ঢাকা ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

শালিসের নামে প্রহসন

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১২:৫৮:৩৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২ এপ্রিল ২০২২
  • / ২৬৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

গত ১৭ মার্চ সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অন্তর্গত বাস্তা ইউনিয়নের গোয়ালখালী গ্রামে মোঃ সজিবের সাথে প্রতিবেশী সোহরাব মিয়া,গংদের সাথে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের কারনে বাকবিতণ্ডা ও কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ স্বদলবলে সজিব, তার পিতা তারা মিয়া ও মাতা জোছনা বেগমকে এলোপাথাড়ি মারপিট করে এমনকি এক পর্যায়ে দেশী ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে সজীবের কপাল কেঁটে যায়। মারামারির সময়ে সজিবের মায়ের গলায় থাকা একটি আট আনা ওজনের স্বর্নের চেইন ও সজিবের পকেটে থাকা,নগদ ৪৫০০ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আশেপাশের লোকজন এসে সজিবকে নিয়ে মিটফোর্ড হাসপাতালে গেলে তার কপালে সেলাই দিয়ে তাকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কোনাখালী পুলিশ ফাঁড়িতে একটি এজাহার দাখিল করিলে এসআই আব্দুল বারেক সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে স্হানীয় পর্যায়ে একটি আপোষ মিমাংসার ব্যাবস্হা গ্রহণ করা হয় এবং ১ এপ্রিল তারিখে বিকেলে বাস্তা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবু বাক্কারের সভাপতিত্বে এলাকার স্হানীয় মাদবরদের নিয়ে এক শালিসি বৈঠকের ব্যাবস্হা করা হয়। উক্ত শালিসি বৈঠকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত গণমাধ্যম ও মানাবাধিকার সংস্হা ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি (এনপিএস) এর কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এম,এস,এ রেজার নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল উপস্হিত ছিলো। উক্ত শালিসে স্হানীয় মেম্বার আবু বাক্কার সম্পূর্ণ সাজানো, মনগড়া প্রহসনের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার চেষ্টা করেন। উক্ত শালিসে সোহরাব মিয়া গংদেরকে সজিবের চিকিৎসা বাবদ যে খরচ হয়েছে তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কিন্তু সম্পূর্ণ পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে আবু বাক্কার সজিবকে মাত্র ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিলে সজিব ঐ রায় না মেনে ২ তারিখে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় সাধারন ডায়েরি করেন যা বর্তমানে তদন্তাধীন আছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শালিসের নামে প্রহসন

আপডেট টাইম : ১২:৫৮:৩৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

গত ১৭ মার্চ সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অন্তর্গত বাস্তা ইউনিয়নের গোয়ালখালী গ্রামে মোঃ সজিবের সাথে প্রতিবেশী সোহরাব মিয়া,গংদের সাথে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের কারনে বাকবিতণ্ডা ও কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ স্বদলবলে সজিব, তার পিতা তারা মিয়া ও মাতা জোছনা বেগমকে এলোপাথাড়ি মারপিট করে এমনকি এক পর্যায়ে দেশী ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে সজীবের কপাল কেঁটে যায়। মারামারির সময়ে সজিবের মায়ের গলায় থাকা একটি আট আনা ওজনের স্বর্নের চেইন ও সজিবের পকেটে থাকা,নগদ ৪৫০০ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আশেপাশের লোকজন এসে সজিবকে নিয়ে মিটফোর্ড হাসপাতালে গেলে তার কপালে সেলাই দিয়ে তাকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কোনাখালী পুলিশ ফাঁড়িতে একটি এজাহার দাখিল করিলে এসআই আব্দুল বারেক সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে স্হানীয় পর্যায়ে একটি আপোষ মিমাংসার ব্যাবস্হা গ্রহণ করা হয় এবং ১ এপ্রিল তারিখে বিকেলে বাস্তা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবু বাক্কারের সভাপতিত্বে এলাকার স্হানীয় মাদবরদের নিয়ে এক শালিসি বৈঠকের ব্যাবস্হা করা হয়। উক্ত শালিসি বৈঠকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত গণমাধ্যম ও মানাবাধিকার সংস্হা ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি (এনপিএস) এর কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এম,এস,এ রেজার নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল উপস্হিত ছিলো। উক্ত শালিসে স্হানীয় মেম্বার আবু বাক্কার সম্পূর্ণ সাজানো, মনগড়া প্রহসনের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার চেষ্টা করেন। উক্ত শালিসে সোহরাব মিয়া গংদেরকে সজিবের চিকিৎসা বাবদ যে খরচ হয়েছে তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কিন্তু সম্পূর্ণ পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে আবু বাক্কার সজিবকে মাত্র ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিলে সজিব ঐ রায় না মেনে ২ তারিখে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় সাধারন ডায়েরি করেন যা বর্তমানে তদন্তাধীন আছে।