ঢাকা ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নির্বাচনের তিন বছর পর চেয়ারম্যান এর চেয়ার এ বসলেন দুলু নাসিরনগরে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালিত এখন রাজপথে থাকা বেশি প্রয়োজন, তাই পদত্যাগ করেছি: নাহিদ ইসলাম পিলখানা হত্যাকাণ্ড হুমকির মুখে বাংলাদেশ, সেনাবাহিনীর প্রধান অপারেশন ডেভিল হান্টে মোংলায় ২ জনকে আটক জামায়াত নেতা আজহার লিভ টু আপিলের অনুমতি পাবেন, আদেশ বুধবার শতাধিক সদস্যের কমিটি নিয়ে আত্মপ্রকাশ করছে ছাত্রদের নতুন দল জেলা বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে ফুলবাড়ীতে মানবন্ধন ভৈরবে সুইচ গিয়ার এক ছিনতাইকারী কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪ ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের বিশুদ্ধানন্দ – শুভানন্দ অডিটোরিয়াম অনুষ্ঠিত ২০২৫

বানরীপাড়ার চৌমোহনা বাজারের স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আল-আমিন এর দোকান থেকে দোকান ম্যানেজার বজলুর বিরুদ্ধে অর্ধ কুটি টাকা আত্মসাধের অভিযোগ করেছে থানায়

স্টাফ রিপোর্টার, ফাইজুর রহমান শুভ।
  • আপডেট টাইম : ০১:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ অক্টোবর ২০২২
  • / ২৭০ ৫০০০.০ বার পাঠক

মেসার্স মদিনা ট্রেডার্স নামক একটি প্রতিষ্ঠানে ৭০০০ টাকা বেতনে ২০১৭ সালে কর্মজীবন শুরু করেন বজলু মিয়া। বছর না ঘুরতেই ২০১৮ সালে ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে যান অভিযুক্ত বজলু মিয়া। বজলু দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই ব্যবসায়ী আল-আমিন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসায়িক কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এ সময় ব্যবসায়ী আল- আমিন তার প্রতিষ্ঠানের সঠিক তদারকি না করতে পারায় বজলু যেন হাতে পেয়ে গেলেন টাকার মেশিন । বৈঠাকাটা বাজার এবং পদ্মডুবি বাজারে সাত জনকে ১১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা সুদে দেয়ার মাধ্যমে অভিযুক্ত বজলু মিয়া নিজেকে জানান দিতে শুরু করে একজন সুদি ব্যবসায়ী হিসাবে। এমত অবস্থায় বজলু মিয়ার বাড়িতে নিয়মিত গ্রামের লোকজন সুদে টাকা নেয়ার জন্য আসতো তার প্রেক্ষিতে সোনাপুর এবং শিবপুর নামক গ্রামে বজলু মিয়া আরো ৭ লক্ষ টাকার মতো সুদে দিয়েছেন বলে থানায় অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আল- আমিন।

ব্যবসায়ী আল-আমিন অভিযোগে আরো বলেন। অভিযুক্ত বজলুর স্ত্রী বাড়ি বসে গ্রামের লোকদের কাছে সুদের টাকার লেনদেন করতেন। বজলুর স্ত্রী ও ছেলের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করেন বজলু। বাড়িতে আসবাবপত্র এবং স্ত্রী ও মেয়ের স্বর্ণ অলংকার ক্রায় প্রায় ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা খরচ করেন বজলু মিয়া। এবং ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আল-আমিনের প্রতিষ্ঠানে থাকা অবস্থায় গ্রামের লোকজনের কাছে বজলু ব্যক্তিগতভাবে বাকি দিয়েছিল দেড় লক্ষ টাকা।

এক পর্যায় ঘটনা জানাজানি হলে তদন্ত শুরু করেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আল-আমিন। ঘটনার সত্যতা পেয়ে বজলু মিয়াকে ডেকে আল-আমিন প্রতিষ্ঠানের সকল হিসাব-নিকাশ চাইলেন। হিসাব না দিয়ে কৌশলে শটকে পড়েন বজলু শুরু করেন নিজেই ব্যবসা। বজলু ব্যবসা শুরু হলেও আল-আমিনের প্রতিষ্ঠানের অবস্থা হয়ে পড়ে। দুটি ব্যাংকের ঋণ খেলাবি সহ তিনটি কোম্পানির টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ আল-আমিন।এতে ব্যাংকের লোন তিন গুণ হারে সুদের হার বাড়তে থাকে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগের এক পর্যায়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ মীমাংসার ব্যবস্থা করেন স্থানীয় লোকজন। এতে উপস্থিত ছিলেন ১ নং বিশারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শান্ত, সাবেক চেয়ারম্যান এবং বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া, ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নান্না, বানরীপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাহাত সুমন সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ।

বজলু মিয়া ঘটনা সত্যতা না স্বীকার করায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আগামী ০৭-১০-২০২২ ইং তারিখে সালিশের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বানরীপাড়ার চৌমোহনা বাজারের স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আল-আমিন এর দোকান থেকে দোকান ম্যানেজার বজলুর বিরুদ্ধে অর্ধ কুটি টাকা আত্মসাধের অভিযোগ করেছে থানায়

আপডেট টাইম : ০১:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ অক্টোবর ২০২২

মেসার্স মদিনা ট্রেডার্স নামক একটি প্রতিষ্ঠানে ৭০০০ টাকা বেতনে ২০১৭ সালে কর্মজীবন শুরু করেন বজলু মিয়া। বছর না ঘুরতেই ২০১৮ সালে ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে যান অভিযুক্ত বজলু মিয়া। বজলু দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই ব্যবসায়ী আল-আমিন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসায়িক কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এ সময় ব্যবসায়ী আল- আমিন তার প্রতিষ্ঠানের সঠিক তদারকি না করতে পারায় বজলু যেন হাতে পেয়ে গেলেন টাকার মেশিন । বৈঠাকাটা বাজার এবং পদ্মডুবি বাজারে সাত জনকে ১১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা সুদে দেয়ার মাধ্যমে অভিযুক্ত বজলু মিয়া নিজেকে জানান দিতে শুরু করে একজন সুদি ব্যবসায়ী হিসাবে। এমত অবস্থায় বজলু মিয়ার বাড়িতে নিয়মিত গ্রামের লোকজন সুদে টাকা নেয়ার জন্য আসতো তার প্রেক্ষিতে সোনাপুর এবং শিবপুর নামক গ্রামে বজলু মিয়া আরো ৭ লক্ষ টাকার মতো সুদে দিয়েছেন বলে থানায় অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আল- আমিন।

ব্যবসায়ী আল-আমিন অভিযোগে আরো বলেন। অভিযুক্ত বজলুর স্ত্রী বাড়ি বসে গ্রামের লোকদের কাছে সুদের টাকার লেনদেন করতেন। বজলুর স্ত্রী ও ছেলের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করেন বজলু। বাড়িতে আসবাবপত্র এবং স্ত্রী ও মেয়ের স্বর্ণ অলংকার ক্রায় প্রায় ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা খরচ করেন বজলু মিয়া। এবং ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আল-আমিনের প্রতিষ্ঠানে থাকা অবস্থায় গ্রামের লোকজনের কাছে বজলু ব্যক্তিগতভাবে বাকি দিয়েছিল দেড় লক্ষ টাকা।

এক পর্যায় ঘটনা জানাজানি হলে তদন্ত শুরু করেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আল-আমিন। ঘটনার সত্যতা পেয়ে বজলু মিয়াকে ডেকে আল-আমিন প্রতিষ্ঠানের সকল হিসাব-নিকাশ চাইলেন। হিসাব না দিয়ে কৌশলে শটকে পড়েন বজলু শুরু করেন নিজেই ব্যবসা। বজলু ব্যবসা শুরু হলেও আল-আমিনের প্রতিষ্ঠানের অবস্থা হয়ে পড়ে। দুটি ব্যাংকের ঋণ খেলাবি সহ তিনটি কোম্পানির টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ আল-আমিন।এতে ব্যাংকের লোন তিন গুণ হারে সুদের হার বাড়তে থাকে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগের এক পর্যায়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ মীমাংসার ব্যবস্থা করেন স্থানীয় লোকজন। এতে উপস্থিত ছিলেন ১ নং বিশারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শান্ত, সাবেক চেয়ারম্যান এবং বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া, ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নান্না, বানরীপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাহাত সুমন সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ।

বজলু মিয়া ঘটনা সত্যতা না স্বীকার করায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আগামী ০৭-১০-২০২২ ইং তারিখে সালিশের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।