ঢাকা ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

অসহায় কৃষকের জমির ফসল কেটে নিলো প্রতিপক্ষরা

বরগুনা প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ০১:৪১:৪৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৭ আগস্ট ২০২২
  • / ১৬৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

বরগুনা সদর উপজেলায় মৃত্যু মহব্বত আলী হাং গং এর দুই কৃষক পরিবারের ২০ শতাংশ জমির ফসল (ধানগাছ) কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

বুধবার সকাল এগারোটার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের শিংরাবুনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ওই এলাকার মৃত মহব্বত আলী হাং এর দুই ছেলের ওয়ারিশগণ। এ ঘটনায় কৃষক পরিবার স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে জানালে তারা থানায় একটি অভিযোগ দিতে বলেছেন বলে জানান ভুক্তভোগী ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিংরাবুনিয়া মৌজার ১ বিঘা জমি মহব্বত আলী গং দের কাছে ওয়ারিশ সুত্রে ছেড়ে দিয়েছে। তারপরে সেই জমিতে চাষাবাদ করেছেন। গতকাল বুধবার সকালে সেই জমিতে মৃত আসমান খা এর ছেলে পান্নাফ খা (৫০), নুরুসলাম হাং এর ছেলে সোহরাব (৩০) ও পনু (২৮), মৃত্যু বাসের এর ছেলে সেকান্দর মিলে জমি তাদের দাবি করে ধান পরিপূর্ণ হয়নি সেই ফসল কেটে নিয়েছে। কেন কাটছে আমরা এমন কথা জিজ্ঞেস করলে তারা বলে আমাদের জমি তাই কাটছি।

স্থানীয় লিটন বলেন, আমি দেখেছি ওদের ধানগাছ কেটে নিয়ে যেতে। তবে জিজ্ঞেস করেছি কেন কাটলি জমি তো ওদের কে দিয়েই দিছো, তখন ওরা বলছে এতে এমনেই ধান হবে না এবং জমি তো এটা আমাদের তাই কাটছি।

জাহাঙ্গীর এর স্ত্রী বলেন, আমরা বাড়িতে থাকি না। আমার শশুর চাঁন মিয়া মৃত্যুর পরে বাড়িতে আমার শাশুড়ী একাই থাকেন। এবং পাশের ঘরে আমার চাচা শশুর ও চাঁচি শাশুড়ী থাকেন। আমরা প্রত্যেক সিজন কালীন চাষাবাদ করে মহিপুর চলে যাই। আবার মাঝে মাঝে যখন প্রয়োজন হয় তখন ফিরে আসি। আমাদের অনুপস্থিতিতে (বয়স্ক) মুরুব্বিদের সামনে জোর করে এই অমানুষিক কর্মকাণ্ড করেছে। ওদের সাথে তো আমাদের কোন আগে পিছনে ঝামেলাও ছিল না। কিন্তু কেন এটা করলো আমরা এটার বিচার চাই।

কৃষক মোসলেম হাং বলেন, পরিবারে স্ত্রী নিয়ে তার সংসার। এবছর সংসারের খরচ সেই জমির ফসল উৎপাদনের শ্রমের বিনিময়ে চলবে ভাবছিলাম। বুধবার সকাল এগারোটার দিকে জোরপূর্বক আমার জমির ফসল (ধানগাছ) বিচ কেটে নিয়ে যায়। কেন কাটলি আমি জিজ্ঞেস করলে বলে এতে ধান হবে না তাই কাটছি। তবে চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আমার আর কিছুই করার ছিল না! তিনি ফসল কাটার সঙ্গে জড়িত সব ব্যক্তির দ্রুত বিচার দাবি করেন।

অভিযুক্ত পান্নাফ খা ও পনু বলেন, তাদের জমির ধানগাছ (বিচ) আমরা কাটিনি। আমাদের জমির ফসল আমরাই কেটেছি। এবং ঐ জমি আমরা বিগত দিন ধরে ভোগদখল করে আসছি। অনেকবার সালিশী বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তাদেরকে কেউ শালিশ মানাতে পারেনি। আমরা কোর্টে মামলা করেছি। এবং সেই মামলা এখনো চলমান আছে। কোর্টে যা রায় দিবে তা মেনে নিবো।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহমেদ জানান, এখোনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অসহায় কৃষকের জমির ফসল কেটে নিলো প্রতিপক্ষরা

আপডেট টাইম : ০১:৪১:৪৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৭ আগস্ট ২০২২

বরগুনা সদর উপজেলায় মৃত্যু মহব্বত আলী হাং গং এর দুই কৃষক পরিবারের ২০ শতাংশ জমির ফসল (ধানগাছ) কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

বুধবার সকাল এগারোটার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের শিংরাবুনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ওই এলাকার মৃত মহব্বত আলী হাং এর দুই ছেলের ওয়ারিশগণ। এ ঘটনায় কৃষক পরিবার স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে জানালে তারা থানায় একটি অভিযোগ দিতে বলেছেন বলে জানান ভুক্তভোগী ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিংরাবুনিয়া মৌজার ১ বিঘা জমি মহব্বত আলী গং দের কাছে ওয়ারিশ সুত্রে ছেড়ে দিয়েছে। তারপরে সেই জমিতে চাষাবাদ করেছেন। গতকাল বুধবার সকালে সেই জমিতে মৃত আসমান খা এর ছেলে পান্নাফ খা (৫০), নুরুসলাম হাং এর ছেলে সোহরাব (৩০) ও পনু (২৮), মৃত্যু বাসের এর ছেলে সেকান্দর মিলে জমি তাদের দাবি করে ধান পরিপূর্ণ হয়নি সেই ফসল কেটে নিয়েছে। কেন কাটছে আমরা এমন কথা জিজ্ঞেস করলে তারা বলে আমাদের জমি তাই কাটছি।

স্থানীয় লিটন বলেন, আমি দেখেছি ওদের ধানগাছ কেটে নিয়ে যেতে। তবে জিজ্ঞেস করেছি কেন কাটলি জমি তো ওদের কে দিয়েই দিছো, তখন ওরা বলছে এতে এমনেই ধান হবে না এবং জমি তো এটা আমাদের তাই কাটছি।

জাহাঙ্গীর এর স্ত্রী বলেন, আমরা বাড়িতে থাকি না। আমার শশুর চাঁন মিয়া মৃত্যুর পরে বাড়িতে আমার শাশুড়ী একাই থাকেন। এবং পাশের ঘরে আমার চাচা শশুর ও চাঁচি শাশুড়ী থাকেন। আমরা প্রত্যেক সিজন কালীন চাষাবাদ করে মহিপুর চলে যাই। আবার মাঝে মাঝে যখন প্রয়োজন হয় তখন ফিরে আসি। আমাদের অনুপস্থিতিতে (বয়স্ক) মুরুব্বিদের সামনে জোর করে এই অমানুষিক কর্মকাণ্ড করেছে। ওদের সাথে তো আমাদের কোন আগে পিছনে ঝামেলাও ছিল না। কিন্তু কেন এটা করলো আমরা এটার বিচার চাই।

কৃষক মোসলেম হাং বলেন, পরিবারে স্ত্রী নিয়ে তার সংসার। এবছর সংসারের খরচ সেই জমির ফসল উৎপাদনের শ্রমের বিনিময়ে চলবে ভাবছিলাম। বুধবার সকাল এগারোটার দিকে জোরপূর্বক আমার জমির ফসল (ধানগাছ) বিচ কেটে নিয়ে যায়। কেন কাটলি আমি জিজ্ঞেস করলে বলে এতে ধান হবে না তাই কাটছি। তবে চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আমার আর কিছুই করার ছিল না! তিনি ফসল কাটার সঙ্গে জড়িত সব ব্যক্তির দ্রুত বিচার দাবি করেন।

অভিযুক্ত পান্নাফ খা ও পনু বলেন, তাদের জমির ধানগাছ (বিচ) আমরা কাটিনি। আমাদের জমির ফসল আমরাই কেটেছি। এবং ঐ জমি আমরা বিগত দিন ধরে ভোগদখল করে আসছি। অনেকবার সালিশী বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তাদেরকে কেউ শালিশ মানাতে পারেনি। আমরা কোর্টে মামলা করেছি। এবং সেই মামলা এখনো চলমান আছে। কোর্টে যা রায় দিবে তা মেনে নিবো।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহমেদ জানান, এখোনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।