ঢাকা ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জানাযায় প্রধান উপদেষ্টার কাতার সফরে গুরুত্ব পাবে কতটুকু নার্সিং ডিপ্লোমাকে ডিগ্রী সমমান করার দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থান কর্মসূচি ঠাকুরগাঁওয়ে কবরের ওপর থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক খামার তৈরি করায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী দেশে তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ১৯ দিনে এলো ২১ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা

নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদীর চরে বালু উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হতিয়ে নিচ্ছে প্রভাবশালীরা নিরব পুলিশ প্রশাসন

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৪:১৩:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ মার্চ ২০২২
  • / ২৯২ ৫০০০.০ বার পাঠক

নাটোর লালপুর প্রতিনিধি।।

নাটোরের লালপুর উপজেলায় পানি শূন্য পদ্মা নদীর চরজাজিরা , রামকৃষ্ণপুর , বাকনাই ,মোহরকয়া ও নওসারা সুলতানপুর এলাকায় গত প্রায় ১মাস থেকে চলছে এস্কেবেটর (ভেকু) দিয়ে বালু উত্তোলনের মহাৎসব ।
প্রতিদিন সন্ধ্যার পর শুরু হয় ওই কাজ। চলে পুরো রাত।
স্থানীয়দের দাবী,
প্রতিরাতে ১০ চাকার ড্রাম ট্রাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ওই বালু। লালপুর উপজেলা পরিষদের সামনে দিয়ে প্রতি রাতে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ গাড়ী বালু যাচ্ছে পার্শবর্তি বড়াইগ্রামে নির্মানাধীন বনপাড়া পল্লী বিদ্যুতের ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রে। সারা রাতে বিকট শব্দে চলে ওই ড্রাম ট্রাক। বালু বোঝাই ওই ভারী যানবাহন চলাচলে উপজেলার প্রায় ৩০ কিলোমিটার রাস্তা একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অপরদিকে বালু বাহী গাড়ীর বিকট শব্দে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে স্থানীয় অধিবাসীদের।
স্থানীয় অধিবাসীদের দাবী,ওই বিষয়ে
একাধিকবার, ইউএনও সহ স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলেও কোন কাজ হয়নি ।
তবে প্রশাসন বলছে,তারা এব্যাপারে কিছু জানেন না।
স্থানীয় অধিবাসী আতিক জানান,
লালপুর উপজেলার হল মোড় থেকে মাত্র ৩-৪ কিলোমিটার দক্ষিনে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিকজোন এলাকা। এর পাশে পানি শূন্য পদ্মা নদীর তলদেশ থেকেএস্কেবেটর (ভেকু) দিয়ে উত্তোলন চলছে বালু।
এব্যাপারে জানতে চাইলে
বালু-ভারাট উত্তোলনে তদারককারী তিতাস তার দুলাভাই (ভগ্নীপতি) আব্দুল্লার সাথে কথা বলতে বলেন।
যোগাযোগ করা হলে বালু ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, অফিসিয়াল ভাবে বালু তোলার অনুমতি আছে। সার্ভেয়ার দিয়ে জায়গা নির্ধারন করাও আছে ।
এব্যাপারে জানতে চাইলে অনুমতি ও জায়গা নির্ধারন করে দেয়ার কথা অস্বিকার করে লালপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাম্মী আক্তার জানান, কাউকে নদী থেকে বালু উত্তোলন করার কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা সুলতানা জানান,
বিষয়টি তিনি জানেন না। এব্যাপারে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয়দের দাবী, পদ্মা নদী থেকে এস্কেবেটর (ভেকু) দিয়ে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ভূমিদস্যু ও বালু ব্যাবসায়ীরা। অথচ হুমকির মধ্যে পড়ছে পদ্মানদী,স্থানীয় রাস্তা-ঘাট,বাড়ি আর সর্বোপরি অধিবাসীরা। অথচ বার বার বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না ।
এছাড়া ওই বালু উত্তোলনের ফলে
অর্থনৈতিক জোন এলাকার জমি,কলনীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের অর্ধ শতাধিক বাড়ি,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,লালপুর থানা, লালপুর সদর বাজার, নদী রক্ষা বাঁধসহ প্রায় ৩০ টি গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে। এমন অবস্থায় দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতি রোধকল্পে অনতিবিলম্বে ওই বালু উত্তোলন বন্ধে সরকার,প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আশু পদক্ষেপ কামনা করেন তারা। গর্ভে বিলীন হতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে। এমন অবস্থায় দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতি রোধকল্পে অনতিবিলম্বে ওই বালু উত্তোলন বন্ধে সরকার,প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আশু পদক্ষেপ কামনা করেন তারা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদীর চরে বালু উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হতিয়ে নিচ্ছে প্রভাবশালীরা নিরব পুলিশ প্রশাসন

আপডেট টাইম : ০৪:১৩:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ মার্চ ২০২২

নাটোর লালপুর প্রতিনিধি।।

নাটোরের লালপুর উপজেলায় পানি শূন্য পদ্মা নদীর চরজাজিরা , রামকৃষ্ণপুর , বাকনাই ,মোহরকয়া ও নওসারা সুলতানপুর এলাকায় গত প্রায় ১মাস থেকে চলছে এস্কেবেটর (ভেকু) দিয়ে বালু উত্তোলনের মহাৎসব ।
প্রতিদিন সন্ধ্যার পর শুরু হয় ওই কাজ। চলে পুরো রাত।
স্থানীয়দের দাবী,
প্রতিরাতে ১০ চাকার ড্রাম ট্রাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ওই বালু। লালপুর উপজেলা পরিষদের সামনে দিয়ে প্রতি রাতে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ গাড়ী বালু যাচ্ছে পার্শবর্তি বড়াইগ্রামে নির্মানাধীন বনপাড়া পল্লী বিদ্যুতের ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রে। সারা রাতে বিকট শব্দে চলে ওই ড্রাম ট্রাক। বালু বোঝাই ওই ভারী যানবাহন চলাচলে উপজেলার প্রায় ৩০ কিলোমিটার রাস্তা একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অপরদিকে বালু বাহী গাড়ীর বিকট শব্দে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে স্থানীয় অধিবাসীদের।
স্থানীয় অধিবাসীদের দাবী,ওই বিষয়ে
একাধিকবার, ইউএনও সহ স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলেও কোন কাজ হয়নি ।
তবে প্রশাসন বলছে,তারা এব্যাপারে কিছু জানেন না।
স্থানীয় অধিবাসী আতিক জানান,
লালপুর উপজেলার হল মোড় থেকে মাত্র ৩-৪ কিলোমিটার দক্ষিনে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিকজোন এলাকা। এর পাশে পানি শূন্য পদ্মা নদীর তলদেশ থেকেএস্কেবেটর (ভেকু) দিয়ে উত্তোলন চলছে বালু।
এব্যাপারে জানতে চাইলে
বালু-ভারাট উত্তোলনে তদারককারী তিতাস তার দুলাভাই (ভগ্নীপতি) আব্দুল্লার সাথে কথা বলতে বলেন।
যোগাযোগ করা হলে বালু ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, অফিসিয়াল ভাবে বালু তোলার অনুমতি আছে। সার্ভেয়ার দিয়ে জায়গা নির্ধারন করাও আছে ।
এব্যাপারে জানতে চাইলে অনুমতি ও জায়গা নির্ধারন করে দেয়ার কথা অস্বিকার করে লালপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাম্মী আক্তার জানান, কাউকে নদী থেকে বালু উত্তোলন করার কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা সুলতানা জানান,
বিষয়টি তিনি জানেন না। এব্যাপারে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয়দের দাবী, পদ্মা নদী থেকে এস্কেবেটর (ভেকু) দিয়ে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ভূমিদস্যু ও বালু ব্যাবসায়ীরা। অথচ হুমকির মধ্যে পড়ছে পদ্মানদী,স্থানীয় রাস্তা-ঘাট,বাড়ি আর সর্বোপরি অধিবাসীরা। অথচ বার বার বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না ।
এছাড়া ওই বালু উত্তোলনের ফলে
অর্থনৈতিক জোন এলাকার জমি,কলনীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের অর্ধ শতাধিক বাড়ি,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,লালপুর থানা, লালপুর সদর বাজার, নদী রক্ষা বাঁধসহ প্রায় ৩০ টি গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে। এমন অবস্থায় দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতি রোধকল্পে অনতিবিলম্বে ওই বালু উত্তোলন বন্ধে সরকার,প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আশু পদক্ষেপ কামনা করেন তারা। গর্ভে বিলীন হতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে। এমন অবস্থায় দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতি রোধকল্পে অনতিবিলম্বে ওই বালু উত্তোলন বন্ধে সরকার,প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আশু পদক্ষেপ কামনা করেন তারা।