ঢাকা ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
৫ আগস্টের পর সব রাজবন্দি মুক্তি পেলেন, আজহার পেলেন না এবার করা হলো শ্রমিকদের আইনি সুরক্ষা ও জাতীয় ন্যূনতম মজুরির সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন কাকরাইল আগুরাগলি এলাকায় মজুমদার ভিলা—৯৪ নং আবাসিক ভবন রাজউক কর্তক অবৈধ নকশায় নির্মাণ করার প্রমাণিত হওয়ায় মালিককে চিঠি পর্ব ২ শ্রীপুরে ওসি’র ঘুষ লেনদেনের অডিও ভাইরাল গুলশানে র‍্যাবের ক্যাশিয়ার শাহ আলমের ইস্পায় গড়ে তুলেছে অপরাধের আখড়া। পর্ব ২ জানাযায় প্রধান উপদেষ্টার কাতার সফরে গুরুত্ব পাবে কতটুকু নার্সিং ডিপ্লোমাকে ডিগ্রী সমমান করার দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থান কর্মসূচি ঠাকুরগাঁওয়ে কবরের ওপর থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

পরিবেশ সুরক্ষায় ক্ষতির মুখে কনক্রিট ব্লক ইট নির্মাণ উদ্যোক্তারা

রাজু আহম্মেদ ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ১০:১৯:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ২০৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

পরিবেশের সুরক্ষার জন্য মাটি দিয়ে ইট তৈরী ও আগুনে পোড়ানো বন্ধের লক্ষে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর আলোকে প্রচলিত ইটভাটার পরিবর্তে কনক্রিট ব্লক তথা সিমেন্ট বালু দিয়ে তৈরী ইট নির্মাণ ফ্যাক্টরী করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী অনেক উদ্যোক্তা ইতোমধ্যে গড়ে তুলেছেন প্রকল্প। কিন্তু পৃষ্ঠ পোষকতা না থাকায় উৎপাদিত পন্য বিপণনে অচলাবস্থার কারণে চরমভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে উদ্যোক্তারা। ফলে সম্ভাবনাময় ও পরিবেশসম্মত এই আর্থিক উন্নয়ন ক্ষেত্রটি বিকশিত হওয়ার আগেই মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। অথচ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এমন প্রকল্প খুবই প্রয়োজন।

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইয়াহামা কোম্পানির স্থানীয় ডিলার মাসুম মটরস এর স্বত্বাধিকারী মাসুম আহমেদ জানান, বিশাল অংকের অর্থের বিনিয়োগকৃত ইটভাটা ফেলে রেখে নতুন করে অর্থলগ্নির মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব কনক্রিট ব্লক নির্মাণ প্রকল্প করেছি। সৈয়দপুরের পার্শবর্তী রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার খিয়ারজুম্মা এলাকায় আমার ইটভাটার পাশেই একটি কনক্রিট ব্লক ফ্যাক্টরী করেছি। এখানে গড়ে প্রতিদিন ১০ হাজার পিস ইট তৈরী করা হয়। কিন্তু বিক্রয় হয় গড়ে মাত্র ৪ শ’ থেকে ৫ শ’ পিস। উৎপাদিত মাল পড়ে থাকছে। ফলে উৎপাদন কমিয়ে দিতে হয়েছে। কিন্তু ৫ থেকে ৭ জন শ্রমিককে নিয়মিত পুরো মজুরিই দিতে হচ্ছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছি।

সরকার যদি কার্যকর পদক্ষেপ নেয় তাহলে আমরা যেমন উপকৃত হবো তেমনি কর্মসংস্থানও হবে। সেইসাথে পরিবেশ রক্ষার জন্য কার্যকর সফলতা আসবে। আপাতত শুধু সরকারী প্রকল্পগুলোতেই যদি কনক্রিট ব্লক ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় তাহলেই সৃষ্ট অচলাবস্থা দূর হবে। পাশাপাশি সরকারী কার্যক্রমের ফলে সাধারণ মানুষের মাঝেও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী তৈরী হবে। তাছাড়া মাটির ইটের পরিবর্তে ব্লক ব্যবহারে গ্রাহক লাভবান হবেন। কেননা ইটের চেয়ে ব্লক মূল্য সাশ্রয়ী, মানসম্পন্ন ও দীর্ঘস্থায়িত্বের দিক দিয়ে খুবই চমৎকার।

তাহলে একসময় এই সেক্টরটি লাভজনক হিসেবে দাঁড়াতে পারবে। নয়তো ফসলী জমির মাটি কেটে উর্বরা শক্তি নষ্টের সাথে ভাটার ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষণ চলতেই থাকবে। যা কোনভাবেই আমাদের দেশের জন্য শুভকর হবেনা। তাই তিনি এব্যাপারে সরকারের আশু হস্তক্ষেপ দাবী করেছেন।

ছবি আছে

রাজু আহম্মেদ
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি
মোবাঃ০১৭৫১২২০০৮৩
তারিখঃ ১৮/১২/২২ইং

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পরিবেশ সুরক্ষায় ক্ষতির মুখে কনক্রিট ব্লক ইট নির্মাণ উদ্যোক্তারা

আপডেট টাইম : ১০:১৯:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২

পরিবেশের সুরক্ষার জন্য মাটি দিয়ে ইট তৈরী ও আগুনে পোড়ানো বন্ধের লক্ষে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর আলোকে প্রচলিত ইটভাটার পরিবর্তে কনক্রিট ব্লক তথা সিমেন্ট বালু দিয়ে তৈরী ইট নির্মাণ ফ্যাক্টরী করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী অনেক উদ্যোক্তা ইতোমধ্যে গড়ে তুলেছেন প্রকল্প। কিন্তু পৃষ্ঠ পোষকতা না থাকায় উৎপাদিত পন্য বিপণনে অচলাবস্থার কারণে চরমভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে উদ্যোক্তারা। ফলে সম্ভাবনাময় ও পরিবেশসম্মত এই আর্থিক উন্নয়ন ক্ষেত্রটি বিকশিত হওয়ার আগেই মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। অথচ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এমন প্রকল্প খুবই প্রয়োজন।

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইয়াহামা কোম্পানির স্থানীয় ডিলার মাসুম মটরস এর স্বত্বাধিকারী মাসুম আহমেদ জানান, বিশাল অংকের অর্থের বিনিয়োগকৃত ইটভাটা ফেলে রেখে নতুন করে অর্থলগ্নির মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব কনক্রিট ব্লক নির্মাণ প্রকল্প করেছি। সৈয়দপুরের পার্শবর্তী রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার খিয়ারজুম্মা এলাকায় আমার ইটভাটার পাশেই একটি কনক্রিট ব্লক ফ্যাক্টরী করেছি। এখানে গড়ে প্রতিদিন ১০ হাজার পিস ইট তৈরী করা হয়। কিন্তু বিক্রয় হয় গড়ে মাত্র ৪ শ’ থেকে ৫ শ’ পিস। উৎপাদিত মাল পড়ে থাকছে। ফলে উৎপাদন কমিয়ে দিতে হয়েছে। কিন্তু ৫ থেকে ৭ জন শ্রমিককে নিয়মিত পুরো মজুরিই দিতে হচ্ছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছি।

সরকার যদি কার্যকর পদক্ষেপ নেয় তাহলে আমরা যেমন উপকৃত হবো তেমনি কর্মসংস্থানও হবে। সেইসাথে পরিবেশ রক্ষার জন্য কার্যকর সফলতা আসবে। আপাতত শুধু সরকারী প্রকল্পগুলোতেই যদি কনক্রিট ব্লক ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় তাহলেই সৃষ্ট অচলাবস্থা দূর হবে। পাশাপাশি সরকারী কার্যক্রমের ফলে সাধারণ মানুষের মাঝেও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী তৈরী হবে। তাছাড়া মাটির ইটের পরিবর্তে ব্লক ব্যবহারে গ্রাহক লাভবান হবেন। কেননা ইটের চেয়ে ব্লক মূল্য সাশ্রয়ী, মানসম্পন্ন ও দীর্ঘস্থায়িত্বের দিক দিয়ে খুবই চমৎকার।

তাহলে একসময় এই সেক্টরটি লাভজনক হিসেবে দাঁড়াতে পারবে। নয়তো ফসলী জমির মাটি কেটে উর্বরা শক্তি নষ্টের সাথে ভাটার ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষণ চলতেই থাকবে। যা কোনভাবেই আমাদের দেশের জন্য শুভকর হবেনা। তাই তিনি এব্যাপারে সরকারের আশু হস্তক্ষেপ দাবী করেছেন।

ছবি আছে

রাজু আহম্মেদ
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি
মোবাঃ০১৭৫১২২০০৮৩
তারিখঃ ১৮/১২/২২ইং