বরগুনায় বখাটে ভাতিজা কর্তৃক চাচাকে মারধর
- আপডেট টাইম : ১০:৪৬:৪৯ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২
- / ১৫৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
বখাটে ভাতিজার বেদম মারধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চাচা। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
গত ১৯ অক্টোবর (বুধবার) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বরগুনা পৌরশহরের ৩নং ওয়ার্ডের শিপের খাল মার্কাজ মসজিদের সামনে ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী কামাল বিশ্বাস শিপের খাল এলাকার মৃত মজিদ মহুরির ছেলে।
ভুক্তভোগী কামাল বিশ্বাস বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বড় ভাই বন কর্মকর্তা জামাল বিশ্বাসের সাথে ঝামেলা চলছিল। সেই জের ধরে ঘটনার দিন শিপের খাল এলাকার মার্কাজ মসজিদে মাগরিবের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে তার বড় ভাইয়ের ছেলে বখাটে হাসান আমার পিছন থেকে এসে জিআই পাইপ দিয়ে আমার শরীরের পিছনের অংশে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে আমাকে রাস্তায় ফেলে দেয়। এসময় আমার পিছনে থাকা অন্যান্য মুসুল্লিগণ দ্রুত এগিয়ে আসলে আমার কাছে থাকা মোবাইল ফোনটি পিটিয়ে গুড়িয়ে দিয়ে ছোট জামাইয়ের কাছ থেকে নেওয়া ১৪,০০০ টাকা নিয়ে অভিযুক্ত বখাটে হাসান দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমার স্ত্রী আকলিমা বেগম আমাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এই সুযোগে বখাটে হাসান কিছু বহিরাগত ছেলেদের নিয়ে আমার ঘরে থাকা দুটি বিবাহিত মেয়ে কামিয়া ও লামিয়াকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধরের হুমকি দেয়। বাড়ির আশেপাশের লোকজন আমার ঘরের দিকে আসতে দেখে বখাটে হাসান তার সাথে থাকা লোকজন নিয়ে চলে যায়।
স্থানীয় হাবিব বলেন, নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দেখি হাসান তার চাচা কামাল বিশ্বাসকে রাস্তার মধ্যেই জিআই পাইপ দিয়ে মারতে ছিলো। এসময় আমিসহ আরো কয়েকজন মুসুল্লি এগিয়ে আসলে হাসান দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে আমরা কামাল বিশ্বাসকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠাই।
অভিযুক্ত হাসানের বাবা জামাল বিশ্বাসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে মারধরের ঘটনা বিষয় স্বীকার করে বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ মারধরের ঘটনা ঘটেছে। কামাল বিশ্বাস এর আগে আমাকে মারার জন্য বেশ কয়েকবার তেড়ে আসছিলো, হয়তো সেই ঘটনার জেরে এমনটি ঘটেছে।
তিনি আরো বলেন,ঘটনার সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না, তবে কামাল বিশ্বাসকে হাসান মারধর করেছে তিনি পরে শুনেছেন।
অভিযুক্ত হাসানের বাড়িতে গিয়েও বাড়িতে না থাকার কারনে হাসানের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহমেদ বলেন, ঘটনার বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ পাইনি, তবে অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।