ঢাকা ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

সুন্দরগঞ্জে শীতকালে তিস্তা ভাঙন

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০২:৪১:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ২১৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি।।
শীতকালেও তিস্তায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। অব্যাহত ভাঙনে যেন দিশাহারা হয়ে পড়েছে তিস্তা পাড়ের মানুষ। তিস্তার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ ফসলি জমি। উপজেলার হরিপুর, চন্ডিপুর, কাপাসিয়া ও শ্রীপুর ইউনিয়নের উজানের বিভিন্ন চরে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। একদিকে কনকনে ঠান্ডা, অন্যদিকে করোনার থাবা এরপর তিস্তার ভাঙনে কাহিল চরবাসি। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। চন্ডিপুর ইউপি চেয়ার‍ম্যান ফুল মিয়া জানান, গত ৩ বছর ধরে সারা বছরেই নদী ভাঙছে। যা এর আগে কখনো হয়নি। বিশেষ করে উপজেলার চরচরিতাবাড়ি, চর মাদারীপাড়া, মাদারী পাড়া, কাশিমবাজার, লালচামার, কেরানির চর, ফকিরের চর, কালাইসোতার চর এলাকায় তীব্র আকার ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত ১০ দিনের ব্যবধানে তিস্তা সেতু পয়েন্ট উজান বোচাগাড়ি এলাকায় ১৫টি পরিবারের বসতভিটা, ফসলি জমি, রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে শতাধিক বসতবাড়ি।  চর মাদারী পাড়া গ্রামের হাকিম আলী জানান, এর আগে মাঘ-ফাল্গুন মাসে কখনো নদী ভাঙতে দেখি নাই। গত ৩ বছর ধরে তা হচ্ছে। অসময়ে নদী ভাঙন চরবাসির জন্য অত্যন্ত ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, বেশ কয়েকটি চরে নদী ভাঙন এখনও চলছে। আধা-পাকা ফসল এবং তরিতরকারির আবাদসহ নদীগর্ভে  বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তরায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, পানি কমে যাওয়ায় উজানে কিছুএলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সুন্দরগঞ্জে শীতকালে তিস্তা ভাঙন

আপডেট টাইম : ০২:৪১:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২২
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি।।
শীতকালেও তিস্তায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। অব্যাহত ভাঙনে যেন দিশাহারা হয়ে পড়েছে তিস্তা পাড়ের মানুষ। তিস্তার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ ফসলি জমি। উপজেলার হরিপুর, চন্ডিপুর, কাপাসিয়া ও শ্রীপুর ইউনিয়নের উজানের বিভিন্ন চরে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। একদিকে কনকনে ঠান্ডা, অন্যদিকে করোনার থাবা এরপর তিস্তার ভাঙনে কাহিল চরবাসি। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। চন্ডিপুর ইউপি চেয়ার‍ম্যান ফুল মিয়া জানান, গত ৩ বছর ধরে সারা বছরেই নদী ভাঙছে। যা এর আগে কখনো হয়নি। বিশেষ করে উপজেলার চরচরিতাবাড়ি, চর মাদারীপাড়া, মাদারী পাড়া, কাশিমবাজার, লালচামার, কেরানির চর, ফকিরের চর, কালাইসোতার চর এলাকায় তীব্র আকার ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত ১০ দিনের ব্যবধানে তিস্তা সেতু পয়েন্ট উজান বোচাগাড়ি এলাকায় ১৫টি পরিবারের বসতভিটা, ফসলি জমি, রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে শতাধিক বসতবাড়ি।  চর মাদারী পাড়া গ্রামের হাকিম আলী জানান, এর আগে মাঘ-ফাল্গুন মাসে কখনো নদী ভাঙতে দেখি নাই। গত ৩ বছর ধরে তা হচ্ছে। অসময়ে নদী ভাঙন চরবাসির জন্য অত্যন্ত ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, বেশ কয়েকটি চরে নদী ভাঙন এখনও চলছে। আধা-পাকা ফসল এবং তরিতরকারির আবাদসহ নদীগর্ভে  বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তরায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, পানি কমে যাওয়ায় উজানে কিছুএলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।