ঢাকা ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সংবাদ শিরোনাম ::
স্মার্ট শিক্ষার্থীরা স্মার্ট দেশ গড়তে সহায়ক: উম্মে সালমা গাইবান্ধায় দূবৃত্তের ছুড়িকাঘাতে ইউপি সদস্যের মৃত্যু,আহত ২ জন গাজীপুরের কাশিমপুর থানা’র ওসি রাফিউল করিম রাজনৈতিক ব্যানারের অনুমোদন ছাড়াই তার ছবি অনুমোদন বিহীন সাপ্তাহিক পত্রিকার অপসংবাদিক আমজাদ  ফ্রিল্যান্সার,তরুন উদ্যোক্তা ও সফলতা তাসিন রহমান উচ্ছ্বাস,ময়মনসিংহ ময়মনসিংহে ডিবি পুলিশের অভিযানে ১০ গ্রাম হেরোইন এবং ৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ গ্রেফতার-০২ ফুলবাড়ীতে জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রীনিং স্বাস্থ্য ক্যাম্পের উদ্বোধনী সভা অনুষ্ঠিত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ মহাম্মদপুরে কাজের ভয়ে স্কুলে যেতে চায়না শিক্ষার্থীরা মহাদেবপুরে আত্রাই নদীর বেরিবাঁধ ভেঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে ঢাকা ১৯ আসনের এম পি প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এর উঠান বৈঠক জনসভায় পরিনত হোমনায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

মিয়ানমারের ওপর অব্যাহত চাপ দরকার

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪৪:৪৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি ২০২১
  • ২৮৯ ০.০০০০ বার পাঠক

সম্পাদকীয়।।

২০১৭ সালের আগস্টে প্রায় এক মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে। মূলত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় গ্রহণ পৃথিবীর অল্পসংখ্যক গণহত্যা ও নির্মম ঘটনার একটি। ১০ লাখ রোহিঙ্গা কী অবস্থায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, তা পৃথিবীর মানুষ সংবাদমাধ্যমে দেখেছে। যুক্তরাজ্য ও সুইডেনের আহ্বানে মিয়ানমার সরকারকে গণহত্যা ও নির্যাতন বন্ধে চাপ দিতে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে চীন ও রাশিয়া মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নেয়। ইতোমধ্যে ২০১৮ সালের নভেম্বর ও ২০১৯ সালের আগস্টে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ ব্যর্থ হয়।

somoyerkontha

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর প্রশ্নে গত মঙ্গলবার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে চীনের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দেড় ঘণ্টার বৈঠকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার শুরু নিয়ে জট খোলেনি। উল্টো ভিন্ন প্রস্তাব এসেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পক্ষ থেকে। তবে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। ফেব্রুয়ারিতে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের ব্যাপারেও বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একমত হয়েছে বলে জানা যায়।

বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলাদেশ বিভিন্ন সময়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে মানবিক কারণে। রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ক্ষেত্রে যে মূল চেতনাটি গুরুত্বপূর্ণ, তা হচ্ছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সব রোহিঙ্গার রাখাইনে নিরাপদ প্রত্যাবাসন ও বসবাস নিশ্চিত করা। এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার আরও প্রত্যক্ষ ও জোরালো ভূমিকা পালনের জন্য বৈশ্বিক চাপ সৃষ্টি করার কোনো বিকল্প নেই। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক তৎপরতা এখন পর্যন্ত খুব বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। তাই বহুপক্ষীয় কূটনৈতিক তৎপরতা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের কার্যকর কৌশল হতে পারে। মোট কথা, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি অব্যাহত রাখতে হবে। অব্যাহত ও কঠোর চাপ ছাড়া মিয়ানমার যে কাজের কাজ কিছু করবে না, তা অনেকটাই পরিষ্কার।

আরো খবর.......
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মার্ট শিক্ষার্থীরা স্মার্ট দেশ গড়তে সহায়ক: উম্মে সালমা

মিয়ানমারের ওপর অব্যাহত চাপ দরকার

আপডেট টাইম : ০৪:৪৪:৪৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি ২০২১

সম্পাদকীয়।।

২০১৭ সালের আগস্টে প্রায় এক মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে। মূলত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় গ্রহণ পৃথিবীর অল্পসংখ্যক গণহত্যা ও নির্মম ঘটনার একটি। ১০ লাখ রোহিঙ্গা কী অবস্থায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, তা পৃথিবীর মানুষ সংবাদমাধ্যমে দেখেছে। যুক্তরাজ্য ও সুইডেনের আহ্বানে মিয়ানমার সরকারকে গণহত্যা ও নির্যাতন বন্ধে চাপ দিতে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে চীন ও রাশিয়া মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নেয়। ইতোমধ্যে ২০১৮ সালের নভেম্বর ও ২০১৯ সালের আগস্টে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ ব্যর্থ হয়।

somoyerkontha

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর প্রশ্নে গত মঙ্গলবার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে চীনের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দেড় ঘণ্টার বৈঠকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার শুরু নিয়ে জট খোলেনি। উল্টো ভিন্ন প্রস্তাব এসেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পক্ষ থেকে। তবে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। ফেব্রুয়ারিতে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের ব্যাপারেও বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একমত হয়েছে বলে জানা যায়।

বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলাদেশ বিভিন্ন সময়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে মানবিক কারণে। রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ক্ষেত্রে যে মূল চেতনাটি গুরুত্বপূর্ণ, তা হচ্ছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সব রোহিঙ্গার রাখাইনে নিরাপদ প্রত্যাবাসন ও বসবাস নিশ্চিত করা। এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার আরও প্রত্যক্ষ ও জোরালো ভূমিকা পালনের জন্য বৈশ্বিক চাপ সৃষ্টি করার কোনো বিকল্প নেই। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক তৎপরতা এখন পর্যন্ত খুব বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। তাই বহুপক্ষীয় কূটনৈতিক তৎপরতা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের কার্যকর কৌশল হতে পারে। মোট কথা, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি অব্যাহত রাখতে হবে। অব্যাহত ও কঠোর চাপ ছাড়া মিয়ানমার যে কাজের কাজ কিছু করবে না, তা অনেকটাই পরিষ্কার।