বাসা ভাড়া দিয়ে বিপাকে পড়েছে বাড়ির মালিক
- আপডেট টাইম : ১০:৫৪:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ অক্টোবর ২০২২
- / ২০০ ৫০০০.০ বার পাঠক
গাজীপুর মহানগর ২ নং ওয়ার্ডের শ্রীপুর পেট্রোল পাম্পের উত্তর পার্শে গড়ে উঠেছে একটি বহুতল ভবন, এ ভবন টির মালিক পক্ষ এর নিকট থেকে ৫ লক্ষ টাকা জামানত এবং প্রতি মাসে ৬০ হাজার টাকা চুক্তি
মোতাবেক ভাড়া নিয়েছেন ইমরান নামক এক ব্যাক্তি,তিনি সেখানে গড়ে তুলেছেন একটি পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামক একটি স্পেশাল ক্লিনিক,বছর যেতে না যেতেই অর্ধ বছরের বাসা ভাড়া বকেয়া পড়ায়,ভাড়াটিয়া ইমরান কে
বহু বার ভাড়ার টাকার বিষয়ে বললেও তিনি বিন্দুমাত্র কর্নপাত না করায়,বাড়ির মালিক অসহায়ত্ব বোধ করে
আইনের প্রতি সম্মান জানিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়ে আইনজীবী কে দিয়ে বাসা ছেড়ে দেওয়ার অভিমত প্রকাশ করে একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন ভাড়াটিয়া ইমরান কে।ভাড়াটিয়া ইমরান লিগ্যাল নোটিশের জবাব দিয়ে আদালতে প্রেরণ করেন।জবাবে ইমরান বলেন আমার অগ্রিম জামানত থেকে ৬ মাসের ভাড়া কর্তন করে আমার বকেয়া টাকা ফেরত প্রদান করার জন্য অনুরোধ রহিলো,সাথে আমার মাল মাল গুলো মালিকপক্ষের হেপাজতে রাখার অনুরোধ করেন,অপরদিকে তৃতীয় পক্ষ মাজহারুল গং ভবনটি দখল করে রেখেছে কোনোক্রমে তিনি তার দখল ছাড়ছেন না,মালিকপক্ষ হতাশাগ্রস্ত হয়ে
কাশিমপুর মেট্রোপলিটন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন,অভিযোগ এর আয়ু হিসাবে বিষয়টি দেখভাল করেন এস আই. তানভির তুষার এস আই বলেন এরা সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে ভবনটি দখলে নিয়েছেন,মুল ভাড়াটিয়া ইমরান নিজেই মুঠোফোনে ৭ ই অক্টোবর ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোন্তাজ উদ্দিন মন্ডল এর কার্যলায়ে বসা বসির মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করার কথা বললেও তিনি কোনো অদৃশ্য শক্তির বলে বলিয়ান হয়ে কাউন্সিলর কার্যালয়ে উপস্থিত হননি।কাউন্সিলর মমতাজ উদ্দিন মন্ডল তিনি আরেকটি সুযোগ দিয়ে ইমরান কে একটা নোটিশ প্রদান করার কথা জানিয়ে প্রথম পক্ষ বাড়ির মালিক কে আগামী মঙ্গলবার তার কার্যলায়ে উপস্থিত থাকার নির্দেশ প্রেরন করেন।এ দিকে একাধিক গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুরা ভবনটি পর্যবেক্ষন করেন বিল্ডিং এর নিচ তলাটি একটি রেস্টুরেন্ট এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ক্লিনিক এর মত সিস্টেম করে রেখেছেন,তবে কোনো ডাঃ এর দেখা মেলেনি কোনো রুগি ও সেখানে নেই,গজ ব্যান্ডেজ আছে সেটা হাতে কোনো কাভার ছাড়াই প্যাকেকিং করছেন অনভিজ্ঞতার কিছু নারী কর্মীরা।চতুর্থ তলা থেকে বসবাসরত বাসা হিসাবে ভাড়া দিয়ে রাখছেন,তৃতীয়পক্ষের নিকট থেকে বাড়িটি উদ্ধার করা যাচ্ছে না এটি বড় দুঃখের বিষয়।অপর দিকে তৃতীয় পক্ষ মাজহারুল গং বলেন আমরা ক্লিনিক করেছি প্রচার প্রচারনা করতে পারেনি এই একটি বছর লোকসানের দাবানলে নিঃস্ব হতে চলেছি,এমত অবস্থায় ক্লিনিক ছেড়ে দিলে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা লোকসান এর বোঝা মাথায় নিয়ে পথে বসতে হবে মানবেতর জীবনযাপন করতে হবে,আমাদের কে রক্ষা করুন পূবের ন্যায় পুনরায় আমাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সুযোগ দিন,আমরা যারা আছি আমাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ করে দিন, একটা সুযোগ দিন ব্যর্থ হলে জরিমানা দিয়ে বিনা নোটিশে বিল্ডিং নিয়ে নিন।