ঢাকা ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

ধর্ষণকারী আসামী মোঃ শাহীন কে আটক করেছে র‌্যাব-৭, 

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১২:১৯:৪৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০২২
  • ১৭৭ ০.০০০ বার পাঠক

বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান চট্রগ্রামঃ

সময়ের কন্ঠ চট্টগ্রামের খবর ০৯ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের ০৩ দিনের মধ্যে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে ধর্ষণকারী আসামী মোঃ শাহীন(১৯) কে আটক করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম।

র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, র্দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

ভুক্তভোগী ধর্ষিতা ভিকটিম ০৯ বছরের শিশু কন্যা এবং স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী। গত ২৩ মার্চ ২০২২ ইং তারিখ প্রতিদিনের ন্যায় ভিকটিমের মা-বাবা কাজের উদ্দ্যেশ্য বাড়ি থেকে বাহির হয়ে যায়। তাদের ৩য় শ্রেণীতে পড়–য়া শিশু কন্যা মাদ্রাসার ক্লাস শেষ করে ঐদিন আনুমানিক ১৪০৫ ঘটিকায় বাড়িতে আসলে ঘরের মধ্যে কোন লোক না থাকায় ধর্ষক মোঃ শাহীন শিশু কন্যা ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন ও ম্যাজিক লাইট দেখাবে বলে ফুসলিয়ে তার বসত ঘরে নিয়ে যায়। ধর্ষক শাহীন শিশু কন্যা ভিকটিম এর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ভিকটিমের চিৎকার শুনে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষক শাহীন তখন ঘর থেকে বাহির হয়ে সু-কৌশলে পালিয়ে যায়। তখন স্থানীয় লোকজন ০৯ বছরের শিশু কন্যাকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখে ভিকটিমের বাবাকে মোবাইল ফোনে অবহিত করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা অসুস্থ্য মেয়েকে সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত ডাক্তার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ওসিসি) তে প্রেরণ করেন এবং বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ওসিসি) চিকিৎসাধীন আছে।

উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৩৩ তারিখ ২৭ মার্চ ২০২২ ইং ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(১)। মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে ধর্ষক মোঃ শাহীন(১৯) নিজ এলাকা হতে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করতে থাকে। এ ঘটনায় ধর্ষণকারী শাহীনকে গ্রেফতারের জন্য র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোয়েন্দা নজরদারী এবং ছায়াতদন্ত শুরু করে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, ধর্ষণকারী শাহীন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন বারৈয়ারহাট বাজার এলাকায় আত্মগোপন করে আছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ৩০ মার্চ ২০২২ ইং তারিখ ১৯২০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ শাহীন(১৯), পিতা-নেজাম উদ্দিন, সাং- ইয়াসিন নগর, থানা-সীতাকুন্ড, জেলা-চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উপরে উল্লেখিত ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ধর্ষণকারী আসামী মোঃ শাহীন কে আটক করেছে র‌্যাব-৭, 

আপডেট টাইম : ১২:১৯:৪৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০২২

বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান চট্রগ্রামঃ

সময়ের কন্ঠ চট্টগ্রামের খবর ০৯ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের ০৩ দিনের মধ্যে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে ধর্ষণকারী আসামী মোঃ শাহীন(১৯) কে আটক করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম।

র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, র্দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

ভুক্তভোগী ধর্ষিতা ভিকটিম ০৯ বছরের শিশু কন্যা এবং স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী। গত ২৩ মার্চ ২০২২ ইং তারিখ প্রতিদিনের ন্যায় ভিকটিমের মা-বাবা কাজের উদ্দ্যেশ্য বাড়ি থেকে বাহির হয়ে যায়। তাদের ৩য় শ্রেণীতে পড়–য়া শিশু কন্যা মাদ্রাসার ক্লাস শেষ করে ঐদিন আনুমানিক ১৪০৫ ঘটিকায় বাড়িতে আসলে ঘরের মধ্যে কোন লোক না থাকায় ধর্ষক মোঃ শাহীন শিশু কন্যা ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন ও ম্যাজিক লাইট দেখাবে বলে ফুসলিয়ে তার বসত ঘরে নিয়ে যায়। ধর্ষক শাহীন শিশু কন্যা ভিকটিম এর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ভিকটিমের চিৎকার শুনে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষক শাহীন তখন ঘর থেকে বাহির হয়ে সু-কৌশলে পালিয়ে যায়। তখন স্থানীয় লোকজন ০৯ বছরের শিশু কন্যাকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখে ভিকটিমের বাবাকে মোবাইল ফোনে অবহিত করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা অসুস্থ্য মেয়েকে সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত ডাক্তার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ওসিসি) তে প্রেরণ করেন এবং বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ওসিসি) চিকিৎসাধীন আছে।

উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৩৩ তারিখ ২৭ মার্চ ২০২২ ইং ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(১)। মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে ধর্ষক মোঃ শাহীন(১৯) নিজ এলাকা হতে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করতে থাকে। এ ঘটনায় ধর্ষণকারী শাহীনকে গ্রেফতারের জন্য র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোয়েন্দা নজরদারী এবং ছায়াতদন্ত শুরু করে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, ধর্ষণকারী শাহীন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন বারৈয়ারহাট বাজার এলাকায় আত্মগোপন করে আছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ৩০ মার্চ ২০২২ ইং তারিখ ১৯২০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ শাহীন(১৯), পিতা-নেজাম উদ্দিন, সাং- ইয়াসিন নগর, থানা-সীতাকুন্ড, জেলা-চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উপরে উল্লেখিত ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।