ঢাকা ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
সম্প্রীতির দেশ গঠনে একে অপরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসুন: সেনাপ্রধান অন্তর্বর্তী সরকারের ‘সব কাজ বৈধ’, মেয়াদ অনির্দিষ্ট: অধ্যাদেশ হচ্ছে চট্টগ্রামে হেফাজতের সমাবেশে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি জাতীয় বিপ্লব সংহতি দিবস উপলক্ষে রায়পুরে বিএনপির সমাবেশ কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা মাহবুব হাসান বাবু রাজপথের ত্যাগী নেতা: হারুন উর রশিদ ট্রাম্প জয়ী হওয়ায় বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কে কোনো পরিবর্তন হতে পারে মুজিববর্ষের নামে অর্থ অপচয় নিয়ে ডকুমেন্টেশন করা হবে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সুইজারল্যান্ডের বিমানবন্দরে হেনস্তার শিকার আসিফ নজরুল ট্রাম্পের জয়কে ‘ন্যায্য ও স্বচ্ছ’ বললেন বাইডেন

কলাবাগানে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় দিহানের বিচার শুরু

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩৩:১৭ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
  • / ২৫৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

রাজধানীর কলাবাগানে ইংরেজি মাধ্যম পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে (১৭) ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে তার বন্ধু ফারদিন ইফতেখার ওরফে দিহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত আজ বুধবার এই আদেশ দেন। আগামী ১৬ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছেন আদালত। প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফারহানা আহমেদ।

পিপি ফারহানা বলেন, ‘অভিযোগ গঠনের শুনানির আগে কারাগারে থাকা আসামি দিহানকে আদালতে হাজির করা হয়। অভিযোগ গঠনের শুনানিতে আসামি দিহান নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। আদালতের অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হলো।

গত বছরের ৭ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কলাবাগান থানায় ফোন করে জানায়, এক তরুণ এক কিশোরীকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এনেছেন। কিশোরীর শরীর থেকে রক্ত ঝরছে।

কলাবাগান থানার পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে দিহানকে আটক করে। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে দিহানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এই মামলায় গত বছরের ৮ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, দিহানের ‘পাশবিক নির্যাতনে’ কিশোরীর মৃত্যু হয়।

মামলার নথিপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে কিশোরীর সঙ্গে দিহানের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে মেসেঞ্জারে নিয়মিত কথা হতো। পরিচয়ের এক মাসের মাথায় গত বছরের ৬ জানুয়ারি দিহান মেসেঞ্জারে কিশোরীকে পরদিন তাঁদের বাসায় যেতে প্ররোচিত করেন।

মামলার নথি অনুযায়ী, ঘটনার দিন গৃহকর্মী বাসা থেকে চলে যাওয়ার পর দুপুর ১২টার দিকে ফোন দিয়ে কিশোরীকে বাসার বাইরে আসতে বলেন দিহান। কিশোরী তার বাসা থেকে বের হওয়ার পর তাঁকে নিজেদের বাসায় নিয়ে যান দিহান।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, কিশোরীকে ফুসলিয়ে নিজের বাসায় এনে ধর্ষণ করে পাশবিক নির্যাতন করে হত্যা করেন দিহান। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন নৃশংস ধর্ষণ ও ধর্ষণের ফলে ভুক্তভোগী কিশোরীর মৃত্যুর বিষয়টি প্রমাণ করে।

মামলায় সাক্ষী হিসেবে ৫০ জনের বেশি ব্যক্তির জবানবন্দি ১৬১ ধারায় রেকর্ড করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক খালেদ সাইফুল্লাহ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কলাবাগানে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় দিহানের বিচার শুরু

আপডেট টাইম : ০৮:৩৩:১৭ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

রাজধানীর কলাবাগানে ইংরেজি মাধ্যম পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে (১৭) ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে তার বন্ধু ফারদিন ইফতেখার ওরফে দিহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত আজ বুধবার এই আদেশ দেন। আগামী ১৬ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছেন আদালত। প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফারহানা আহমেদ।

পিপি ফারহানা বলেন, ‘অভিযোগ গঠনের শুনানির আগে কারাগারে থাকা আসামি দিহানকে আদালতে হাজির করা হয়। অভিযোগ গঠনের শুনানিতে আসামি দিহান নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। আদালতের অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হলো।

গত বছরের ৭ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কলাবাগান থানায় ফোন করে জানায়, এক তরুণ এক কিশোরীকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এনেছেন। কিশোরীর শরীর থেকে রক্ত ঝরছে।

কলাবাগান থানার পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে দিহানকে আটক করে। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে দিহানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এই মামলায় গত বছরের ৮ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, দিহানের ‘পাশবিক নির্যাতনে’ কিশোরীর মৃত্যু হয়।

মামলার নথিপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে কিশোরীর সঙ্গে দিহানের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে মেসেঞ্জারে নিয়মিত কথা হতো। পরিচয়ের এক মাসের মাথায় গত বছরের ৬ জানুয়ারি দিহান মেসেঞ্জারে কিশোরীকে পরদিন তাঁদের বাসায় যেতে প্ররোচিত করেন।

মামলার নথি অনুযায়ী, ঘটনার দিন গৃহকর্মী বাসা থেকে চলে যাওয়ার পর দুপুর ১২টার দিকে ফোন দিয়ে কিশোরীকে বাসার বাইরে আসতে বলেন দিহান। কিশোরী তার বাসা থেকে বের হওয়ার পর তাঁকে নিজেদের বাসায় নিয়ে যান দিহান।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, কিশোরীকে ফুসলিয়ে নিজের বাসায় এনে ধর্ষণ করে পাশবিক নির্যাতন করে হত্যা করেন দিহান। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন নৃশংস ধর্ষণ ও ধর্ষণের ফলে ভুক্তভোগী কিশোরীর মৃত্যুর বিষয়টি প্রমাণ করে।

মামলায় সাক্ষী হিসেবে ৫০ জনের বেশি ব্যক্তির জবানবন্দি ১৬১ ধারায় রেকর্ড করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক খালেদ সাইফুল্লাহ।