ঢাকা ০৭:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
পরিবর্তনের পথে বাংলাদেশ, নেতৃত্বে ড. ইউনূস: দ্য ইকোনমিস্ট গভীর রাতে ৭৫০ জনকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা, বিজিবি-জনতার বাধায় পিছু হটল বিএসএফ পরিবহণসহ ৫ খাতে ৭০ শতাংশ বরাদ্দ ট্রাম্পের পরোক্ষ আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান পুতিনের মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ লিগ্যাল নোটিশ করতে প্রস্তুতি বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর আমড়াগাছি খালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন বাংলাদেশ সিরিজের দল ঘোষণা আমিরাতের ঠাকুরগাঁওয়ে আ:লীগ অফিস দখল, ভূল সিদ্ধান্ত ছিলো// সংবাদ সম্মেলনে জুলাই যোদ্ধার আহবায়ক গাজা দখল করে ‘ফ্রিডম জোন’ বানাতে চান ট্রাম্প মধ্যরাতের অধ্যাদেশ’ বাতিলে সারাদেশে কলম বিরতি এনবিআরের একাধিক নেতাদের গণপদত্যাগ আগামী ১৫ ও ১৭ মে পর্যন্ত চলবে কর্মসূচি

বাঘায় শুরু হতে যাচ্ছে নদী ড্রেজিং এর কাজ, নতুন স্বপ্নে উজ্জীবিত হচ্ছে চরাঞ্চলের মানুষ

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৯:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২২
  • / ২২৬ ১৫০০০.০ বার পাঠক

বাঘা উপজেলার আলাইপুর থেকে পদ্মার চরাঞ্চলের চকরাজাপুর ইউনিয়নের লক্ষীনগর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার নদী খননের কাজ দুই এক মাসের মধ্যে শুরু হতে যাচ্ছে । শনিবার (১৩ আগষ্ট) পদ্মার তীর রক্ষার্থে উপজেলার নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে এসে আশার এই বানী শুনিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম। তিনি চকরাজাপুর ইউনিয়নের পদ্মার তীর রক্ষার্থে প্রস্তাবিত স্থায়ী বাঁধ, স্পার (রাজশাহী টি বাঁধ,আই বাধঁ সদৃশ) নির্মাণে নদী তীর পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে চকরাজাপুর ইউনিয়নে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে চা চক্র অনুষ্ঠানে অতি সম্প্রতি নদী খনন কাজ শুরুর কথা বলেন প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, নদীর খনন কাজ শেষ হলে নদী নাব্যতা ফিরে পাবে, নদীর মূল ¯্রােতধারা নদীর কেন্দ্র বরাবর প্রবাহিত হবে। নদী ভাঙ্গন অনেকাংশে কমে আসবে। এর সাথে পদ্মা তীর রক্ষার্থে স্থায়ী বাঁধ, স্পার, টি বাঁধ, আই বাধঁ নির্মাণ করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম শেখ, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সারওয়ার-ই-জাহান, চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ডিএম বাবুল মনোয়ার, চকরাজাপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ।
চেয়ারম্যান ডিএম বাবুল মনোয়ার বলেন, পদ্মার অব্যাহত ভাঙনে ৮ মাসের মধ্যে প্রায় আড়াই শত মানুষের বাড়ি ভিটার জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। বর্তমানে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার সাথেও চলছে ভাঙ্গন। পদ্মা তীর রক্ষার্থে কাজ শুরু ও শেষ হলে নদী ভাঙ্গন অনেকাংশে কমে আসবে। চকরাজাপুর বাসি নতুন স্বপ্নে উজ্জীবিত হবে।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম শেখ জানান, রাজশাহী জেলার চারঘাটের ইউসুফপুর থেকে শুরু হয়ে বাঘার আলাইপুর হয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়নের লক্ষীনগর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার নদী ড্রেজিং এর কাজ করা হবে। ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থ বছরে জেলার চারঘাট ও বাঘা উপজেলার পদ্মা নদীর বাম তীরের স্থাপনাসমূহ নদী ভাঙন হতে রক্ষা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন,ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জেলার দুই উপজেলায় ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯টি প্যাকেজে কাজ চলছে। এর মধ্যে ১১ টি প্যাকেজ প্রটেকশন ব্লকের ও ৮টি প্যাকেজ নদী ড্রেজিং এর কাজ রয়েছে। নদী শাসনের জন্য ৩০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের মধ্যে বাঘার ১২ কি. মি. নদী ড্রেজিং রয়েছে।##

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাঘায় শুরু হতে যাচ্ছে নদী ড্রেজিং এর কাজ, নতুন স্বপ্নে উজ্জীবিত হচ্ছে চরাঞ্চলের মানুষ

আপডেট টাইম : ০৬:৩৯:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২২

বাঘা উপজেলার আলাইপুর থেকে পদ্মার চরাঞ্চলের চকরাজাপুর ইউনিয়নের লক্ষীনগর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার নদী খননের কাজ দুই এক মাসের মধ্যে শুরু হতে যাচ্ছে । শনিবার (১৩ আগষ্ট) পদ্মার তীর রক্ষার্থে উপজেলার নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে এসে আশার এই বানী শুনিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম। তিনি চকরাজাপুর ইউনিয়নের পদ্মার তীর রক্ষার্থে প্রস্তাবিত স্থায়ী বাঁধ, স্পার (রাজশাহী টি বাঁধ,আই বাধঁ সদৃশ) নির্মাণে নদী তীর পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে চকরাজাপুর ইউনিয়নে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে চা চক্র অনুষ্ঠানে অতি সম্প্রতি নদী খনন কাজ শুরুর কথা বলেন প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, নদীর খনন কাজ শেষ হলে নদী নাব্যতা ফিরে পাবে, নদীর মূল ¯্রােতধারা নদীর কেন্দ্র বরাবর প্রবাহিত হবে। নদী ভাঙ্গন অনেকাংশে কমে আসবে। এর সাথে পদ্মা তীর রক্ষার্থে স্থায়ী বাঁধ, স্পার, টি বাঁধ, আই বাধঁ নির্মাণ করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম শেখ, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সারওয়ার-ই-জাহান, চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ডিএম বাবুল মনোয়ার, চকরাজাপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ।
চেয়ারম্যান ডিএম বাবুল মনোয়ার বলেন, পদ্মার অব্যাহত ভাঙনে ৮ মাসের মধ্যে প্রায় আড়াই শত মানুষের বাড়ি ভিটার জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। বর্তমানে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার সাথেও চলছে ভাঙ্গন। পদ্মা তীর রক্ষার্থে কাজ শুরু ও শেষ হলে নদী ভাঙ্গন অনেকাংশে কমে আসবে। চকরাজাপুর বাসি নতুন স্বপ্নে উজ্জীবিত হবে।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম শেখ জানান, রাজশাহী জেলার চারঘাটের ইউসুফপুর থেকে শুরু হয়ে বাঘার আলাইপুর হয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়নের লক্ষীনগর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার নদী ড্রেজিং এর কাজ করা হবে। ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থ বছরে জেলার চারঘাট ও বাঘা উপজেলার পদ্মা নদীর বাম তীরের স্থাপনাসমূহ নদী ভাঙন হতে রক্ষা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন,ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জেলার দুই উপজেলায় ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯টি প্যাকেজে কাজ চলছে। এর মধ্যে ১১ টি প্যাকেজ প্রটেকশন ব্লকের ও ৮টি প্যাকেজ নদী ড্রেজিং এর কাজ রয়েছে। নদী শাসনের জন্য ৩০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের মধ্যে বাঘার ১২ কি. মি. নদী ড্রেজিং রয়েছে।##