তারিখঃ ১৮/১২/২২ইং