ঢাকা ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরজ বিধান পর্দা যেখানে নাই, সেখানে রহমত নাই -ছারছীনার পীর ছাহেব ভ্যাট ও শুল্ক কমানোর দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে রেস্তোরা মালিক, শ্রমিকের মানববন্ধন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ! ব্যাংক খাত ধ্বংসের শুরুটা হয় এসকে সুরের হাত দিয়ে গ্যাস-সংকটে চট্টগ্রামে দেশি বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা মাত্র ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট হলে নতুন বিনিয়োগ বাড়বে ঢাকা রাজধানী শাজাহানপুর ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেফতার করেছে পুলিশ গাজীপুরে প্রতিবেশীদের হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ আহত দুই: তদন্তে পুলিশ নাসিরনগরে মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক এ্যাডভোকেসী সভা ভৈরবে আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত অফিস থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফ’র হাতে বাংলাদেশী আটক

প্রভাবশালীদের মেঘনার চর দখলের মহোৎসব

সুমন গোপ, নাসিরনগর ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া ) প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৯:২১:২৮ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২
  • / ১৯২ ৫০০০.০ বার পাঠক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভাটি অঞ্চলে অবস্থিত গোয়াল নগর ইউনিয়নে এখন চলছে চর দখলের মহোৎসব।সরেজমিন গোয়ালনগরের চরে গিয়ে দেখা গেছে এমনই চিত্র।বেশ কয়েক জনকে দেখা গেছে কুদাল দিয়ে চরের জমিতে আইল তুলতে।জানা গেছে গোয়ালনগর ইউনিয়নের পশ্চিমে মেঘনা ও ধলেশ্বরী নদীর মধ্যবর্তী স্থানে পিয়ালাপুর মৌজা হালে ৭১৭২ দাগে প্রায় ৪৭ একর জায়গা বুরো ও নদী শ্রেণীর বিশাল চর রয়েছে।স্থানীয়রা জানায়,গ্রামের কিছু প্রভাবশালী লোক যাদের জায়গা জমি রয়েছে তারাই কিছু কিছু জায়গা লীজ নিয়ে দ্বিগুন তিনগুন জায়গা দখল করে রেখেছে।তারা আরো জানায় প্রকৃত কোন ভূমিহীনকে এ চরের জমি লীজ বা বন্দোবস্ত দেয়া হয়নি।চরে খাস জায়গা থাকলেও প্রকৃত ভূমিহীনরা রয়েছে বন্দোবস্তের বাহিরে।ভূমিহীনদের পরিবর্তে খাস জমি দখল করছে প্রভাবশালীরা।

গোয়ালনগর ইউনিয়নের গোয়ালনগর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা অমর দাস জানায়, চরে আমাদের মালিকানাধীন অনেক জায়গা রয়েছে।কিন্তু প্রভাবশালীরা আমাদের জায়গাও দখল করে রেখেছে।এ বিষয়ে আমরা উচ্চ আদালতে মামলা করেছি।
গোয়ালনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজহারুল হকের সাথে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করে চর দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,চর দখলকারীদের লীজ নেয়া জায়গার বাহিরে তাদের দখলে আরো অনেক বেশী জায়গা রয়েছে।প্রশাসন যদি তাদের কাছে থেকে অতিরিক্ত জায়গা উদ্বার করে এলাকার ভূমিহীন গরীবদের মাঝে বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করলে এই এলাকার গরীবরা উপকৃত হবে।এ বিষয়ে আপনি একজন চেয়ারম্যান হিসেবে জেলা প্রসাশক,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা সহকারী কমিশনার( ভূমি) বা খাস জমি বন্দোবস্তো কমিটির কারো সাথে কোন কথা বলেছেন কি না,জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে এমন কারো সাথে আমার কোন কথা হয়নি।
স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ নুরুল আমিন জানান, চরটি কাগজে পত্রে রয়েছে নদী ও বুরো।শ্রেণী পরিবর্তন করে প্রায় ২০ একরের মত জায়গা বিভিন্ন লোকজনকে লীজ দেয়া হয়েছে।বাকী জায়গা শ্রেণী পরিবর্তন করে স্থানীয়দের মাঝে লীজ প্রদান করা হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

প্রভাবশালীদের মেঘনার চর দখলের মহোৎসব

আপডেট টাইম : ০৯:২১:২৮ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভাটি অঞ্চলে অবস্থিত গোয়াল নগর ইউনিয়নে এখন চলছে চর দখলের মহোৎসব।সরেজমিন গোয়ালনগরের চরে গিয়ে দেখা গেছে এমনই চিত্র।বেশ কয়েক জনকে দেখা গেছে কুদাল দিয়ে চরের জমিতে আইল তুলতে।জানা গেছে গোয়ালনগর ইউনিয়নের পশ্চিমে মেঘনা ও ধলেশ্বরী নদীর মধ্যবর্তী স্থানে পিয়ালাপুর মৌজা হালে ৭১৭২ দাগে প্রায় ৪৭ একর জায়গা বুরো ও নদী শ্রেণীর বিশাল চর রয়েছে।স্থানীয়রা জানায়,গ্রামের কিছু প্রভাবশালী লোক যাদের জায়গা জমি রয়েছে তারাই কিছু কিছু জায়গা লীজ নিয়ে দ্বিগুন তিনগুন জায়গা দখল করে রেখেছে।তারা আরো জানায় প্রকৃত কোন ভূমিহীনকে এ চরের জমি লীজ বা বন্দোবস্ত দেয়া হয়নি।চরে খাস জায়গা থাকলেও প্রকৃত ভূমিহীনরা রয়েছে বন্দোবস্তের বাহিরে।ভূমিহীনদের পরিবর্তে খাস জমি দখল করছে প্রভাবশালীরা।

গোয়ালনগর ইউনিয়নের গোয়ালনগর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা অমর দাস জানায়, চরে আমাদের মালিকানাধীন অনেক জায়গা রয়েছে।কিন্তু প্রভাবশালীরা আমাদের জায়গাও দখল করে রেখেছে।এ বিষয়ে আমরা উচ্চ আদালতে মামলা করেছি।
গোয়ালনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজহারুল হকের সাথে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করে চর দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,চর দখলকারীদের লীজ নেয়া জায়গার বাহিরে তাদের দখলে আরো অনেক বেশী জায়গা রয়েছে।প্রশাসন যদি তাদের কাছে থেকে অতিরিক্ত জায়গা উদ্বার করে এলাকার ভূমিহীন গরীবদের মাঝে বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করলে এই এলাকার গরীবরা উপকৃত হবে।এ বিষয়ে আপনি একজন চেয়ারম্যান হিসেবে জেলা প্রসাশক,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা সহকারী কমিশনার( ভূমি) বা খাস জমি বন্দোবস্তো কমিটির কারো সাথে কোন কথা বলেছেন কি না,জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে এমন কারো সাথে আমার কোন কথা হয়নি।
স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ নুরুল আমিন জানান, চরটি কাগজে পত্রে রয়েছে নদী ও বুরো।শ্রেণী পরিবর্তন করে প্রায় ২০ একরের মত জায়গা বিভিন্ন লোকজনকে লীজ দেয়া হয়েছে।বাকী জায়গা শ্রেণী পরিবর্তন করে স্থানীয়দের মাঝে লীজ প্রদান করা হবে।