ঢাকা ১১:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
কোম্পানীগঞ্জে জমিয়তের কর্মী সমাবেশ একাধিক পত্রিকায় জিয়াউর রহমান উপসহকারী প্রকৌশলী বিরুদ্ধে দুনীতি সংবাদ প্রকাশ হওয়া কোনো ব্যবস্থা নেয়নি উপজেলা প্রকৌশলী বিপুল কুমার বিশ্বাস রক্ষক যখন ভক্ষক ভেষজ বিজ্ঞানী টিপু সুলতান: কুসুমপুরে সৌখিন কৃষি ও একজন মুক্তিযোদ্ধার মানবসেবায় নিরব বিপ্লব মোংলার সোনাইল তলা এলাকায় ৪২ বিঘা ঘেরে বিষ প্রয়োগ। ২০ থেকে ২২ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতি সাভার পৌর বিএনপির দুই নেতার কলঙ্কিত অধ্যায় শাহেদ-১০৭ ড্রোন উন্মোচন ইরানের, যেভাবে কাজ করবে এটি রামপালের বড় কাঠালী গ্রামের বিএনপি সোহাগ আকনের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট নিউজের ম্যানার ছড়া বিরুদ্ধে মানববন্ধন আমরা যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ করছি, এখনই জ্বালানির দাম বৃদ্ধি নয়: অর্থ উপদেষ্টা পাঁচ কারণে খেলাপি ঋণ বাড়ছে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি

তালার খেশরায় নদীর বাঁধ দখল নিয়ে কেটে আবাদি জমি তৈরি, ইউএনও বরাবর অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৫:১৩:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২
  • / ২৭৪ ১৫০.০০০ বার পাঠক

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি : তালা উপজেলার খেশরা গ্রামে শালিখা নদীর বাঁধ জোর জবর দখল নিয়ে বাঁধের মাটি কেটে আবাদি জমি তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে জনস্বার্থে তালা উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন একই গ্রামের মৃতঃ আঃ গণি কারিকরের ছেলে মোঃ কামাল কারিকর। উপজেলা নির্বাহি অফিসার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য খেশরা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগকারীর বক্তব্য এবং সরেজমিনে গিয়ে দেখা জানাযায়, খেশরা গ্রামের মৃত: মাদার কারিকরের ছেলে মোঃ লিয়াকত কারিকর কপোতাক্ষের শাখা নদী শালিখা নদীর ভেড়িবাধের বড় একটি অংশ কেটে কয়েক ফুট নিচু করে সমতলভূমি বানিয়েছেন।

শালিখা হতে খেশরা স্কুল যেতে মোঃ এনায়েত আলীর জমি ও মোঃ ইসমাইল সানার মৎস্য ঘেরের পশ্চিম পার্শে নদীর ধারে বিশাল আকারের এই ভেড়ি বাধ অবস্থিত। সরকারী ভাবে কর্তন করা নিষেধ থাকা শর্তেও উক্ত ব্যাক্তি সকল বিধিনিষেধ ও এলাকাবাসীর বাধা অমান্য করে পেশী শক্তির জোরে ভেড়ি বাধ কেটে সমতল ভুমি বানিয়ে অবৈধ দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। একদিকে ভেড়িবাদ কেটে বাধের মারাত্মক ক্ষতি করছে অন্যদিকে বাঁধের মাটি নদীতে ফেলে নদী ভরাট করছে। এর ফলে ভেড়ি ও নদী মারাত্মক হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে এমনটাই মনে করছেন এলাকাবাসী। নদির পাশের ভেড়িবাধ কর্তন করে নিচু করার কারনে বর্ষা মৌসুমে যে কোন সময় বাধ ভেঙ্গে বা ছাপিয়ে এলাকা প্লাবিত হতে পারে। এলাকার লোকজন তাকে বাধ কর্তন করতে নিষেধ করলে সে কোন প্রকার কর্নপাত না করে ভেড়ি বাধ কর্তন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, তার অনুগত লোকদের বাধ কেটে জমি তৈরী করা, বাধ কেটে বিলে লোনাপানি ঢুকানো, রাস্তা ও বাঁধ কেটে পাইপ বসানোর জন্য উৎসাহিত করে আসছে। এ বিষয়ে অভিযোগ কারী, পাশের ঘের মালিক সহ কয়েকজন বলেন, লিয়াকত হুংকার দিয়ে বলছে আমি বাধ কাটবো আমাকে কেউ কিছুই করতে পারবে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা অসীম কুমার হালদার বলেন, আমি ভেড়িবাধ কাটতে নিষেধ করেছি। উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর অভিযোগ ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার সাথে কথা বলার পরও অভিযুক্ত ব্যক্তি ভেড়িবাধ কেটেছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এ বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তালার খেশরায় নদীর বাঁধ দখল নিয়ে কেটে আবাদি জমি তৈরি, ইউএনও বরাবর অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৫:১৩:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি : তালা উপজেলার খেশরা গ্রামে শালিখা নদীর বাঁধ জোর জবর দখল নিয়ে বাঁধের মাটি কেটে আবাদি জমি তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে জনস্বার্থে তালা উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন একই গ্রামের মৃতঃ আঃ গণি কারিকরের ছেলে মোঃ কামাল কারিকর। উপজেলা নির্বাহি অফিসার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য খেশরা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগকারীর বক্তব্য এবং সরেজমিনে গিয়ে দেখা জানাযায়, খেশরা গ্রামের মৃত: মাদার কারিকরের ছেলে মোঃ লিয়াকত কারিকর কপোতাক্ষের শাখা নদী শালিখা নদীর ভেড়িবাধের বড় একটি অংশ কেটে কয়েক ফুট নিচু করে সমতলভূমি বানিয়েছেন।

শালিখা হতে খেশরা স্কুল যেতে মোঃ এনায়েত আলীর জমি ও মোঃ ইসমাইল সানার মৎস্য ঘেরের পশ্চিম পার্শে নদীর ধারে বিশাল আকারের এই ভেড়ি বাধ অবস্থিত। সরকারী ভাবে কর্তন করা নিষেধ থাকা শর্তেও উক্ত ব্যাক্তি সকল বিধিনিষেধ ও এলাকাবাসীর বাধা অমান্য করে পেশী শক্তির জোরে ভেড়ি বাধ কেটে সমতল ভুমি বানিয়ে অবৈধ দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। একদিকে ভেড়িবাদ কেটে বাধের মারাত্মক ক্ষতি করছে অন্যদিকে বাঁধের মাটি নদীতে ফেলে নদী ভরাট করছে। এর ফলে ভেড়ি ও নদী মারাত্মক হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে এমনটাই মনে করছেন এলাকাবাসী। নদির পাশের ভেড়িবাধ কর্তন করে নিচু করার কারনে বর্ষা মৌসুমে যে কোন সময় বাধ ভেঙ্গে বা ছাপিয়ে এলাকা প্লাবিত হতে পারে। এলাকার লোকজন তাকে বাধ কর্তন করতে নিষেধ করলে সে কোন প্রকার কর্নপাত না করে ভেড়ি বাধ কর্তন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, তার অনুগত লোকদের বাধ কেটে জমি তৈরী করা, বাধ কেটে বিলে লোনাপানি ঢুকানো, রাস্তা ও বাঁধ কেটে পাইপ বসানোর জন্য উৎসাহিত করে আসছে। এ বিষয়ে অভিযোগ কারী, পাশের ঘের মালিক সহ কয়েকজন বলেন, লিয়াকত হুংকার দিয়ে বলছে আমি বাধ কাটবো আমাকে কেউ কিছুই করতে পারবে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা অসীম কুমার হালদার বলেন, আমি ভেড়িবাধ কাটতে নিষেধ করেছি। উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর অভিযোগ ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার সাথে কথা বলার পরও অভিযুক্ত ব্যক্তি ভেড়িবাধ কেটেছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এ বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।