ঢাকা ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপনের দাবিতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে মতবিনিময় শনিবার সাতক্ষীরা আলিপুরে মাহফিলে বাধা অকথ্য ভাষায় গালি বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ নির্বাচনের মাধ্যমে ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে দেশের মাটিতে আর ফ্যাসিবাদ আসতে পারবে না ২৪ এপ্রিল কে জাতীয় শ্রমিক দিবস ঘোষণা জাতীয় নাগরিক পার্টি দফের আবিষ্কার ও প্রচলন ইতিহাস ডিউটি সিডিউল ভুল করার কারণে প্রত্যাহার হলেন কেন্দ্রসচিব হল সুপার ও কক্ষ পর্যবেক্ষক ফুলবাড়ীতে কানাহার দিঘি নিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা জেলায় শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার নির্বাচিত হলেন সুব্রত দাস বাংলাদেশকে ৮৫ কোটি ডলার দিবে বিশ্বব্যাংক টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ দিতে পারেনি দুদক: আইনজীবী

টেন্ডার ছাড়াই স্কুলের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ প্রধাণ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৯:১৬:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২
  • / ২৫৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
সোহেল তানভীর, ঠাকুরগাঁও সদর প্রতিনিধি।।
 ঠাকুরগাঁওয়ে টেন্ডার ছাড়াই স্কুলের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রধাণ শিক্ষক মীর আনোয়ারুল কবীরের বিরুদ্ধে।
সদর উপজেলার পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভেতরে থাকা কয়েক লাখ টাকার কাঁঠাল গাছ বিক্রি করেন তিনি।
করোনাকালিন সময়ে বিদ্যালয় বন্ধ থাকা অবস্থায় মাস খানেক আগে গাছগুলো কাটার পর কৌশলে বিক্রির পর মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।বুধবার বিষয়টি জানাজানি হলে তার সত্যতা মিল।
বিদ্যালয় কমিটির সুত্রে জানা গেছে, ১৯৯০ সালের দিকে বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মনোয়ারা বেগম বিদ্যালয় চত্বরে বেশকিছু কাঁঠাল গাছ রোপণ করেন। নিয়মিত পরিচর্যায় সেই গাছগুলো বেড়ে উঠে। এক সময় তা ফল দিতে শুরু করে। গাছের কাঁঠাল বিক্রি করে বিদ্যালয়ের ছোট খাটে খরচ হতো। কিন্তু কোন কারন ছাড়াই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির যোগসাজসে প্রায় পনেরটি গাছ বিক্রি করে দেন।
বন বিভাগের কার্যালয় সূত্র জানায়, সরকারি অফিসের কোনো গাছ কাটতে হলে সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে অনুমোদন নিতে হয়। এরপর বন বিভাগে আবেদন করতে হয়। সেই আবেদন সরেজমিন যাচাই-বাছাই করে গাছের মূল্য নির্ধারণ করে কাটার অনুমোদন দেয় বন বিভাগ। কিন্তু পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের খেয়াল খুশিমতো গাছ কেটে বিক্রি করে দেন।

স্থানীয়রা জানান, মাস খানেক আগে পনেরটি গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

পরে সেসব গাছের শিকড় মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। প্রধাণ শিক্ষকের নির্দেশে গাছগুলো বিক্রি করা হয়। অথচ গাছে প্রচুর ফল আসতো।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মামুন উর রশিদের দাবি গাছগুলো শুকিয়ে মারা যাচ্ছিল। বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য তা বিক্রি করা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক মীর আনোয়ারুল কবীর জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয়দের নিয়ে রেজুলশন করে মারা যাওয়া ৯টি কাঁঠাল গাছ নিলামের মাধ্যমে ১ লাখ ৪৩ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। সব টাকাই বিদ্যালয়ের উন্নয়নে খরচ হয়েছে। সরকারি গাছ কাটার প্রক্রিয়া জানা ছিলো না বলে এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রুনা লায়লা জানান, বিদ্যালয়ের গাছ কাটতে হলে নিয়ম মেনে কাটতে হবে। কিন্তু  প্রধান শিক্ষক কোনো অনুমোদন না নিয়ে গাছগুলো কেটে অপরাধ করেছেন। আমরা নিশ্চিত হয়েছি গাছ কাটার বিষয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার প্রক্রিয়া চলছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামান জানান, যদি কেউ আইনবহির্ভূতভাবে গাছ কেটে বিক্রি করেন তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

টেন্ডার ছাড়াই স্কুলের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ প্রধাণ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

আপডেট টাইম : ০৯:১৬:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২
সোহেল তানভীর, ঠাকুরগাঁও সদর প্রতিনিধি।।
 ঠাকুরগাঁওয়ে টেন্ডার ছাড়াই স্কুলের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রধাণ শিক্ষক মীর আনোয়ারুল কবীরের বিরুদ্ধে।
সদর উপজেলার পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভেতরে থাকা কয়েক লাখ টাকার কাঁঠাল গাছ বিক্রি করেন তিনি।
করোনাকালিন সময়ে বিদ্যালয় বন্ধ থাকা অবস্থায় মাস খানেক আগে গাছগুলো কাটার পর কৌশলে বিক্রির পর মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।বুধবার বিষয়টি জানাজানি হলে তার সত্যতা মিল।
বিদ্যালয় কমিটির সুত্রে জানা গেছে, ১৯৯০ সালের দিকে বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মনোয়ারা বেগম বিদ্যালয় চত্বরে বেশকিছু কাঁঠাল গাছ রোপণ করেন। নিয়মিত পরিচর্যায় সেই গাছগুলো বেড়ে উঠে। এক সময় তা ফল দিতে শুরু করে। গাছের কাঁঠাল বিক্রি করে বিদ্যালয়ের ছোট খাটে খরচ হতো। কিন্তু কোন কারন ছাড়াই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির যোগসাজসে প্রায় পনেরটি গাছ বিক্রি করে দেন।
বন বিভাগের কার্যালয় সূত্র জানায়, সরকারি অফিসের কোনো গাছ কাটতে হলে সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে অনুমোদন নিতে হয়। এরপর বন বিভাগে আবেদন করতে হয়। সেই আবেদন সরেজমিন যাচাই-বাছাই করে গাছের মূল্য নির্ধারণ করে কাটার অনুমোদন দেয় বন বিভাগ। কিন্তু পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের খেয়াল খুশিমতো গাছ কেটে বিক্রি করে দেন।

স্থানীয়রা জানান, মাস খানেক আগে পনেরটি গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

পরে সেসব গাছের শিকড় মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। প্রধাণ শিক্ষকের নির্দেশে গাছগুলো বিক্রি করা হয়। অথচ গাছে প্রচুর ফল আসতো।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মামুন উর রশিদের দাবি গাছগুলো শুকিয়ে মারা যাচ্ছিল। বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য তা বিক্রি করা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক মীর আনোয়ারুল কবীর জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয়দের নিয়ে রেজুলশন করে মারা যাওয়া ৯টি কাঁঠাল গাছ নিলামের মাধ্যমে ১ লাখ ৪৩ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। সব টাকাই বিদ্যালয়ের উন্নয়নে খরচ হয়েছে। সরকারি গাছ কাটার প্রক্রিয়া জানা ছিলো না বলে এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রুনা লায়লা জানান, বিদ্যালয়ের গাছ কাটতে হলে নিয়ম মেনে কাটতে হবে। কিন্তু  প্রধান শিক্ষক কোনো অনুমোদন না নিয়ে গাছগুলো কেটে অপরাধ করেছেন। আমরা নিশ্চিত হয়েছি গাছ কাটার বিষয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার প্রক্রিয়া চলছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামান জানান, যদি কেউ আইনবহির্ভূতভাবে গাছ কেটে বিক্রি করেন তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।