ঢাকা ০৫:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
টঙ্গীর মাদক সম্রাজ্ঞী মোমেলা কোটি টাকার বাড়ি-গাড়ি রেখে থাকেন বস্তিতে ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের ‘ওয়ান টু ওয়ান’ বৈঠক চলছে ৬ বিজ্ঞানী নিহত, জরুরি অধিবেশন ডেকেছে ইরান দিনাজপুরে চাঁদার টাকা না দেওয়ায় বসতবাড়িতে হামলা আহত ৬ লন্ডনে ড. ইউনূস-সাথে তারেক রহমান সৌজন্যে সাক্ষাৎ যুদ্ধের দামামা এবার ইসরায়েলে ইরানের হামলা শুরু শসা চুরিকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ শতাধিক আহত ভৈরবে ব্যবসায়ী কে অপহরণ করে হত্যা চেষ্টা ও চোখ উৎপাটনকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল আকবর নগর বাস স্টেশনে সামনে আওয়ামী লীগের অপতৎপরতা ঠেকাতে কোম্পানীগঞ্জে বিক্ষোভ বুবলীর কর্মকাণ্ড দেখে অপু বিশ্বাসকে যা বলেন শাকিব খান

প্রভাবশালীদের মেঘনার চর দখলের মহোৎসব

সুমন গোপ, নাসিরনগর ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া ) প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৯:২১:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২
  • / ২৩০ ১৫০.০০০ বার পাঠক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভাটি অঞ্চলে অবস্থিত গোয়াল নগর ইউনিয়নে এখন চলছে চর দখলের মহোৎসব।সরেজমিন গোয়ালনগরের চরে গিয়ে দেখা গেছে এমনই চিত্র।বেশ কয়েক জনকে দেখা গেছে কুদাল দিয়ে চরের জমিতে আইল তুলতে।জানা গেছে গোয়ালনগর ইউনিয়নের পশ্চিমে মেঘনা ও ধলেশ্বরী নদীর মধ্যবর্তী স্থানে পিয়ালাপুর মৌজা হালে ৭১৭২ দাগে প্রায় ৪৭ একর জায়গা বুরো ও নদী শ্রেণীর বিশাল চর রয়েছে।স্থানীয়রা জানায়,গ্রামের কিছু প্রভাবশালী লোক যাদের জায়গা জমি রয়েছে তারাই কিছু কিছু জায়গা লীজ নিয়ে দ্বিগুন তিনগুন জায়গা দখল করে রেখেছে।তারা আরো জানায় প্রকৃত কোন ভূমিহীনকে এ চরের জমি লীজ বা বন্দোবস্ত দেয়া হয়নি।চরে খাস জায়গা থাকলেও প্রকৃত ভূমিহীনরা রয়েছে বন্দোবস্তের বাহিরে।ভূমিহীনদের পরিবর্তে খাস জমি দখল করছে প্রভাবশালীরা।

গোয়ালনগর ইউনিয়নের গোয়ালনগর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা অমর দাস জানায়, চরে আমাদের মালিকানাধীন অনেক জায়গা রয়েছে।কিন্তু প্রভাবশালীরা আমাদের জায়গাও দখল করে রেখেছে।এ বিষয়ে আমরা উচ্চ আদালতে মামলা করেছি।
গোয়ালনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজহারুল হকের সাথে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করে চর দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,চর দখলকারীদের লীজ নেয়া জায়গার বাহিরে তাদের দখলে আরো অনেক বেশী জায়গা রয়েছে।প্রশাসন যদি তাদের কাছে থেকে অতিরিক্ত জায়গা উদ্বার করে এলাকার ভূমিহীন গরীবদের মাঝে বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করলে এই এলাকার গরীবরা উপকৃত হবে।এ বিষয়ে আপনি একজন চেয়ারম্যান হিসেবে জেলা প্রসাশক,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা সহকারী কমিশনার( ভূমি) বা খাস জমি বন্দোবস্তো কমিটির কারো সাথে কোন কথা বলেছেন কি না,জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে এমন কারো সাথে আমার কোন কথা হয়নি।
স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ নুরুল আমিন জানান, চরটি কাগজে পত্রে রয়েছে নদী ও বুরো।শ্রেণী পরিবর্তন করে প্রায় ২০ একরের মত জায়গা বিভিন্ন লোকজনকে লীজ দেয়া হয়েছে।বাকী জায়গা শ্রেণী পরিবর্তন করে স্থানীয়দের মাঝে লীজ প্রদান করা হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

প্রভাবশালীদের মেঘনার চর দখলের মহোৎসব

আপডেট টাইম : ০৯:২১:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভাটি অঞ্চলে অবস্থিত গোয়াল নগর ইউনিয়নে এখন চলছে চর দখলের মহোৎসব।সরেজমিন গোয়ালনগরের চরে গিয়ে দেখা গেছে এমনই চিত্র।বেশ কয়েক জনকে দেখা গেছে কুদাল দিয়ে চরের জমিতে আইল তুলতে।জানা গেছে গোয়ালনগর ইউনিয়নের পশ্চিমে মেঘনা ও ধলেশ্বরী নদীর মধ্যবর্তী স্থানে পিয়ালাপুর মৌজা হালে ৭১৭২ দাগে প্রায় ৪৭ একর জায়গা বুরো ও নদী শ্রেণীর বিশাল চর রয়েছে।স্থানীয়রা জানায়,গ্রামের কিছু প্রভাবশালী লোক যাদের জায়গা জমি রয়েছে তারাই কিছু কিছু জায়গা লীজ নিয়ে দ্বিগুন তিনগুন জায়গা দখল করে রেখেছে।তারা আরো জানায় প্রকৃত কোন ভূমিহীনকে এ চরের জমি লীজ বা বন্দোবস্ত দেয়া হয়নি।চরে খাস জায়গা থাকলেও প্রকৃত ভূমিহীনরা রয়েছে বন্দোবস্তের বাহিরে।ভূমিহীনদের পরিবর্তে খাস জমি দখল করছে প্রভাবশালীরা।

গোয়ালনগর ইউনিয়নের গোয়ালনগর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা অমর দাস জানায়, চরে আমাদের মালিকানাধীন অনেক জায়গা রয়েছে।কিন্তু প্রভাবশালীরা আমাদের জায়গাও দখল করে রেখেছে।এ বিষয়ে আমরা উচ্চ আদালতে মামলা করেছি।
গোয়ালনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজহারুল হকের সাথে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করে চর দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,চর দখলকারীদের লীজ নেয়া জায়গার বাহিরে তাদের দখলে আরো অনেক বেশী জায়গা রয়েছে।প্রশাসন যদি তাদের কাছে থেকে অতিরিক্ত জায়গা উদ্বার করে এলাকার ভূমিহীন গরীবদের মাঝে বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করলে এই এলাকার গরীবরা উপকৃত হবে।এ বিষয়ে আপনি একজন চেয়ারম্যান হিসেবে জেলা প্রসাশক,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা সহকারী কমিশনার( ভূমি) বা খাস জমি বন্দোবস্তো কমিটির কারো সাথে কোন কথা বলেছেন কি না,জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে এমন কারো সাথে আমার কোন কথা হয়নি।
স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ নুরুল আমিন জানান, চরটি কাগজে পত্রে রয়েছে নদী ও বুরো।শ্রেণী পরিবর্তন করে প্রায় ২০ একরের মত জায়গা বিভিন্ন লোকজনকে লীজ দেয়া হয়েছে।বাকী জায়গা শ্রেণী পরিবর্তন করে স্থানীয়দের মাঝে লীজ প্রদান করা হবে।