ঢাকা ০২:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুরে ঝুট গুদামের আগুন ছড়িয়েছে বসতবাড়িতে, নিয়ন্ত্রণে ৬ ইউনিট মোংলায় সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগী শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন উপ-প্রেস সচিব নেত্র নিউজের প্রতিবেদন শুল্ক থেকে রেহাই পেতে বাংলাদেশকে আরও বেশি তুলা কেনার চাপ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা: হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পার- ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন বিএনপির ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি’ কর্তিক আয়োজিত কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে নারী স্বাধীন হয়ে আজ আকাশে উড়ছে পুরুষ আজ নির্যাতিত নারীদের কাছে এই যদি হয় সমাজের অবস্থা নাসিরনগরে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জিয়া পরিষদের মতবিনিময় সভা চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য আবু বকর ছিদ্দিকের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন ১৫ বছরে সাংবাদিকদের ভূমিকা মূল্যায়নে জাতিসংঘের সহায়তা চাওয়া হবে:প্রেস সচিব

আগামী বছর আমরা সমাবর্তন আয়োজন করবো: বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ১০:৩১:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২
  • / ২২৪ ১৫০০০.০ বার পাঠক

শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পর প্রায় ১২ বছর পার করেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির গ্রাজুয়েট সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার। তবে এখনও কোনো সমাবর্তন আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের হাতে মূল সনদ তুলে দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়টি। আর এর ফলে বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্নকারী শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানজনক ভাবে বের হয়ে যাবো, এটাই প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রত্যাশা থাকে। আর এই সম্মানজনক বিদায়ের উপায়ই হল সমাবর্তন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতো বছর সম্ভব না হলেও আমি মনে করি আগামী ১-২ বছরের মধ্যে সমাবর্তনের আয়োজন করা উচিত। বৃদ্ধ বয়সে এসে সমাবর্তন নিতে চাই না।’

এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে মূল সনদ প্রয়োজন হয়। দ্রুত সমাবর্তন দিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে মূল সনদ বুঝিয়ে দেওয়া উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি থাকবে দ্রুত যেন সমাবর্তন আয়োজনের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।’

লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্নকারী উম্মে কুলসুম হেনা বলেন, ‘সমাবর্তন এমন একটা উপলক্ষ যেইদিন শুধুমাত্র একজন শিক্ষার্থী নয় তার বাবা-মাও সম্মানিত বোধ করে। আমার অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বন্ধুদের যখন দেখি তারা সমাবর্তনে তাদের বাবা-মাকে নিয়ে আসছে, সহপাঠীদের সাথে গাউন পড়ে উচ্ছ্বাস করছে, নিজের জীবনের অন্যতম সেরা মুহুর্তকে ফ্রেমবন্দী করে স্মৃতি সংরক্ষণ করছে তখন নিজের মাঝে একধরনের আক্ষেপ কাজ করে। আমরা প্রত্যাশা করবো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ও দ্রুত সমাবর্তন আয়োজন করে আমাদেরও বাবা-মা, সহপাঠীদের সাথে এমন একটি সম্মানজনক মুহুর্ত উদযাপনের সুযোগ দিবে।’

এদিকে, সমাবর্তন আয়োজন না করায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এখন পর্যন্ত নেই কোনো রেজিস্ট্রারভুক্ত গ্রাজুয়েটও। ফলে বশেমুরবিপ্রবি আইন ২০০১ এর ১৮ নং ধারার ‘ঝ’ উপধারায় রিজেন্ট বোর্ডে রেজিস্ট্রারভুক্ত গ্রাজুয়েটদের মধ্য থেকে নির্বাচিত ৫ জন প্রতিনিধি থাকার কথা থাকলেও এখনও সেই ৫ টি পদ পূরণ করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সভায় বশেমুরবিপ্রবি থেকে অধ্যয়ন সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো: কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য দ্রুত সমাবর্তন আয়োজন করা অত্যন্ত জরুরি। আমরা উপাচার্য মহোদয়সহ সকলের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করবো এবং দ্রুত সমাবর্তন আয়োজনের চেষ্টা করবো।’

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব বলেন, ‘এই বছরেতো সমাবর্তন আয়োজন সম্ভব নয়। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে আগামী বছরে সমাবর্তন আয়োজন করার। সবকিছু ঠিক থাকলে ইনশাআল্লাহ আগামী বছরই সমাবর্তন হবে।’

প্রসঙ্গত, বশেমুরবিপ্রবিতে বর্তমানে ৩৩ টি বিভাগে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টির একাদশ ব্যাচে ভর্তি হবেন প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থী।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আগামী বছর আমরা সমাবর্তন আয়োজন করবো: বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য

আপডেট টাইম : ১০:৩১:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২

শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পর প্রায় ১২ বছর পার করেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির গ্রাজুয়েট সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার। তবে এখনও কোনো সমাবর্তন আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের হাতে মূল সনদ তুলে দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়টি। আর এর ফলে বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্নকারী শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানজনক ভাবে বের হয়ে যাবো, এটাই প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রত্যাশা থাকে। আর এই সম্মানজনক বিদায়ের উপায়ই হল সমাবর্তন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতো বছর সম্ভব না হলেও আমি মনে করি আগামী ১-২ বছরের মধ্যে সমাবর্তনের আয়োজন করা উচিত। বৃদ্ধ বয়সে এসে সমাবর্তন নিতে চাই না।’

এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে মূল সনদ প্রয়োজন হয়। দ্রুত সমাবর্তন দিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে মূল সনদ বুঝিয়ে দেওয়া উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি থাকবে দ্রুত যেন সমাবর্তন আয়োজনের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।’

লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্নকারী উম্মে কুলসুম হেনা বলেন, ‘সমাবর্তন এমন একটা উপলক্ষ যেইদিন শুধুমাত্র একজন শিক্ষার্থী নয় তার বাবা-মাও সম্মানিত বোধ করে। আমার অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বন্ধুদের যখন দেখি তারা সমাবর্তনে তাদের বাবা-মাকে নিয়ে আসছে, সহপাঠীদের সাথে গাউন পড়ে উচ্ছ্বাস করছে, নিজের জীবনের অন্যতম সেরা মুহুর্তকে ফ্রেমবন্দী করে স্মৃতি সংরক্ষণ করছে তখন নিজের মাঝে একধরনের আক্ষেপ কাজ করে। আমরা প্রত্যাশা করবো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ও দ্রুত সমাবর্তন আয়োজন করে আমাদেরও বাবা-মা, সহপাঠীদের সাথে এমন একটি সম্মানজনক মুহুর্ত উদযাপনের সুযোগ দিবে।’

এদিকে, সমাবর্তন আয়োজন না করায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এখন পর্যন্ত নেই কোনো রেজিস্ট্রারভুক্ত গ্রাজুয়েটও। ফলে বশেমুরবিপ্রবি আইন ২০০১ এর ১৮ নং ধারার ‘ঝ’ উপধারায় রিজেন্ট বোর্ডে রেজিস্ট্রারভুক্ত গ্রাজুয়েটদের মধ্য থেকে নির্বাচিত ৫ জন প্রতিনিধি থাকার কথা থাকলেও এখনও সেই ৫ টি পদ পূরণ করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সভায় বশেমুরবিপ্রবি থেকে অধ্যয়ন সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো: কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য দ্রুত সমাবর্তন আয়োজন করা অত্যন্ত জরুরি। আমরা উপাচার্য মহোদয়সহ সকলের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করবো এবং দ্রুত সমাবর্তন আয়োজনের চেষ্টা করবো।’

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব বলেন, ‘এই বছরেতো সমাবর্তন আয়োজন সম্ভব নয়। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে আগামী বছরে সমাবর্তন আয়োজন করার। সবকিছু ঠিক থাকলে ইনশাআল্লাহ আগামী বছরই সমাবর্তন হবে।’

প্রসঙ্গত, বশেমুরবিপ্রবিতে বর্তমানে ৩৩ টি বিভাগে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টির একাদশ ব্যাচে ভর্তি হবেন প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থী।