ঢাকা ০৮:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
একাধিক পত্রিকায় জিয়াউর রহমান উপসহকারী প্রকৌশলী বিরুদ্ধে দুনীতি সংবাদ প্রকাশ হওয়া কোনো ব্যবস্থা নেয়নি উপজেলা প্রকৌশলী বিপুল কুমার বিশ্বাস রক্ষক যখন ভক্ষক ভেষজ বিজ্ঞানী টিপু সুলতান: কুসুমপুরে সৌখিন কৃষি ও একজন মুক্তিযোদ্ধার মানবসেবায় নিরব বিপ্লব মোংলার সোনাইল তলা এলাকায় ৪২ বিঘা ঘেরে বিষ প্রয়োগ। ২০ থেকে ২২ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতি সাভার পৌর বিএনপির দুই নেতার কলঙ্কিত অধ্যায় শাহেদ-১০৭ ড্রোন উন্মোচন ইরানের, যেভাবে কাজ করবে এটি রামপালের বড় কাঠালী গ্রামের বিএনপি সোহাগ আকনের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট নিউজের ম্যানার ছড়া বিরুদ্ধে মানববন্ধন আমরা যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ করছি, এখনই জ্বালানির দাম বৃদ্ধি নয়: অর্থ উপদেষ্টা পাঁচ কারণে খেলাপি ঋণ বাড়ছে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ বয়কট করলো জামায়াত

আগামী বছর আমরা সমাবর্তন আয়োজন করবো: বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ১০:৩১:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২
  • / ২৩৮ ১৫০.০০০ বার পাঠক

শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পর প্রায় ১২ বছর পার করেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির গ্রাজুয়েট সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার। তবে এখনও কোনো সমাবর্তন আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের হাতে মূল সনদ তুলে দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়টি। আর এর ফলে বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্নকারী শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানজনক ভাবে বের হয়ে যাবো, এটাই প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রত্যাশা থাকে। আর এই সম্মানজনক বিদায়ের উপায়ই হল সমাবর্তন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতো বছর সম্ভব না হলেও আমি মনে করি আগামী ১-২ বছরের মধ্যে সমাবর্তনের আয়োজন করা উচিত। বৃদ্ধ বয়সে এসে সমাবর্তন নিতে চাই না।’

এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে মূল সনদ প্রয়োজন হয়। দ্রুত সমাবর্তন দিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে মূল সনদ বুঝিয়ে দেওয়া উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি থাকবে দ্রুত যেন সমাবর্তন আয়োজনের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।’

লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্নকারী উম্মে কুলসুম হেনা বলেন, ‘সমাবর্তন এমন একটা উপলক্ষ যেইদিন শুধুমাত্র একজন শিক্ষার্থী নয় তার বাবা-মাও সম্মানিত বোধ করে। আমার অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বন্ধুদের যখন দেখি তারা সমাবর্তনে তাদের বাবা-মাকে নিয়ে আসছে, সহপাঠীদের সাথে গাউন পড়ে উচ্ছ্বাস করছে, নিজের জীবনের অন্যতম সেরা মুহুর্তকে ফ্রেমবন্দী করে স্মৃতি সংরক্ষণ করছে তখন নিজের মাঝে একধরনের আক্ষেপ কাজ করে। আমরা প্রত্যাশা করবো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ও দ্রুত সমাবর্তন আয়োজন করে আমাদেরও বাবা-মা, সহপাঠীদের সাথে এমন একটি সম্মানজনক মুহুর্ত উদযাপনের সুযোগ দিবে।’

এদিকে, সমাবর্তন আয়োজন না করায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এখন পর্যন্ত নেই কোনো রেজিস্ট্রারভুক্ত গ্রাজুয়েটও। ফলে বশেমুরবিপ্রবি আইন ২০০১ এর ১৮ নং ধারার ‘ঝ’ উপধারায় রিজেন্ট বোর্ডে রেজিস্ট্রারভুক্ত গ্রাজুয়েটদের মধ্য থেকে নির্বাচিত ৫ জন প্রতিনিধি থাকার কথা থাকলেও এখনও সেই ৫ টি পদ পূরণ করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সভায় বশেমুরবিপ্রবি থেকে অধ্যয়ন সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো: কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য দ্রুত সমাবর্তন আয়োজন করা অত্যন্ত জরুরি। আমরা উপাচার্য মহোদয়সহ সকলের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করবো এবং দ্রুত সমাবর্তন আয়োজনের চেষ্টা করবো।’

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব বলেন, ‘এই বছরেতো সমাবর্তন আয়োজন সম্ভব নয়। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে আগামী বছরে সমাবর্তন আয়োজন করার। সবকিছু ঠিক থাকলে ইনশাআল্লাহ আগামী বছরই সমাবর্তন হবে।’

প্রসঙ্গত, বশেমুরবিপ্রবিতে বর্তমানে ৩৩ টি বিভাগে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টির একাদশ ব্যাচে ভর্তি হবেন প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থী।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আগামী বছর আমরা সমাবর্তন আয়োজন করবো: বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য

আপডেট টাইম : ১০:৩১:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২

শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পর প্রায় ১২ বছর পার করেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির গ্রাজুয়েট সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার। তবে এখনও কোনো সমাবর্তন আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের হাতে মূল সনদ তুলে দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়টি। আর এর ফলে বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্নকারী শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানজনক ভাবে বের হয়ে যাবো, এটাই প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রত্যাশা থাকে। আর এই সম্মানজনক বিদায়ের উপায়ই হল সমাবর্তন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতো বছর সম্ভব না হলেও আমি মনে করি আগামী ১-২ বছরের মধ্যে সমাবর্তনের আয়োজন করা উচিত। বৃদ্ধ বয়সে এসে সমাবর্তন নিতে চাই না।’

এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে মূল সনদ প্রয়োজন হয়। দ্রুত সমাবর্তন দিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে মূল সনদ বুঝিয়ে দেওয়া উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি থাকবে দ্রুত যেন সমাবর্তন আয়োজনের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।’

লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্নকারী উম্মে কুলসুম হেনা বলেন, ‘সমাবর্তন এমন একটা উপলক্ষ যেইদিন শুধুমাত্র একজন শিক্ষার্থী নয় তার বাবা-মাও সম্মানিত বোধ করে। আমার অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বন্ধুদের যখন দেখি তারা সমাবর্তনে তাদের বাবা-মাকে নিয়ে আসছে, সহপাঠীদের সাথে গাউন পড়ে উচ্ছ্বাস করছে, নিজের জীবনের অন্যতম সেরা মুহুর্তকে ফ্রেমবন্দী করে স্মৃতি সংরক্ষণ করছে তখন নিজের মাঝে একধরনের আক্ষেপ কাজ করে। আমরা প্রত্যাশা করবো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ও দ্রুত সমাবর্তন আয়োজন করে আমাদেরও বাবা-মা, সহপাঠীদের সাথে এমন একটি সম্মানজনক মুহুর্ত উদযাপনের সুযোগ দিবে।’

এদিকে, সমাবর্তন আয়োজন না করায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এখন পর্যন্ত নেই কোনো রেজিস্ট্রারভুক্ত গ্রাজুয়েটও। ফলে বশেমুরবিপ্রবি আইন ২০০১ এর ১৮ নং ধারার ‘ঝ’ উপধারায় রিজেন্ট বোর্ডে রেজিস্ট্রারভুক্ত গ্রাজুয়েটদের মধ্য থেকে নির্বাচিত ৫ জন প্রতিনিধি থাকার কথা থাকলেও এখনও সেই ৫ টি পদ পূরণ করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সভায় বশেমুরবিপ্রবি থেকে অধ্যয়ন সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো: কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য দ্রুত সমাবর্তন আয়োজন করা অত্যন্ত জরুরি। আমরা উপাচার্য মহোদয়সহ সকলের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করবো এবং দ্রুত সমাবর্তন আয়োজনের চেষ্টা করবো।’

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব বলেন, ‘এই বছরেতো সমাবর্তন আয়োজন সম্ভব নয়। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে আগামী বছরে সমাবর্তন আয়োজন করার। সবকিছু ঠিক থাকলে ইনশাআল্লাহ আগামী বছরই সমাবর্তন হবে।’

প্রসঙ্গত, বশেমুরবিপ্রবিতে বর্তমানে ৩৩ টি বিভাগে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টির একাদশ ব্যাচে ভর্তি হবেন প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থী।