ঢাকা ০৪:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ময়মনসিংহ সদর-উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীক বিজয় করার লক্ষ্যে বিশাল নির্বাচনী আলোচনা জনসভা সাত সকালেই কাঁথির দইসাই বাসস্ট্যান্ডের সামনে ,ভয়াবহ দুর্ঘটনা অন্ধত্ব প্রতিরোধে শেখ ফরিদুল ইসলাম এর সহযোগীতায় রামপালে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে বাস্তব-সত্যঘঠনা, ও,তথ্যভিত্তিক রেফারেন্স উল্লেখিত-দেশাত্মবোধক বিদ্রোহী কবিতা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন; মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীর কর্মীকে মারধরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন মির্জাপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপ সহকারী জব্বারের বিরুদ্ধে চা-বিক্রেতাকে মেরে রক্তাক্ত জখম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে যাদবপুর কেন্দ্রের তৃনমূল দলের প্রার্থী শাওনি ঘোষের হরে প্রচারে স্পিকার বিমান ব্যানার্জী ইবিতে কোটি টাকা ব্যয়েও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিবহন সেবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন- মঠবাড়িয়া দুই চেয়াররম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত-৫ : গ্রেপ্তার-৫ টাঙ্গাইল জেলা গোপালপুর উপজেলা গোপালপুর পৌর এলাকা হাটবৈরান গ্রামে বেলা তিনটার দিকে স্বামীর হাতে বউ খুন

অপকর্মের মূলহোতা পিস্তল জাহিদ জামিনে থাকায় আতংকে মামলার বাদীরা

স্টাফ রিপোটার।।

অন্যের সম্পত্তি অবৈধভাবে জাল হলপনামা,ভূয়া দলিল,জাল স্ট্যাম্প,নামজারী নকল তৈরি করে ভাল মানুষকে মামলায় ফাসিঁয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নগদ অর্থ আদায় এবং হত্যার হুমকি দেয়াসহ অপকর্মের সাথে জড়িত পুরান ঢাকার জাহির আহসান জাহিদ। এমন কোন অপকর্ম নাই যে যা তিনি করেননি,তার অপকর্মের ইতিহাস লিখলেও শেষ হবে না।তার বিরুদ্ধে বাংলা টিভি চ্যানেল,চ্যানেল আই ও দৈনিক আলোকিত নিউজ,জনকণ্ঠ, বাংলা নিউজসহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তার অপকর্মের নিউজ প্রকাশিত হয়। জাহিদের বৈধ পিস্তল সবসময় অবৈধ কাজে ব্যবহার করে মানুষকে নানাভাবে হয়রানী করার জন্য বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিসট্রেট আদালতে,ঢাকাতে সন্ত্রাসী সৈয়দ জহির আহসান জাহিদের বিরুদ্ধে ধারা ৪২০/৪০৬/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৫০৬ তে মামলা দায়ের হয়। যা সি.আর.মামলার নং- ৫৫৭/২০২০। উল্লেখ্য যে সন্ত্রাসী জাহিদ ঢাকার একটি বাড়ী যার নং- ২৩ সিদ্ধেশ্বরী লেন,ঢাকা- ১২১৭ এই বাড়ীটি জাল জালিয়াতি র মাধ্যমে জাহিদ নিজের নামে করে নেওয়ার চেষ্টা চালায়।পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযান চালালে,পিস্তল জাহিদ সুকৌশলে পালিয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে সন্ত্রাসী জাহিদ ছদ্মবেশ ধারন করে তার মুখের দাড়ির সাথে মানানসই করে হুজুর বেশে তার চেহারার পরিবর্তন করে ফেলে। সন্ত্রাসী জাহিদ নানা কৌশল ব্যবহার করলেও রমনা মডেল থানার পুলিশি অভিযানে গত ১০ ফেব্রুয়ারী, বৃহস্পতিবার ২০২২ ইং সন্ধ্যার সময় সিদ্ধেশ্বরী এলাকা মসজিদ থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী, বুধবার ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সি আই ডি) কর্তৃক জাল দলিল সৃজনকারী এক প্রতারকচক্র ধরা পড়ে। এসময় তাদের কাছ থেকে কয়েক হাজার জাল দলিল ও স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়। তারা ততকালীন পাকিস্তান এমনকি বৃটিশ সময়কার দলিলও জাল করেছিলো।সেই ধরপাকড়ে অনেক প্রতারক জালিয়াত ধরা পড়লেও ওই চক্রের মূল হোতা জাহিদসহ আরও অনেক সদস্য থেকে যায় ধরা ছোড়ার বাহিরে । বিষয়টি সেসময় প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক সাড়া ফেলে।সে সময় সিআইডি কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় থেকে এই কাজ পুরোপুরি ভাবে আনজাম দিয়ে আসছে। পুরাতন দলিল সংগ্রহ করে কেমিক্যাল দিয়ে আগের লেখা মুছে ফেলেন। তারপর ওই দলিলে নতুন ভাবে তাদের মত করে লিখে ভুক্তভোগীদের বাড়িঘর দখল করার চেষ্টা করে। এই চক্রের সাথে আরো কারা কারা জড়িত, তাদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় সি আই ডি। সি আই ডির এই ধারাবাহিক চেষ্টা ছিল প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে এক অলিখিত যুদ্ধ। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার যেই প্রত্যয়ে কাজ করছেন তারই সহযোদ্ধা হিসেবে যেন আবির্ভূত হয়েছে সিআইডি। এই সহযোদ্ধাদের একজন সিআইডির অত্যন্ত চৌকশ অফিসার মোঃ শাহিরান হক (বিপি-৮৫০৩০১৮৫৬৭) এর তদন্তে নকল স্ট্যাম্প,সাক্ষর জালিয়াতিসহ জাহিদের জাল জালিয়াতি নিরস্কুশভাবে প্রমানিত হয়। একি সাথে উঠে আসে জাহিদের জাল স্ট্যাম্প বানানোর কারিগরি দিক। এমনকি এই প্রতারক সন্ত্রাসী জাহিদ সি আইডি’র এই স্মার্ট অফিসারকে কিভাবে প্রভাবিত করতে চেয়েছে সেটাও উঠে এসেছে তদন্তে রিপোর্টে। ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী ওই প্রতারক চক্রের কিছু সদস্য ধরা পড়ার পর সন্ত্রাসী জাহিদকে ভয়াবহ প্রতারনা এবং জালজালিয়াতির জন্য মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে সি আই ডি কর্তৃক চিহ্নিত করে ফেলা তখনকার অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক এর বক্তবের সত্যতাই প্রতিফলিত করে। জালিয়াত ও প্রতারক চক্র ধরার এই অভিযানে সন্ত্রাসী জাহিদের মত একজন জালিয়াত প্রতারকের ধরা পড়া অবশ্যই সাধারন মানুষের জন্য এক স্বস্তিদায়ক ব্যাপার। এই জাহিদকে নন এফ. আই. আর. মামলা নং- ৬৯/২০ এর তদন্ত রিপোর্টে রমনা মডেল থানা “সন্ত্রাসী ” হিসেবে উল্লেখ করেছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টারস স্মারক নং-১.০০০০.০৩০.০৮.৭৫.২১/৯৯৫ তাং-০৭/০৩/২০২১ খ্রিঃ এবং উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রফেশনাল স্ট্যান্ডারর্ড অ্যান্ড ইন্টারনাল ইনভেস্টিগেশন),ডিএমপি,ঢাকার স্মরণ নং আর.ওপি এসঅ্যান্ড আই আই)/(রমনা-৭৫/২০২১)/২১২০,তাং-১৮/০৩/২০২১ খ্রিঃ এর সূত্রানুযায়ী প্রফেশনাল স্ট্যান্ডারর্ড এন্ড ইন্টারনাল ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের তত্তাবধানে পরিচালিত তদন্তকালে তদন্ত অফিসার এস.এম.শামীম ( বিপি-৮৪১৪১৬৬২৮৬)সহকারী পুলিশ কমিশনার (রমনা জোন), ঢাকামেট্রোপলিটান পুলিশ ২০.০৫.২০২১ ইং দেয়া এক লিখিত প্রতিবেদনে এই জাহিদকে”খারাপ প্রকৃত মানুষ” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। অপর তদন্তকারী অফিসার ইশতিয়াক আহমেদ ( বিপি-৮৫১৪১৬৬৩০৯) সহকারী পুলিশ কমিশনার, ডিজিটাল ফরেন্সিক টিম সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন,কাউন্টার টেররিসম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশ তার দেয়া এক লিখিত প্রতিবেদনে জাহিদকে খারাপ স্বভাবের ও দুষ্টু প্রকৃতির লোক বলে অভিহিত করেছে। ওই তদন্তেই উঠে আসে যে জাহিদ এলাকায় “পিস্তল জাহিদ” নামে পরিচিত। তার বর্তমান ঠিকানার অধিবাসীরা রমনা জোনের স্থায়ী বাসিন্দা তারা জানায়,এই সন্ত্রাসী জাহিদ এর শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম ছিলেন রমনা মডেল থানার সাবেক কর্মকর্তা সে কারনে জাহিদ এত প্রভাব বিস্তার করে এলাকার মানুষকে জিম্মি করে রাখে। তার ভয়ে এলাকার মানুষ আতঙ্কে থাকে। গত ফেব্রুয়ারি রবিবার ২০২২ ইং এই সন্ত্রাসী তার জালজালিয়াতির অপকর্মের জন্য গ্রেফতার অবস্থায় জামিনের আবেদন করলেও বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে পুনরায় জেল হাজতে প্রেরন করেন। বর্তমানে জামিনে আছে পিস্তল জাহিদ। অন্যদিকে মামলার বাদী একজন অসুস্থ, বিদবা এবং অত্যান্ত বয়স্ক মহিলা তাকে জাহিদের গ্রুপের সন্ত্রাসীরা ইতিমধ্যে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তার বাড়ীতে ভাংচুর চালিয়েছে এই মর্মে রমনা মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী দায়ের করা হয়েছে।এছাড়াও সন্ত্রাসী জাহিদ পুলিশের স্টীকার লাগানো দেখতে সিলভার ( রুপালী) রঙের ঢাকা মেট্রো-গ, ১৪-৬১১৬ নম্বরের গাড়ী নিয়ে এলে বাদীর বাসার কেয়ার টেকারকে পুলিশ দিয়ে গুম করে ফেলার হুমকি দেয়। এই ব্যাপারে রমনা মডেল থানায় সি.আর মামলা ৩৪৮/২০২১ এর তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে পুলিশের তদন্

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ময়মনসিংহ সদর-উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীক বিজয় করার লক্ষ্যে বিশাল নির্বাচনী আলোচনা জনসভা

অপকর্মের মূলহোতা পিস্তল জাহিদ জামিনে থাকায় আতংকে মামলার বাদীরা

আপডেট টাইম : ০৩:৩৩:১৪ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২

স্টাফ রিপোটার।।

অন্যের সম্পত্তি অবৈধভাবে জাল হলপনামা,ভূয়া দলিল,জাল স্ট্যাম্প,নামজারী নকল তৈরি করে ভাল মানুষকে মামলায় ফাসিঁয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নগদ অর্থ আদায় এবং হত্যার হুমকি দেয়াসহ অপকর্মের সাথে জড়িত পুরান ঢাকার জাহির আহসান জাহিদ। এমন কোন অপকর্ম নাই যে যা তিনি করেননি,তার অপকর্মের ইতিহাস লিখলেও শেষ হবে না।তার বিরুদ্ধে বাংলা টিভি চ্যানেল,চ্যানেল আই ও দৈনিক আলোকিত নিউজ,জনকণ্ঠ, বাংলা নিউজসহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তার অপকর্মের নিউজ প্রকাশিত হয়। জাহিদের বৈধ পিস্তল সবসময় অবৈধ কাজে ব্যবহার করে মানুষকে নানাভাবে হয়রানী করার জন্য বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিসট্রেট আদালতে,ঢাকাতে সন্ত্রাসী সৈয়দ জহির আহসান জাহিদের বিরুদ্ধে ধারা ৪২০/৪০৬/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৫০৬ তে মামলা দায়ের হয়। যা সি.আর.মামলার নং- ৫৫৭/২০২০। উল্লেখ্য যে সন্ত্রাসী জাহিদ ঢাকার একটি বাড়ী যার নং- ২৩ সিদ্ধেশ্বরী লেন,ঢাকা- ১২১৭ এই বাড়ীটি জাল জালিয়াতি র মাধ্যমে জাহিদ নিজের নামে করে নেওয়ার চেষ্টা চালায়।পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযান চালালে,পিস্তল জাহিদ সুকৌশলে পালিয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে সন্ত্রাসী জাহিদ ছদ্মবেশ ধারন করে তার মুখের দাড়ির সাথে মানানসই করে হুজুর বেশে তার চেহারার পরিবর্তন করে ফেলে। সন্ত্রাসী জাহিদ নানা কৌশল ব্যবহার করলেও রমনা মডেল থানার পুলিশি অভিযানে গত ১০ ফেব্রুয়ারী, বৃহস্পতিবার ২০২২ ইং সন্ধ্যার সময় সিদ্ধেশ্বরী এলাকা মসজিদ থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী, বুধবার ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সি আই ডি) কর্তৃক জাল দলিল সৃজনকারী এক প্রতারকচক্র ধরা পড়ে। এসময় তাদের কাছ থেকে কয়েক হাজার জাল দলিল ও স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়। তারা ততকালীন পাকিস্তান এমনকি বৃটিশ সময়কার দলিলও জাল করেছিলো।সেই ধরপাকড়ে অনেক প্রতারক জালিয়াত ধরা পড়লেও ওই চক্রের মূল হোতা জাহিদসহ আরও অনেক সদস্য থেকে যায় ধরা ছোড়ার বাহিরে । বিষয়টি সেসময় প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক সাড়া ফেলে।সে সময় সিআইডি কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় থেকে এই কাজ পুরোপুরি ভাবে আনজাম দিয়ে আসছে। পুরাতন দলিল সংগ্রহ করে কেমিক্যাল দিয়ে আগের লেখা মুছে ফেলেন। তারপর ওই দলিলে নতুন ভাবে তাদের মত করে লিখে ভুক্তভোগীদের বাড়িঘর দখল করার চেষ্টা করে। এই চক্রের সাথে আরো কারা কারা জড়িত, তাদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় সি আই ডি। সি আই ডির এই ধারাবাহিক চেষ্টা ছিল প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে এক অলিখিত যুদ্ধ। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার যেই প্রত্যয়ে কাজ করছেন তারই সহযোদ্ধা হিসেবে যেন আবির্ভূত হয়েছে সিআইডি। এই সহযোদ্ধাদের একজন সিআইডির অত্যন্ত চৌকশ অফিসার মোঃ শাহিরান হক (বিপি-৮৫০৩০১৮৫৬৭) এর তদন্তে নকল স্ট্যাম্প,সাক্ষর জালিয়াতিসহ জাহিদের জাল জালিয়াতি নিরস্কুশভাবে প্রমানিত হয়। একি সাথে উঠে আসে জাহিদের জাল স্ট্যাম্প বানানোর কারিগরি দিক। এমনকি এই প্রতারক সন্ত্রাসী জাহিদ সি আইডি’র এই স্মার্ট অফিসারকে কিভাবে প্রভাবিত করতে চেয়েছে সেটাও উঠে এসেছে তদন্তে রিপোর্টে। ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী ওই প্রতারক চক্রের কিছু সদস্য ধরা পড়ার পর সন্ত্রাসী জাহিদকে ভয়াবহ প্রতারনা এবং জালজালিয়াতির জন্য মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে সি আই ডি কর্তৃক চিহ্নিত করে ফেলা তখনকার অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক এর বক্তবের সত্যতাই প্রতিফলিত করে। জালিয়াত ও প্রতারক চক্র ধরার এই অভিযানে সন্ত্রাসী জাহিদের মত একজন জালিয়াত প্রতারকের ধরা পড়া অবশ্যই সাধারন মানুষের জন্য এক স্বস্তিদায়ক ব্যাপার। এই জাহিদকে নন এফ. আই. আর. মামলা নং- ৬৯/২০ এর তদন্ত রিপোর্টে রমনা মডেল থানা “সন্ত্রাসী ” হিসেবে উল্লেখ করেছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টারস স্মারক নং-১.০০০০.০৩০.০৮.৭৫.২১/৯৯৫ তাং-০৭/০৩/২০২১ খ্রিঃ এবং উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রফেশনাল স্ট্যান্ডারর্ড অ্যান্ড ইন্টারনাল ইনভেস্টিগেশন),ডিএমপি,ঢাকার স্মরণ নং আর.ওপি এসঅ্যান্ড আই আই)/(রমনা-৭৫/২০২১)/২১২০,তাং-১৮/০৩/২০২১ খ্রিঃ এর সূত্রানুযায়ী প্রফেশনাল স্ট্যান্ডারর্ড এন্ড ইন্টারনাল ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের তত্তাবধানে পরিচালিত তদন্তকালে তদন্ত অফিসার এস.এম.শামীম ( বিপি-৮৪১৪১৬৬২৮৬)সহকারী পুলিশ কমিশনার (রমনা জোন), ঢাকামেট্রোপলিটান পুলিশ ২০.০৫.২০২১ ইং দেয়া এক লিখিত প্রতিবেদনে এই জাহিদকে”খারাপ প্রকৃত মানুষ” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। অপর তদন্তকারী অফিসার ইশতিয়াক আহমেদ ( বিপি-৮৫১৪১৬৬৩০৯) সহকারী পুলিশ কমিশনার, ডিজিটাল ফরেন্সিক টিম সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন,কাউন্টার টেররিসম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশ তার দেয়া এক লিখিত প্রতিবেদনে জাহিদকে খারাপ স্বভাবের ও দুষ্টু প্রকৃতির লোক বলে অভিহিত করেছে। ওই তদন্তেই উঠে আসে যে জাহিদ এলাকায় “পিস্তল জাহিদ” নামে পরিচিত। তার বর্তমান ঠিকানার অধিবাসীরা রমনা জোনের স্থায়ী বাসিন্দা তারা জানায়,এই সন্ত্রাসী জাহিদ এর শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম ছিলেন রমনা মডেল থানার সাবেক কর্মকর্তা সে কারনে জাহিদ এত প্রভাব বিস্তার করে এলাকার মানুষকে জিম্মি করে রাখে। তার ভয়ে এলাকার মানুষ আতঙ্কে থাকে। গত ফেব্রুয়ারি রবিবার ২০২২ ইং এই সন্ত্রাসী তার জালজালিয়াতির অপকর্মের জন্য গ্রেফতার অবস্থায় জামিনের আবেদন করলেও বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে পুনরায় জেল হাজতে প্রেরন করেন। বর্তমানে জামিনে আছে পিস্তল জাহিদ। অন্যদিকে মামলার বাদী একজন অসুস্থ, বিদবা এবং অত্যান্ত বয়স্ক মহিলা তাকে জাহিদের গ্রুপের সন্ত্রাসীরা ইতিমধ্যে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তার বাড়ীতে ভাংচুর চালিয়েছে এই মর্মে রমনা মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী দায়ের করা হয়েছে।এছাড়াও সন্ত্রাসী জাহিদ পুলিশের স্টীকার লাগানো দেখতে সিলভার ( রুপালী) রঙের ঢাকা মেট্রো-গ, ১৪-৬১১৬ নম্বরের গাড়ী নিয়ে এলে বাদীর বাসার কেয়ার টেকারকে পুলিশ দিয়ে গুম করে ফেলার হুমকি দেয়। এই ব্যাপারে রমনা মডেল থানায় সি.আর মামলা ৩৪৮/২০২১ এর তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে পুলিশের তদন্