ঢাকা ০৮:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
চাঁদপুর মুসআব বিন উমাইর রা:মাসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্স এর উদ্যোগে হুদাল্লিল মুত্তাক্কিন কনফারেন্স অনুষ্ঠিত মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রি -ক্যাডেট স্কুল মহম্মদপুর আইডিয়াল একাডেমীর নবীন বরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা- ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে শ্রীপুরের বরমী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ গ্রামীণ জীবনযাত্রা ও সাম্প্রীতিক আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে প্রথম হলেন সাংবাদিক সাকিল আহমেদ জামিন পেলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি, পেছালো শুনানি পাকিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, নিহত ৩০ সিন্ডিকেট করে ‘লুটপাট’ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প আজমিরীগঞ্জে কনকনে ঠান্ডা বাতাস ও  তীব্র শীতে  জন জীবন বিপর্যস্ত ঠাকুরগাঁও রিপোর্টার্স ইউনিটির আহবায়ক কমিটি গঠন

রাজেন্দ্রাপুরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

মোঃ জামাল আহমেদ, স্টাফ রিপোর্টার।
  • আপডেট টাইম : ০৫:২৩:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৪৪৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

গাজীপুরের রাজেন্দ্রাপুর ঋষি পাড়ায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।

জানা যায় মৃতঃ ইসমতারা (পরিমনি ২৫), পিতা হেলাল সরকার, গ্রাম গুয়াগাঁতী, থানা উল্লাপাড়া, জেলা সিরাজগঞ্জ, মোঃ তারিকুল ইসলাম, পিতা কফিল উদ্দিন গ্রাম নাইমুরি থানা সলঙ্গা, জেলা সিরাজগঞ্জ, গাজীপুরের শ্রীপুর সাঁটিয়া বাড়ি ঋষি পাড়ায় দুই স্ত্রী সহ ভাড়ায় থেকে চাকুরী করতো।
উক্ত বিষয়ে গৃহবধূর স্বামী তারিকুল ইসলাম জানান (গত ১২ সেপ্টেম্বর) রবিবার রাত দুই ঘটিকার সময় ছোট স্ত্রী পরির রুম থেকে আমার বড় স্ত্রী তুলির রুমে যাই।
কিছুকখন পর আমার দের বছর বয়সী মেয়ে কান্না শুরু করলে আমি ও আমার বড় স্ত্রী,সহ পরির রুমে গিয়ে দেখি দরজা খোলা এবং গলায় ওড়না দিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস দেওয়া অবস্থা রয়েছে। তবে পা মাটিতে ছিলো। পরে আমিও আমার বড় স্ত্রী তুলি তাকে ফাঁস থেকে নামিয়ে বাড়িওলাকে ডাকি।
তখন জীবিত অবস্থায়ই ছিলো আমি তাকে পানি খাওয়াইছি, পরে বাড়িওয়ালা এবং পাশের রুমের কয়েক জন আশে এবং শরীর ঠান্ডা থাকার করণে বলে খেতা দিয়ে ডেকে পাশে শুয়ে থাকো শরীর গরম হলে ঠিক হয়ে যাবে।
উক্ত বাড়ির মালিক সাত্তার মিয়ার স্ত্রী জানান ফাঁসি দেওয়ার বিষয়ে আমরা জানিনা তবে সোমবার সকাল অনুমান ৮টার সময় তাদের মেয়ের কান্না শুনে তাদের ডাকি পরে দরজা খুলে বলে আমার স্ত্রীর হাত ও ঠান্ডা হয়ে গেছে খালা দেখেনতো কি হয়েছে।
আমরা পরে গিয়ে দেখি সে মৃত হাত পা শক্ত হয়ে গেছে। পরে জানতে পারি স্টোক করে মারা গেছে। তবে রাত্রের বিষয়ে আমাদের জানা নেই।
এরই মধ্যে তারিকুল লাশটি দেশের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে গাড়ি নিয়ে আসে এবং লাশটি দেশে বাড়ী সিরাজগঞ্জ জেলা সলঙ্গা থানা, নাইমুরি,গ্ৰাম নিয়ে যায়। বাড়ি নেওয়ার পরে শুনতে পারছি ফাঁস দিয়ে আত্ম হত্যা করেছে পরি ।

এবিষয়ে পরে আমরা স্থানীয় মেম্বার সহ কয়েক জনকে অবগত করি।

এব্যপারে রাজেন্দ্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার মনিরা পারভীন কে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা হত্যা না আত্মা হত্যা আমি জানিনা।
যেহেতু লাশ নিয়ে যাওয়ার পরে আমাদের খবর দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।
এবিষয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় যোগাযোগ করলে তারা এবিষয়ে অবগত নয় বলে জানান,
উক্ত বিষয়ে মৃত ইসমতারা ( পরির) বাবা মোঃ হেলাল সরকার জানান এটা একটা পরিকল্পিত খুন বলে আমি মনে করি।
পরি মারা যাওয়ার তিনদিন আগে আমার বাড়ি থেকে চাকুরী করার কথা বলে সুস্থ অবস্থায় তার স্বামী তরিকুল গাজীপুরে নিয়ে যায়।
তিনদিন পরে মৃত্যুর কথা শুনে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি,, ঔ দিন লাশটি বাড়ি আনার পরে আমাদের খবর দেয়, পরে আমরা গিয়ে দেখি লাশ বাড়ির মধ্যে পরে রয়েছে। কিন্তু বাড়িতে অন্য কোন লোক নেই। আমার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিন্হ রয়েছে, ওরা আমার মেয়েকে খুন করেছে , আমি সরকারের কাছে খুনিদের বিরুদ্বে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এবিষয়ে সলঙ্গা থানার এস আই খালেক জানান আমরা ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ঘটনা স্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান,
এলাকাবাসী জানান মেয়েটি যদি এমনিতেই মারা যেত তাহলে লাশ রেখে স্বামী পালালো কেন, আবার কাউকে না জানিয়ে লাশটি এলাকায় নিলো প্রশাসন জানলো না কেন, এখানে অবসই কোন না কোন রহস্য লুকিয়ে আছে উক্ত বিষয়ে খতিয়ে দেখে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানাচ্ছি এলাকাবাসী।
দৈনিক সময়ের কন্ঠ পর্ব- ১

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাজেন্দ্রাপুরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

আপডেট টাইম : ০৫:২৩:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

গাজীপুরের রাজেন্দ্রাপুর ঋষি পাড়ায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।

জানা যায় মৃতঃ ইসমতারা (পরিমনি ২৫), পিতা হেলাল সরকার, গ্রাম গুয়াগাঁতী, থানা উল্লাপাড়া, জেলা সিরাজগঞ্জ, মোঃ তারিকুল ইসলাম, পিতা কফিল উদ্দিন গ্রাম নাইমুরি থানা সলঙ্গা, জেলা সিরাজগঞ্জ, গাজীপুরের শ্রীপুর সাঁটিয়া বাড়ি ঋষি পাড়ায় দুই স্ত্রী সহ ভাড়ায় থেকে চাকুরী করতো।
উক্ত বিষয়ে গৃহবধূর স্বামী তারিকুল ইসলাম জানান (গত ১২ সেপ্টেম্বর) রবিবার রাত দুই ঘটিকার সময় ছোট স্ত্রী পরির রুম থেকে আমার বড় স্ত্রী তুলির রুমে যাই।
কিছুকখন পর আমার দের বছর বয়সী মেয়ে কান্না শুরু করলে আমি ও আমার বড় স্ত্রী,সহ পরির রুমে গিয়ে দেখি দরজা খোলা এবং গলায় ওড়না দিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস দেওয়া অবস্থা রয়েছে। তবে পা মাটিতে ছিলো। পরে আমিও আমার বড় স্ত্রী তুলি তাকে ফাঁস থেকে নামিয়ে বাড়িওলাকে ডাকি।
তখন জীবিত অবস্থায়ই ছিলো আমি তাকে পানি খাওয়াইছি, পরে বাড়িওয়ালা এবং পাশের রুমের কয়েক জন আশে এবং শরীর ঠান্ডা থাকার করণে বলে খেতা দিয়ে ডেকে পাশে শুয়ে থাকো শরীর গরম হলে ঠিক হয়ে যাবে।
উক্ত বাড়ির মালিক সাত্তার মিয়ার স্ত্রী জানান ফাঁসি দেওয়ার বিষয়ে আমরা জানিনা তবে সোমবার সকাল অনুমান ৮টার সময় তাদের মেয়ের কান্না শুনে তাদের ডাকি পরে দরজা খুলে বলে আমার স্ত্রীর হাত ও ঠান্ডা হয়ে গেছে খালা দেখেনতো কি হয়েছে।
আমরা পরে গিয়ে দেখি সে মৃত হাত পা শক্ত হয়ে গেছে। পরে জানতে পারি স্টোক করে মারা গেছে। তবে রাত্রের বিষয়ে আমাদের জানা নেই।
এরই মধ্যে তারিকুল লাশটি দেশের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে গাড়ি নিয়ে আসে এবং লাশটি দেশে বাড়ী সিরাজগঞ্জ জেলা সলঙ্গা থানা, নাইমুরি,গ্ৰাম নিয়ে যায়। বাড়ি নেওয়ার পরে শুনতে পারছি ফাঁস দিয়ে আত্ম হত্যা করেছে পরি ।

এবিষয়ে পরে আমরা স্থানীয় মেম্বার সহ কয়েক জনকে অবগত করি।

এব্যপারে রাজেন্দ্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার মনিরা পারভীন কে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা হত্যা না আত্মা হত্যা আমি জানিনা।
যেহেতু লাশ নিয়ে যাওয়ার পরে আমাদের খবর দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।
এবিষয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় যোগাযোগ করলে তারা এবিষয়ে অবগত নয় বলে জানান,
উক্ত বিষয়ে মৃত ইসমতারা ( পরির) বাবা মোঃ হেলাল সরকার জানান এটা একটা পরিকল্পিত খুন বলে আমি মনে করি।
পরি মারা যাওয়ার তিনদিন আগে আমার বাড়ি থেকে চাকুরী করার কথা বলে সুস্থ অবস্থায় তার স্বামী তরিকুল গাজীপুরে নিয়ে যায়।
তিনদিন পরে মৃত্যুর কথা শুনে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি,, ঔ দিন লাশটি বাড়ি আনার পরে আমাদের খবর দেয়, পরে আমরা গিয়ে দেখি লাশ বাড়ির মধ্যে পরে রয়েছে। কিন্তু বাড়িতে অন্য কোন লোক নেই। আমার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিন্হ রয়েছে, ওরা আমার মেয়েকে খুন করেছে , আমি সরকারের কাছে খুনিদের বিরুদ্বে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এবিষয়ে সলঙ্গা থানার এস আই খালেক জানান আমরা ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ঘটনা স্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান,
এলাকাবাসী জানান মেয়েটি যদি এমনিতেই মারা যেত তাহলে লাশ রেখে স্বামী পালালো কেন, আবার কাউকে না জানিয়ে লাশটি এলাকায় নিলো প্রশাসন জানলো না কেন, এখানে অবসই কোন না কোন রহস্য লুকিয়ে আছে উক্ত বিষয়ে খতিয়ে দেখে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানাচ্ছি এলাকাবাসী।
দৈনিক সময়ের কন্ঠ পর্ব- ১