ঢাকা ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
নাহিদসহ তিন জন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে আহতদের দেখতে ঢামেক হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার সিলেট: ১৮-২৩ জুলাইয়ের ঘটনাপ্রবাহ রক্তাক্ত জুলাই থেকে কি কোনো শিক্ষা হবে? সব দল নিয়ে জাতীয় ঐক্যের মাঠে নামছেন বিএনপি শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে দেশের মানুষ: নৌবাহিনী প্রধান মেট্রোরেল স্টেশনের ধ্বংসলীলা দেখে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী রুশ এমআই-২৮ সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত মস্কোর দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত কালুগা অঞ্চলে আজ বৃহস্পতিবার হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয় কে হামলা চালাবে—বিএনপির নীল নকশা আগেই প্রস্তুত ছিল: কাদের

কুষ্টিয়ার সেই পুলিশ সুপারকে হাইকোর্টে তলব নির্বাচনে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ

  • আপডেট টাইম : ০৬:২৮:৪১ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২০ জানুয়ারি ২০২১
  • / ২৬১ ৫০০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাতকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৫ জানুয়ারি তাকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ আজ বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। এছাড়া আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

Nogod

কুষ্টিয়া ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসিন হাসানের সঙ্গে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাতের দুর্বব্যবহারের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেওয়া হয়। একটি অনুলিপি পাঠানো হয় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের দফতরে। এতে এসপি তানভীর আরাফাতের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়।আবেদনে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসিন হাসান বলেছেন, ‘কুষ্টিয়া ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনে ১৪ জানুয়ারি হতে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথম শ্রেণির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হই। এরপরে ১৬ জানুয়ারি আমার দায়িত্ব পালন অবস্থায় সকাল ১০ টায় ভেড়ামারা পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অবস্থানকালে জনৈক ভোটারের অভিযোগের ভিত্তিতে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করি। সেখানে কতিপয় ব্যক্তিকে ভোট কেন্দ্রের বুথের ভেতর লম্বা বেঞ্চে পুলিং এজেন্টদের সঙ্গে বসে থাকতে দেখি। তখন তাদের পরিচয় পত্র দেখাতে বললে তারা পরিচয়পত্র না দেখিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারের স্বাক্ষরিত এ ফোর সাইজের কাগজ দেখান। আমি সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসারকে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বুথের বাইরে ডাকি। কথা বলা শুরু করতেই ওই ভোট কেন্দ্রে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাতসহ ৪০/৫০ জন ফোর্সসহ প্রবেশ করেন।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘তিনি প্রবেশ করেই প্রিজাইডিং অফিসারকে উচ্চস্বরে তলব করেন। তাৎক্ষণিক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানসহ কয়েকজন ফোর্স প্রিজাইডিং অফিসারকে আমার সঙ্গে কথা বলতে না দিয়েই তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপাচাপি করেন। তখন আমি নিজের পরিচয় দিয়ে বলি প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে একটি বিষয়ে কথা বলছি। কথা শেষ হলে তাকে নিয়ে যান। এরপরেও এএসপি মোস্তাফিজুর রহমান ধমক দিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারকে আমার সামনে থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ সুপার তানভীর আরাফাত আমার দিকে অগ্রসর হন এবং আমাকে জিজ্ঞেস করেন আপনি কে? কী করেন এখানে? আমি আমার পরিচয় দিলে তিনি আরও ক্ষিপ্ত স্বরে বলেন, আপনি এখানে কি করেন? বেয়াদব, বের হয়ে যান এখান থেকে। আমি পুলিশ সুপার ও তার ফোর্সদের আক্রমনাত্মক চরম অসৌজন্যমূলক ও মারমুখী আচরণে হতচকিত ও কিংকর্তব্যবিমূর হয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকি। এরপর এসপিসহ তার সঙ্গী ফোর্সরা আমার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আমাকে উদ্দেশ্যে করে একাধিকবার বলেন, এসব লোককে কে পাঠায় কে? বেয়াদব ছেলে। এখানে কাজ কী আপনার? বের হয়ে যান এখান থেকে। তারা কেন্দ্র থেকে চলে যাওয়ার পর আমি বিষয়টি ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি।’

আরও পড়ুন: সাঈদ খোকনের এক মামলা খারিজ, আরেকটি প্রত্যাহার

আবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ সুপার ও তার সঙ্গী ফোর্সদের আচরণ স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিধিমালা ২০১০ এর ৬৯,৭০,৭৪,৮০ ও ৮১ বিধির সরাসরি লঙ্ঘন। তাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রার্থনা করছি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কুষ্টিয়ার সেই পুলিশ সুপারকে হাইকোর্টে তলব নির্বাচনে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ

আপডেট টাইম : ০৬:২৮:৪১ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২০ জানুয়ারি ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাতকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৫ জানুয়ারি তাকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ আজ বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। এছাড়া আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

Nogod

কুষ্টিয়া ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসিন হাসানের সঙ্গে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাতের দুর্বব্যবহারের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেওয়া হয়। একটি অনুলিপি পাঠানো হয় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের দফতরে। এতে এসপি তানভীর আরাফাতের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়।আবেদনে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসিন হাসান বলেছেন, ‘কুষ্টিয়া ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনে ১৪ জানুয়ারি হতে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথম শ্রেণির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হই। এরপরে ১৬ জানুয়ারি আমার দায়িত্ব পালন অবস্থায় সকাল ১০ টায় ভেড়ামারা পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অবস্থানকালে জনৈক ভোটারের অভিযোগের ভিত্তিতে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করি। সেখানে কতিপয় ব্যক্তিকে ভোট কেন্দ্রের বুথের ভেতর লম্বা বেঞ্চে পুলিং এজেন্টদের সঙ্গে বসে থাকতে দেখি। তখন তাদের পরিচয় পত্র দেখাতে বললে তারা পরিচয়পত্র না দেখিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারের স্বাক্ষরিত এ ফোর সাইজের কাগজ দেখান। আমি সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসারকে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বুথের বাইরে ডাকি। কথা বলা শুরু করতেই ওই ভোট কেন্দ্রে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাতসহ ৪০/৫০ জন ফোর্সসহ প্রবেশ করেন।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘তিনি প্রবেশ করেই প্রিজাইডিং অফিসারকে উচ্চস্বরে তলব করেন। তাৎক্ষণিক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানসহ কয়েকজন ফোর্স প্রিজাইডিং অফিসারকে আমার সঙ্গে কথা বলতে না দিয়েই তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপাচাপি করেন। তখন আমি নিজের পরিচয় দিয়ে বলি প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে একটি বিষয়ে কথা বলছি। কথা শেষ হলে তাকে নিয়ে যান। এরপরেও এএসপি মোস্তাফিজুর রহমান ধমক দিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারকে আমার সামনে থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ সুপার তানভীর আরাফাত আমার দিকে অগ্রসর হন এবং আমাকে জিজ্ঞেস করেন আপনি কে? কী করেন এখানে? আমি আমার পরিচয় দিলে তিনি আরও ক্ষিপ্ত স্বরে বলেন, আপনি এখানে কি করেন? বেয়াদব, বের হয়ে যান এখান থেকে। আমি পুলিশ সুপার ও তার ফোর্সদের আক্রমনাত্মক চরম অসৌজন্যমূলক ও মারমুখী আচরণে হতচকিত ও কিংকর্তব্যবিমূর হয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকি। এরপর এসপিসহ তার সঙ্গী ফোর্সরা আমার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আমাকে উদ্দেশ্যে করে একাধিকবার বলেন, এসব লোককে কে পাঠায় কে? বেয়াদব ছেলে। এখানে কাজ কী আপনার? বের হয়ে যান এখান থেকে। তারা কেন্দ্র থেকে চলে যাওয়ার পর আমি বিষয়টি ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি।’

আরও পড়ুন: সাঈদ খোকনের এক মামলা খারিজ, আরেকটি প্রত্যাহার

আবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ সুপার ও তার সঙ্গী ফোর্সদের আচরণ স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিধিমালা ২০১০ এর ৬৯,৭০,৭৪,৮০ ও ৮১ বিধির সরাসরি লঙ্ঘন। তাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রার্থনা করছি।