গতসপ্তাহে ছিল , ৩৫০-৪০০ টাকা প্রতি কেজি ,
দেশী পুঁটি প্রতি কেজি ৬০ টাকা , তেলাপিয়া মাঝারি সাইজ প্রতিকেজি ১০০-১২০ টাকা ,শিং প্রতি কেজি ২০০-২৫ টাকা ॥ আজ সকল ধরনের মাছের দাম কম । তাহলে সাধারণ ক্রেতারা মাছ কিনে পেরে খুবই খুশি ॥বিক্রেতাকে এমন প্রশ্ন করে বসলেন যশোর রেল বাজারে আসা ক্রেতা শাহিদুল ইসলাম । জবাবে মাছ বিক্রেতা করিম শাহা বললেন,গত সপ্তাহে পাইকারি বাজার থেকে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছিল মাছ । তাই খুচরা বাজারেও দাম বাড়তি ছিল গত সপ্তাহে ॥আজ আড়তে মাছের দাম কম , তাই খুচরা বাজারেও মাছের দাম কম ।
নাভারনে বাজার করতে আসা আরেক ক্রেতা বলেন, বাজারে এসে শুধু ঘুরি, বাজারের গরীবের মাছ বলতে এখন আর কিছু নেই। সবকিছুর দামই বাড়তি , তবে আজ মাছের দাম কম থাকায় – আমি পাঁচ শত গ্রাম মাছ কিনবো বলে মনে করচ্ছি ।বেনাপোলে বাজার করতে আসা ডাঃ সেলিম নামের ওই ক্রেতা বলেন, আগে অন্তত বাজারে গরিবের মাছ হিসেবে পরিচিত ছিল পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, চাষের কই… সেই মাছগুলোই এখন আর গরিবের মাছ নেই, সেগুলোর দামও এখন বাড়তি। কম দামে এখন আর কোনো মাছই খুঁজে পাই না বাজারে।আজ বাজারে মাছের দাম কম আছে – এক কেজি কৈ মাছ কিনবো বলে মনে করচ্ছি । গত কাল ২৮ নভেম্বর যশোরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কম দামের সব ধরনের মাছ বিক্রি হচ্ছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাঙ্গাস মাছ প্রতি কেজি ১২০-১৪০ টাকা, ছোট সাইজের তেলাপিয়া ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বড় তেলাপিয়া ১৫০ টাকা, রুই মাছ আকার ভেদে ১৫০-থেকে ১৮০ টাকা, শিং মাছ ২০০-২৫০ টাকা, চাষের কই ২৪০ টাকা, বড় কাতলা ২৩০-২৬০ , পাবদা ৩৫০ টাকা, শোল মাছ ৪০০ -৪৫০ টাকা , বড আকার ভেদা ৮০০ টাকা, বড় চিংড়ি ৫৬০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৪৫০ -৪৮০ টাকা পোয়া মাছ ৪৫০ টাকা, ছোট বোয়াল ৬০০, বাইম মাছ ৫৫০ টাকা, ছোট বাইলা মাছ ৩০০ টাকা, টেংরা মাছ ৪৫০-৫০০ টাকা, রূপচাঁদা প্রতি কেজি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।অন্যদিকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ২৯ শে অক্টোবর থেকে বাজারে এসেছে ইলিশ মাছ। বাজারে প্রচুর ইলিশ এলেও দাম এখনো ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। রবিবার বাজারে জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা প্রতি কেজি। এছাড়া বাজারে এক কেজির কম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়, এর চেয়ে কিছুটা ছোট ইলিশ প্রতি কেজি ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দেড় কেজি বা তারচেয়ে বেশি ওজনের বড় ইলিশগুলো ১৪০০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ।যশোর এলাকার স্থানীয় একটি মাছের বাজারে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মাছ কিনতে এসেছেন সাংবাদিক শাহিদুল ইসলাম , মাছের দাম নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ছোট একটা পেশা নিয়ে কাজ করি যশোর পরিবার নিয়ে টিকে থাকা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবজি থেকে শুরু করে ডিমের দামও বাড়তি। গরু-খাসির মাংস কিনে খাওয়ার কথা তো চিন্তাও করতে পারি না। ব্রয়লার মুরগির দামও বাড়তি।তবে আজকের সবজি , মাছ , মাংসের দাম কম থাকায় ভাল লাগচ্ছে ।
তিনি আরো বলেন, বাজারে এসে শুধু ঘুরি, তেলাপিয়া মাছ আগে কিনেছি ১০৫ টাকায় সেটার দাম এখন ১৫০ এর উপরে। আবার চাষের কই কিনতাম ১৬০ টাকায় এখন সেটা ২৪০ টাকা, পাঙ্গাস কিনেছি ১২০ টাকায় এখন সেটা ১৫০ টাকা। বাজারের গরিবের মাছ বলতে এখন আর কিছু নেই। সবকিছুর দামই বাড়তি। মাছের দাম কেন এত বাড়তি— জানতে চাইলে যশোর রেল বাজার মাছ বাজারের বিক্রেতা এম, আলী বলেন, কয়েক মাস ধরে মাছের দাম আসলেই বাড়তি যাচ্ছে। মূলত ফিডের দাম (মাছের খাবার) বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকে সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবহনের খরচও আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। এসব কিছুর প্রভাব পড়েছে মাছের বাজারে। আমরা পাইকারি বাজারে আগে যেসব মাছ কম দামে কিনেছি। সেগুলোর দামও এখন বাড়তি। যে কারণে মাছের বাজার কিছুটা বেশি যাচ্ছে কয়েক মাস ধরে।তবে অতিশীঘ্রই মাছের দাম সাধারনের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই থাকবে বলে আশা করা যায় ।