ঢাকা ০২:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বাঘায় সৎ ভাইয়ের হাতে হত্যা হলো সাদেক আলী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নিরাপদ জায়গায় রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: আসিফ মাহমুদ ঠাকুরগাঁওয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের পার্টি অফিস দখল আজমিরীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ ৪০ জন আহত, বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লোটপাট। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এই প্রথমবারের মতো আজ নিজ জেলা চট্টগ্রামে আসলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনাবাড়ী ফ্লাইওভার ব্রিজের মাথায় বাসের ধাক্কায় নারী শ্রমিক নিহত কর্নেল সোফিয়াকে ‘জঙ্গিদের বোন’ বলে বিতর্কের মুখে বিজেপি মন্ত্রী কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, নেই প্রধান উপদেষ্টার নাম আওয়ামী লীগসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি ঢাবির ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় উপাচার্য–প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

টঙ্গীর এরশাদনগর এখন মাদকের স্বর্গ রাজ্য – পর্ব-১

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৩:৫৫:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ এপ্রিল ২০২২
  • / ২৪৮ ১৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট , গাজীপুর।।

দেশ ব্যপী পরিচিত বিভিন্ন ধরনের অপরাধ ও অপরাধীদের বসবাসের অভয়ারণ্য টঙ্গীর এরশাদনগর। এটি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪৯নং ওয়ার্ড। এরশাদ নগর এলাকায় প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা। প্রশাসন বিভিন্ন কৌশলে মাদক ব্যবসা বন্ধে বিভিন্ন অভিযান করে মাদক কারবারিদের হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করার পরেও যেন কোন অদৃশ্য শক্তির বলে প্রশাসনের ভয় না করে চলছে মাদকের কারবার। মাদক ব্যাবসায়ীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয়ে ব্যাপক ভুমিকা পালন করছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগী সোর্সেরা।
উল্যেখিত মাদক ব্যাবসায়ীদের অনেকের বিরুদ্ধে একাধীক মামলা রয়েছে।
সরেজমিনে এরশাদনগর এলাকার ৮টি ব্লকের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, ১নং ব্লকে ইয়াবা ও গাজা কারবারে শীর্ষে রয়েছে পারুল (পারুলী), দীর্ঘদিন যাবত ইয়াবা ও গাজার কারবার করছে সোর্স খলিলের স্ত্রী লিপি, প্যাথারিন ইনজেকশন ও ইয়াবার কারবার করছে ইবরা মিয়ার মেয়ে রিতা, অলি মিয়ার মেয়ে সারমিন, এছাড়া ১নং ব্লকে ইয়াবা কারবার করছে সালমা আক্তার, আকাশ, হাসি, সোহান, মুন্না, মুন্নি, খলিল, জীবন,পারভেজ, আবুল, মোশারফ, মিরাজ, দাইত্তা জলিল, দিলা ও ছাত্রলীগ নেতা হায়দার। এছাড়া রয়েছে বিদেশী মদ ও বিয়ার বিক্রেতা ছাত্রদল নেতা রমজান আলী বাবু (৯৯ বাবু)।
২নং ব্লকে ইয়াবা কারবারে শীর্ষে রয়েছে খালেদা ভা-ারী ও আলামিন, ইয়াবা ট্যবলেট ও গাজা বিক্র্য় করছে মতি ও বিপ্লব, সব ধরনের মাদক (বিয়ার, ইয়াবা, গাঁজা) পাওয়া যাচ্ছে ইবু মিয়ার কাছে। এছাড়া জামাই লিটন, পুরি মাসুদের ভাগিনা সাজনসহ রয়েছে বেশ কয়েকজন।
৩ নং ব্লকে মহাসড়ক ঘেষে বড় বাজারের প্রবেশ মুখে এক যুগের বেশী সময় গ্যাঁজার কারবার করছে সোর্স সোহাগের মা লাইলী বেগম, বেরিবাদ এলাকায় নুরু মিয়ার রয়েছে মাদক ও জুয়ার স্পট, স্ব-পরিবারে মাদকের (গাঁজা) কারবার করছে জমির, ইয়াবা ট্যবলেট ও বাংলা (দেশীয়) মদ বিক্রি করছে রুবেল (পাতা রুবেল),ইয়াবা বিক্রয় করছে ফিরোজ, গাঁজা বিক্রয় করছে হনুফা, ইয়াবার কারবারের পাশাপাশি জুয়ার বোট পরিচালনা করছে নাজু, ইয়াবার কারবার করছে রশিদ। এছাড়া কালুর বউ স্মৃতি আক্তার, সে ইয়াবা, গাজা থেকে শুরু করে নানা ধরনের মাদক খোলাখুলি ভাবে রাস্তায় বসে বিক্রি করছে। এছাড়াও মাদকের বিক্রয় করছে ইউনুছ, হারুন, সুমন, আমজাদ, লালু (৩৫), কালু (৪০), জাবেদ, জসিম, আকাশ (২৫), ভা-ারী হোসেন (৩৫)সহ অনেকে।
৪নং ব্লকে গাজার কারবার করছে শান্তা মিয়া ও নাজু বেগম, ইয়াবা ও বিয়ার বিক্রয় করছে তারা গাজী, ইয়াবা ট্যবলেট বিক্রয় ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে বিল্লাল, লোকমানের রয়েছে বিশাল মদের স্পট, এছাড়া সুমনসহ রয়েছে অনেকে।
৫নং ব্লকে ইয়াবা কারবারের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে যুবলীগ নেতা আলমের ভাই আলমগীর, মৃত আওলাদের স্ত্রী সাথী, ইয়াবা ও গ্যাঁজার কারবার করছে লাইলী ও শামসুন্নাহার, বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকা- বিয়ার ও ইয়াবা বিক্রয় করছে হযরত।
৭নং ব্লকে বিয়ার ও ইয়াবার কারবার করছে মইজুদ্দিন, গ্যাঁজার কারবার করছে লিটু ও তার ছেলে সোহেল, বিয়ার বিক্রয় করছে জুয়েল, শরীফের মেয়ের জামাই হুমায়ুন (৩৫), এছাড়া সালামের রয়েছে মাদকের বিশাল সিন্ডিকেট। এছাড়াও জামাল (৪৫), মাসুদ (৩০)সহ অনেকে দীর্ঘদিন মাদক সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে।
এছাড়া ৪ নাম্বার ময়মনসিংহ পট্টিতে দীর্ঘদিন যাবত চলছে অবৈধ জুয়ার বোট, ৬নাম্বারে আওয়ামী লীগের নাম বিক্রি করে জুয়ার বোট চালায় মিন্টু। ৪নং ব্লকে জুয়ার বোট চালায় তুফান মানিক ও সেলিম। এছাড়াও ৩নং ব্লক সহ বিভিন্ন জায়গায় চলছে একাধীক জুয়ার আসর। যা ২য় পর্বে প্রকাশ করা হবে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, উল্যেখিত ব্যক্তিদের মাদক ব্যবসায় কেউ বাধা দিতে গেলে পড়তে হচ্ছে হুমকির মুখে। তারা ঘাঁটি গেড়ে নানা ধরনের মাদক বিক্রি করে যাচ্ছে ,এতে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে যুবসমাজ, তাদের দ্রুত প্রতিকার না করা গেলে এরশাদনগর যুবসমাজ পুরোপুরি ধ্বংসের পথে চলে যাবে, তাই তাদেরকে দ্রুত প্রতিহত করতে আমরা সকলে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বর্তমানে দেশে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্যের বিস্তার সর্বত্র উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। শহর থেকে গ্রামাঞ্চল- সর্বত্রই এখন হাতের নাগালে মিলছে বিভিন্ন ধরনের মাদক। বিগত বছরগুলোয় টঙ্গীতে মাদকের বিস্তার ঘটেছে আশঙ্কাজনক ভাবে। দ্রুত এর প্রতিকার না হলে যুব সমাজ অন্ধকারে ধাবিত হবে।
গত কয়েক দিন যাবত পুলিশের বিভিন্ন অভিযানে সহযোগী হিসেবে দেখতে পাওয়া রফিকুল ইসলাম বাবুর কয়েকটি লাইভ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এক সাক্ষাতকারে বাবু জানায়, এরশাদনগর এলাকায় অসংখ্য মাদকের স্পট রয়েছে। ইতিপূর্বে এই এলাকায় বিভিন্ন অভিযানে অনেক সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করতে প্রশাসনকে সহযোগীতা করেছি। তবে বিট পুলিশিং কার্যক্রম চালু হওয়ার পর থেকে মাদকের কারবার আরো বেরে গেছে।
এবিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক ও ৪৯ নং ওয়ার্ড বিট অফিসার রাজিব বলেন, এই এলাকায় মাদকের স্পট গুলোতে প্রতিনিয়ত অভিযান করে মাদক কারবারিদের গ্রেফতার করলেও এরা জামিনে এসে পুনরায় ব্যাবসা শুরু করে। এ বিষয়ে আমি বেশী কিছু বলতে পারবো না। ওসি স্যারের সাথে কথা বলুন।
এবিষয়ে ৪৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ বলেন, বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম ও মাদক রোধে আমি প্রতিটি ব্লকে ইমামদের নিয়ে কমিটি করে দিয়েছি। বিভিন্ন সময় আমি সামনে থেকে অভিযান করিয়েছি। মাদক বিক্রেতাদের বাড়ির সামনে লাল রঙ দিয়ে চিহ্নিত করে ব্যাবস্থা নিয়েছি। এসব যদি প্রশাসন না খেয়াল রাখে আমি কিভাবে রাখবো। প্রশাসনের অনেক অসাধু কর্মকর্তা অনেক মাদক বিক্রেতার বাসায় এসে বসে থাকে আমার কাছে এমন তথ্য ও আছে। পূর্বে অনেক জনপ্রতিনিধি ছিলো যারা মাদক বিক্রেতাদের ছারিয়ে রাখতো তাদের সাথে অনেকের ভালো সম্পর্ক। তবে আমি মাদকের বিরুদ্ধে আছি থাকবো।
এবিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাবেদ মাসুদ বলেন, আমরা সব সময় মাদকের বিরুদ্ধে। তবে মাদকের পাশাপাশি আমাদের সকল দিকেই নজড়দারি করতে হয়। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর রয়েছে তারাও অভিযান পরিচালনা করছে। মাদকের স্পট সমন্ধে আমাকে জানালে অবশ্যই ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

টঙ্গীর এরশাদনগর এখন মাদকের স্বর্গ রাজ্য – পর্ব-১

আপডেট টাইম : ০৩:৫৫:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ এপ্রিল ২০২২

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট , গাজীপুর।।

দেশ ব্যপী পরিচিত বিভিন্ন ধরনের অপরাধ ও অপরাধীদের বসবাসের অভয়ারণ্য টঙ্গীর এরশাদনগর। এটি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪৯নং ওয়ার্ড। এরশাদ নগর এলাকায় প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা। প্রশাসন বিভিন্ন কৌশলে মাদক ব্যবসা বন্ধে বিভিন্ন অভিযান করে মাদক কারবারিদের হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করার পরেও যেন কোন অদৃশ্য শক্তির বলে প্রশাসনের ভয় না করে চলছে মাদকের কারবার। মাদক ব্যাবসায়ীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয়ে ব্যাপক ভুমিকা পালন করছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগী সোর্সেরা।
উল্যেখিত মাদক ব্যাবসায়ীদের অনেকের বিরুদ্ধে একাধীক মামলা রয়েছে।
সরেজমিনে এরশাদনগর এলাকার ৮টি ব্লকের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, ১নং ব্লকে ইয়াবা ও গাজা কারবারে শীর্ষে রয়েছে পারুল (পারুলী), দীর্ঘদিন যাবত ইয়াবা ও গাজার কারবার করছে সোর্স খলিলের স্ত্রী লিপি, প্যাথারিন ইনজেকশন ও ইয়াবার কারবার করছে ইবরা মিয়ার মেয়ে রিতা, অলি মিয়ার মেয়ে সারমিন, এছাড়া ১নং ব্লকে ইয়াবা কারবার করছে সালমা আক্তার, আকাশ, হাসি, সোহান, মুন্না, মুন্নি, খলিল, জীবন,পারভেজ, আবুল, মোশারফ, মিরাজ, দাইত্তা জলিল, দিলা ও ছাত্রলীগ নেতা হায়দার। এছাড়া রয়েছে বিদেশী মদ ও বিয়ার বিক্রেতা ছাত্রদল নেতা রমজান আলী বাবু (৯৯ বাবু)।
২নং ব্লকে ইয়াবা কারবারে শীর্ষে রয়েছে খালেদা ভা-ারী ও আলামিন, ইয়াবা ট্যবলেট ও গাজা বিক্র্য় করছে মতি ও বিপ্লব, সব ধরনের মাদক (বিয়ার, ইয়াবা, গাঁজা) পাওয়া যাচ্ছে ইবু মিয়ার কাছে। এছাড়া জামাই লিটন, পুরি মাসুদের ভাগিনা সাজনসহ রয়েছে বেশ কয়েকজন।
৩ নং ব্লকে মহাসড়ক ঘেষে বড় বাজারের প্রবেশ মুখে এক যুগের বেশী সময় গ্যাঁজার কারবার করছে সোর্স সোহাগের মা লাইলী বেগম, বেরিবাদ এলাকায় নুরু মিয়ার রয়েছে মাদক ও জুয়ার স্পট, স্ব-পরিবারে মাদকের (গাঁজা) কারবার করছে জমির, ইয়াবা ট্যবলেট ও বাংলা (দেশীয়) মদ বিক্রি করছে রুবেল (পাতা রুবেল),ইয়াবা বিক্রয় করছে ফিরোজ, গাঁজা বিক্রয় করছে হনুফা, ইয়াবার কারবারের পাশাপাশি জুয়ার বোট পরিচালনা করছে নাজু, ইয়াবার কারবার করছে রশিদ। এছাড়া কালুর বউ স্মৃতি আক্তার, সে ইয়াবা, গাজা থেকে শুরু করে নানা ধরনের মাদক খোলাখুলি ভাবে রাস্তায় বসে বিক্রি করছে। এছাড়াও মাদকের বিক্রয় করছে ইউনুছ, হারুন, সুমন, আমজাদ, লালু (৩৫), কালু (৪০), জাবেদ, জসিম, আকাশ (২৫), ভা-ারী হোসেন (৩৫)সহ অনেকে।
৪নং ব্লকে গাজার কারবার করছে শান্তা মিয়া ও নাজু বেগম, ইয়াবা ও বিয়ার বিক্রয় করছে তারা গাজী, ইয়াবা ট্যবলেট বিক্রয় ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে বিল্লাল, লোকমানের রয়েছে বিশাল মদের স্পট, এছাড়া সুমনসহ রয়েছে অনেকে।
৫নং ব্লকে ইয়াবা কারবারের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে যুবলীগ নেতা আলমের ভাই আলমগীর, মৃত আওলাদের স্ত্রী সাথী, ইয়াবা ও গ্যাঁজার কারবার করছে লাইলী ও শামসুন্নাহার, বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকা- বিয়ার ও ইয়াবা বিক্রয় করছে হযরত।
৭নং ব্লকে বিয়ার ও ইয়াবার কারবার করছে মইজুদ্দিন, গ্যাঁজার কারবার করছে লিটু ও তার ছেলে সোহেল, বিয়ার বিক্রয় করছে জুয়েল, শরীফের মেয়ের জামাই হুমায়ুন (৩৫), এছাড়া সালামের রয়েছে মাদকের বিশাল সিন্ডিকেট। এছাড়াও জামাল (৪৫), মাসুদ (৩০)সহ অনেকে দীর্ঘদিন মাদক সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে।
এছাড়া ৪ নাম্বার ময়মনসিংহ পট্টিতে দীর্ঘদিন যাবত চলছে অবৈধ জুয়ার বোট, ৬নাম্বারে আওয়ামী লীগের নাম বিক্রি করে জুয়ার বোট চালায় মিন্টু। ৪নং ব্লকে জুয়ার বোট চালায় তুফান মানিক ও সেলিম। এছাড়াও ৩নং ব্লক সহ বিভিন্ন জায়গায় চলছে একাধীক জুয়ার আসর। যা ২য় পর্বে প্রকাশ করা হবে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, উল্যেখিত ব্যক্তিদের মাদক ব্যবসায় কেউ বাধা দিতে গেলে পড়তে হচ্ছে হুমকির মুখে। তারা ঘাঁটি গেড়ে নানা ধরনের মাদক বিক্রি করে যাচ্ছে ,এতে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে যুবসমাজ, তাদের দ্রুত প্রতিকার না করা গেলে এরশাদনগর যুবসমাজ পুরোপুরি ধ্বংসের পথে চলে যাবে, তাই তাদেরকে দ্রুত প্রতিহত করতে আমরা সকলে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বর্তমানে দেশে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্যের বিস্তার সর্বত্র উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। শহর থেকে গ্রামাঞ্চল- সর্বত্রই এখন হাতের নাগালে মিলছে বিভিন্ন ধরনের মাদক। বিগত বছরগুলোয় টঙ্গীতে মাদকের বিস্তার ঘটেছে আশঙ্কাজনক ভাবে। দ্রুত এর প্রতিকার না হলে যুব সমাজ অন্ধকারে ধাবিত হবে।
গত কয়েক দিন যাবত পুলিশের বিভিন্ন অভিযানে সহযোগী হিসেবে দেখতে পাওয়া রফিকুল ইসলাম বাবুর কয়েকটি লাইভ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এক সাক্ষাতকারে বাবু জানায়, এরশাদনগর এলাকায় অসংখ্য মাদকের স্পট রয়েছে। ইতিপূর্বে এই এলাকায় বিভিন্ন অভিযানে অনেক সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করতে প্রশাসনকে সহযোগীতা করেছি। তবে বিট পুলিশিং কার্যক্রম চালু হওয়ার পর থেকে মাদকের কারবার আরো বেরে গেছে।
এবিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক ও ৪৯ নং ওয়ার্ড বিট অফিসার রাজিব বলেন, এই এলাকায় মাদকের স্পট গুলোতে প্রতিনিয়ত অভিযান করে মাদক কারবারিদের গ্রেফতার করলেও এরা জামিনে এসে পুনরায় ব্যাবসা শুরু করে। এ বিষয়ে আমি বেশী কিছু বলতে পারবো না। ওসি স্যারের সাথে কথা বলুন।
এবিষয়ে ৪৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ বলেন, বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম ও মাদক রোধে আমি প্রতিটি ব্লকে ইমামদের নিয়ে কমিটি করে দিয়েছি। বিভিন্ন সময় আমি সামনে থেকে অভিযান করিয়েছি। মাদক বিক্রেতাদের বাড়ির সামনে লাল রঙ দিয়ে চিহ্নিত করে ব্যাবস্থা নিয়েছি। এসব যদি প্রশাসন না খেয়াল রাখে আমি কিভাবে রাখবো। প্রশাসনের অনেক অসাধু কর্মকর্তা অনেক মাদক বিক্রেতার বাসায় এসে বসে থাকে আমার কাছে এমন তথ্য ও আছে। পূর্বে অনেক জনপ্রতিনিধি ছিলো যারা মাদক বিক্রেতাদের ছারিয়ে রাখতো তাদের সাথে অনেকের ভালো সম্পর্ক। তবে আমি মাদকের বিরুদ্ধে আছি থাকবো।
এবিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাবেদ মাসুদ বলেন, আমরা সব সময় মাদকের বিরুদ্ধে। তবে মাদকের পাশাপাশি আমাদের সকল দিকেই নজড়দারি করতে হয়। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর রয়েছে তারাও অভিযান পরিচালনা করছে। মাদকের স্পট সমন্ধে আমাকে জানালে অবশ্যই ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।