ঢাকা ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
এরা কোথায় যারা ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে সংবাদ মাদ্যম ও সাংবাদিক পেশা ধারন করে দুনীতি করেছে এবং  দেশকে ধ্বংস করেছে প্রবীণ সম্পাদকের অজান্তেই মামলা ও ওয়ারেন্ট: সাংবাদিক মহলে তীব্র প্রতিবাদ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গাজীপুরের কাশিমপুর ফুটবল খেলারমাঠে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে টিভিতে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে মোংলায় সংবাদ সম্মেলন জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে মোদিকে আমন্ত্রণ পাঠায়নি কানাডা নিজের গুম নিয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে অভিযোগ দিলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ টাঙ্গাইলের মহাসড়কে ঝরলো বাবা ও দুই ছেলের প্রাণ স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর আপেল মাহমুদকে প্রমাণ দিতে হলো তিনি মুক্তিযোদ্ধা নাসিরনগরে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন বিরলে কমিউনিটি ক্লিনিকের সি,এইচ,সি,পি (CHCP) রাজনৈতিক মামলার আসামি।

বাসস্ট্যান্ডে দুই সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে পালিয়েছে স্বামী

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ১০:১৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৩৭৫ ১৫০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় দুই সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে পালালেন স্বামী। তীব্র শীতের মধ্যে বাসস্ট্যান্ডে বসে আছেন মধ্যবয়সী এক নারী। তার কোলে ছয় মাসের শিশু। পাশেই হাত দিয়ে ধরে রেখেছেন চার বছর বয়সী আরেক সন্তানকে।

একই সঙ্গে মোবাইলে কান্না করে ওই নারী কাউকে বলেছেন, আমাকে নিয়ে যান আপনি কোথায় গেলেন, আমি আপনার কাছে কিছুই চাই না, শুধু সংসার করতে চাই।শুক্রবার এ ধরনের ঘটনা ঘটে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইল উপজেলা সদরের পুরনো বাসস্ট্যান্ডে।

জানাগেছে, বিয়ে হওয়ার ১০ বছর পর প্রথমবারের মতো শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাসস্ট্যান্ডে ওই নারীকে সন্তানসহ রেখে লাপাত্তা হন স্বামী। বারবার ফোন দিলেও তার পক্ষে আর সংসার করা সম্ভব নয় বলে ফোন কেটে দেন।

বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান করা যাত্রীবাহী বাসের টিকিট মাস্টার-মুন্না মিয়া জানান, খুব ভোরে ওই নারী দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে আসেন।

পরে দেখা যায়, ওই নারী মোবাইল ফোনে কার সঙ্গে যেন উচ্চস্বরে কান্না করে তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আকুতি-জানান।

ওই নারী বলেন, তার নাম ঋতু পর্ণা (২২)। তিনি জামালপুর জেলার সদর উপজেলার লাহিড়িকান্দা নামক স্থানের সামছুল হকের মেয়ে। তিনি ঢাকায় গার্মেন্টে কাজ করতেন। সেখানেই পরিচয়ের সূত্র ধরে ১০ বছর আগে বিয়ে হয় মোশারফ হোসেন (২৫) নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। কয়েক বছর ঢাকায় থাকার পর বাবার বাড়িতে চলে আসেন। স্বামী মোশারফও মাঝেমধ্যে আসতেন। তাদের সংসারে নিরব ও রূপা নামে দুটি সন্তান রয়েছে।

সন্তান জন্ম নেওয়ার পর থেকেই ভরণ-পোষণ দিতে অনীহা দেখায় স্বামী। একপর্যায়ে শ্বশুরবাড়ি যেতে চাইলে বিভিন্ন তালবাহানায় এড়িয়ে যায়।

সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার দুই সন্তানের অসুস্থতার কথা বলে টাকা দাবি করলে স্বামী মোশারফ দিতে অস্বীকার করেন। পরে সন্তানসহ নিজে আত্মহত্যার হুমকি দিলে তাকে ফোনে জানায় নান্দাইলে আসার জন্য।

তার কথামতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর নান্দাইল সদরে এসে তাকে খোঁজ করে পাওয়া যায়নি। তার সঙ্গে থাকা স্বামীর একটি জন্ম নিবন্ধনের ঠিকানা ধরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের লংগারপার গ্রামে গিয়ে স্বামীর সন্ধান পান।

রাত যাপনের পর শুক্রবার তাকে নিয়ে আসে নান্দাইল বাসস্ট্যান্ডে। এরপর আসছি বলে একটি বাসে উঠে চলে যায় স্বামী মোশারফ। বেশ কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও স্বামীর খোঁজ পাননি ওই নারী। ওই-নারী অবশেষে বাপের বাড়িতে চলে যায়।

নান্দাইল মডেল থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, শুক্রবার রাতে তিনি বিষয়টি জানতে পেরেছেন। তবে থানায় কোন অভিযোগ না দেওয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় নাই।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাসস্ট্যান্ডে দুই সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে পালিয়েছে স্বামী

আপডেট টাইম : ১০:১৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় দুই সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে পালালেন স্বামী। তীব্র শীতের মধ্যে বাসস্ট্যান্ডে বসে আছেন মধ্যবয়সী এক নারী। তার কোলে ছয় মাসের শিশু। পাশেই হাত দিয়ে ধরে রেখেছেন চার বছর বয়সী আরেক সন্তানকে।

একই সঙ্গে মোবাইলে কান্না করে ওই নারী কাউকে বলেছেন, আমাকে নিয়ে যান আপনি কোথায় গেলেন, আমি আপনার কাছে কিছুই চাই না, শুধু সংসার করতে চাই।শুক্রবার এ ধরনের ঘটনা ঘটে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইল উপজেলা সদরের পুরনো বাসস্ট্যান্ডে।

জানাগেছে, বিয়ে হওয়ার ১০ বছর পর প্রথমবারের মতো শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাসস্ট্যান্ডে ওই নারীকে সন্তানসহ রেখে লাপাত্তা হন স্বামী। বারবার ফোন দিলেও তার পক্ষে আর সংসার করা সম্ভব নয় বলে ফোন কেটে দেন।

বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান করা যাত্রীবাহী বাসের টিকিট মাস্টার-মুন্না মিয়া জানান, খুব ভোরে ওই নারী দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে আসেন।

পরে দেখা যায়, ওই নারী মোবাইল ফোনে কার সঙ্গে যেন উচ্চস্বরে কান্না করে তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আকুতি-জানান।

ওই নারী বলেন, তার নাম ঋতু পর্ণা (২২)। তিনি জামালপুর জেলার সদর উপজেলার লাহিড়িকান্দা নামক স্থানের সামছুল হকের মেয়ে। তিনি ঢাকায় গার্মেন্টে কাজ করতেন। সেখানেই পরিচয়ের সূত্র ধরে ১০ বছর আগে বিয়ে হয় মোশারফ হোসেন (২৫) নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। কয়েক বছর ঢাকায় থাকার পর বাবার বাড়িতে চলে আসেন। স্বামী মোশারফও মাঝেমধ্যে আসতেন। তাদের সংসারে নিরব ও রূপা নামে দুটি সন্তান রয়েছে।

সন্তান জন্ম নেওয়ার পর থেকেই ভরণ-পোষণ দিতে অনীহা দেখায় স্বামী। একপর্যায়ে শ্বশুরবাড়ি যেতে চাইলে বিভিন্ন তালবাহানায় এড়িয়ে যায়।

সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার দুই সন্তানের অসুস্থতার কথা বলে টাকা দাবি করলে স্বামী মোশারফ দিতে অস্বীকার করেন। পরে সন্তানসহ নিজে আত্মহত্যার হুমকি দিলে তাকে ফোনে জানায় নান্দাইলে আসার জন্য।

তার কথামতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর নান্দাইল সদরে এসে তাকে খোঁজ করে পাওয়া যায়নি। তার সঙ্গে থাকা স্বামীর একটি জন্ম নিবন্ধনের ঠিকানা ধরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের লংগারপার গ্রামে গিয়ে স্বামীর সন্ধান পান।

রাত যাপনের পর শুক্রবার তাকে নিয়ে আসে নান্দাইল বাসস্ট্যান্ডে। এরপর আসছি বলে একটি বাসে উঠে চলে যায় স্বামী মোশারফ। বেশ কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও স্বামীর খোঁজ পাননি ওই নারী। ওই-নারী অবশেষে বাপের বাড়িতে চলে যায়।

নান্দাইল মডেল থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, শুক্রবার রাতে তিনি বিষয়টি জানতে পেরেছেন। তবে থানায় কোন অভিযোগ না দেওয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় নাই।