কাশিমপুরে গরু ডাকাতি থেকে রেহাই পেতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন,তাদের দাবি আইনশৃঙ্খলার অবনতি
- আপডেট টাইম : ০১:৩২:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৮২ ৫০০০.০ বার পাঠক
মঙ্গলবার (২০সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাশিমপুর মেট্রোপলিটন থানাi এলাকার পানিশাইল উত্তরপাড়ায় গরু ডাকাতি থেকে রেহাই পেতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন অনুস্ঠিত হয়।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন বলেন, গত আগস্ট মাসের ২৫ তারিখের দিকে গিয়াস উদ্দিন স্কুলের দপ্তরি আহাদ আলীর তিনটি গরু ডাকাতি হয়ে যায়, কয়েকদিন আগে হোসেন মৃধা নামের একজন ব্যক্তির দুটি গরু ডাকাতি করেছিল,ফারুক মন্ডলের ১টি,দুপুর ৪টি,সামাদের ৬টি,গোবিন্দ বাড়ী সামাদের ৩টি,টিটোনের ২টি,কবিরের১টি,লোকমানের ২টি, সিদ্দিকের১টি, নয়নখার১টি,গায়েন বাড়ীর আলাল উদ্দিনের ২টি, শরীফ ডাক্তারের ৩টি,এরকম কয়েকশত কৃষক ও গৃহস্থদের গরু চুরি হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কখনও কোনো গরু চোর বা ডাকাতদের গ্রেপ্তার বা আটক করতে না পারায় খোব জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত ১৫সেপ্টেম্বর ভোরে গরু ডাকাতি প্রস্তুতি কালে গনধোলাইয়ের শিকার ৩জন শিকার করে বলেন,লিটু খান ও স্বপন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের গরু চোর ও ডাকাতদের নিয়ে এসে বাসায় রেখে তার নেতৃত্বে এলাকায় গরুর গোয়ালঘর থেকে গরু ডাকাতি করে নিয়ে বিভিন্ন যায়গায় বিক্রি করে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত কয়েক বছরে প্রায় কয়েক হাজার গরু ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মানববন্ধনে প্রায় একহাজার নারী পুরুষ বৃদ্ধ এবং ভুক্তভোগীরা উপস্থিত হয়ে গরু চোর, ডাকাতদের প্রতি অতিস্ট হয়ে বলেন, আমরা এলাকাবাসী রাতে ঘুমাতে পারিনা, রাত জেগে থাকার পরেও গরুর গোয়াল ঘর থেকে স্হানীয় বাসিন্দা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহর ছোট ভাই লিটু খান এবং স্বপন, সোহেল, বোস,মিজানের নেতৃত্বে গরু চুরি এবং ডাকাতি করে আসছে যা গত ১৫ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত ৩টায় গরু ডাকাতি প্রস্তুতিকালে তিনজন ডাকাতকে এলাকাবাসী ধরে গণধোলাই দিয়ে কাশিমপুর মেট্রোপলিটন থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন,পরে থানা পুলিশ আহত ডাকাতদের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাশেদুল নামের এক ডাকাতকে সুস্থতার ছার পত্র দিলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। বাকী ২জন ডাকাত সুস্থ হলে তাদেরকেও আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করবেন বলে এ প্রতিবেদক’কে জানিয়েছেন থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগিরা মানববন্ধনে উপস্হিত হয়ে বলেন, গত কয়েক বছরে কয়েক হাজার গরু চুরি এবং ডাকাতি হলেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ সদস্যরা এ পর্যন্ত একজন গরু চোর বা ডাকাত কে গ্রেপ্তার করতে পারেনি গত কয়েক বছরে। আমরা আশা করি আমরা যে আজকে মানববন্ধন করলাম এরপর থেকে গরু চোর এবং ডাকাতদের যে যেখানে থাকনা কেনো তাদেরকে সেখান থেকে ধরে নিয়ে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে আমাদের গরু চুরি থেকে রেহাই পেতে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে আমরা আশাবাদী গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্ল্যা নজরুল ইসলামের কাছে এবং কাশিমপুর মেট্রোপলিটন থানার কাছে তারা এ দাবি জানিয়েছেন দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির দাবিও জানান তারা।
এ বিষয়ে জানতে কাশিমপুর মেট্রোপলিটন থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ রাফিউল করিমের সরকারি মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে পরে রিসিভ করে… সাংবাদিক পরিচয় পেলে ব্যাস্ত বলে পরে কল দিয়ে কথা বলবো বলে ফোন কেটে দেন তিনি।
অন্যদিকে কাশিমপুরে আইনসৃংখলা অবনতীর এলাকাবাসী কর্তৃক অভিযোগের বিষয়টি জানতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্ল্যা নজরুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাকেও পাওয়া যায়নি।