তালার মুড়াগাছায় প্রতিবন্ধীকে মেরে আহত, প্রতিবন্ধী সংগঠনের নিন্দা, থানায় এজাহার
- আপডেট টাইম : ১২:১৬:১৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
- / ২৬৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি : তালার মুড়াগাছায় বাবলা নামের এক প্রতিবন্ধীকে মেরে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটিয়েছে মুড়াগাছা গ্রামের মৃত কাদের সরদারের ছেলে এলাকার ত্রাস খ্যাত নারী কেলেঙ্কারির হোতা হিংস্র মাদকসেবী, মাদক কারবারীদের পৃষ্ঠপোষক হুমায়ুন কবির (কল্লোল)। এ ঘটনায় ইংরেজি ০৬-০২-২০২২ তারিখে প্রতিবন্ধীর মা মিনারা বেগম বাদী হয়ে তালা থানায় একটি এজাহার করেছেন। এজাহার সূত্রে ও প্রতিবন্ধীর পরিবারের সদস্যদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, মুড়াগাছা গ্রামের সৈয়দ নুরুল ইসলামের প্রতিবন্ধী ছেলে সৈয়দ বাবলা রহমান অত্যন্ত দরিদ্র হাওয়ায় মানুষের বাড়িতে বিভিন্ন কাজকর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করে। প্রতিবন্ধী হওয়ায় ভাত খেতে দেয়া সহ যে-যা দেয় তার বিনিময়ে সে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে দেয়। গত ইংরেজি ০১-০২- ২০২২ তারিখ সকাল আনুমানিক (৯) ঘটিকার সময় প্রতিবন্ধী বাবলা কাজ করে মাদকসেবী কল্লোলের বাড়ির পাশে ইটের সলিং রাস্তায় পৌঁছানোর সাথে সাথে কল্লোল প্রতিবন্ধী বাবলার গতিরোধ করে পাড়ায় কাজ করতে আসতে নিষেধ করে। প্রতিবন্ধী বাবলা কল্লোলের কাছে পাড়ায় কাজ করতে না আসার কারণ জানতে চাইলে মাদকসেবী কল্লোল প্রতিবন্ধী বাবলা কে টেনে হিঁচড়ে বাড়ীর ভেতরে নিয়ে চড় কিল লাথি মেরে ফোলা জখম করে। এসময় মাদকসেবী কল্লোল বাড়ির বারান্দা থেকে একটি লোহার শাবল নিয়ে প্রতিবন্ধী বাবলাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথায় বাড়ি মারলে প্রতিবন্ধী বাবলা প্রাণে বাঁচার জন্য তার ডান হাত দিয়ে বাড়ি ঠেকাতে গেলে ডান হাত ভেঙে যায় এবং মারাত্মক জখম হয়। এ-সময় প্রতিবন্ধী বাবলার ডাক চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে উদ্ধারের চেষ্টা করলে মাদকসেবী হিংস্র কল্লোল তাকে আবারও খুন জখম সহ বিভিন্ন ভাবে ক্ষয়ক্ষতি করার হুমকি দেয়। হিংস্র মাদকসেবী কল্লোলের প্রচন্ড মারপিটে প্রতিবন্ধী বাবলার অবস্থা অবনতি হওয়ায় প্রতিবন্ধীর মা মিনারা বেগম প্রতিবন্ধী বাবলাকে তালা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। উল্লেখিত প্রতিবন্ধী সৈয়দ বাবলা রহমান এলাকায় পাগল বাবলা নামে সবার সু-পরিচিত এবং পাগল হওয়ায় এলাকায় সবাই তাকে অত্যন্ত ভালবাসে। অসহায় প্রতিবন্ধী বাবলাকে এভাবে মারপিট করার ঘটনায় এলাকায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার অগণিত ব্যক্তি বলেন, নারী কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে এমন কোনো অপকর্ম নেই যা কল্লোল করেনি। এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করেন যে, কল্লোল নিজে সার্বক্ষণিক নেশা করে সেই সাথে এলাকার কিশোর-যুবকদের হাতে মাদক ধরিয়ে দিয়ে এলাকাকে চরম সর্বনাশের পথে নিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী আরও অভিযোগ করে বলেন যে, কল্লোলের শালিখা বাজারের দোকান মাদকসেবী ও মাদক কারবারীদের কন্ট্রোলরুম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সার্বক্ষণিক কল্লোলের দোকানে ও দোকানের আশেপাশে মাদকসেবী, মাদক কারবারীদের আনাগোনা চলতে থাকে। কল্লোলের খারাপ ব্যবহার ও খারাপ আচরণের কারণে তার দোকানে তেমন তেমন খরিদ্দার প্রবেশ করে না, শুধুমাত্র দোকানের আড়ালে মাদকসেবী ও মাদক কারবারীদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সে দোকানের ব্যবসা খুলে বসে আছে। এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করে বলেন যে, কল্লোল যখন-তখন যাকে-তাকে অপমান অপদস্ত করে, মারতে যায়। তারা আরো বলেন, এলাকার কিছু খারাপ শ্রেণীর মানুষ কল্লোল-কে প্রশ্রয় দিচ্ছে, যে কারণে কল্লোল এত বেপরোয়া হওয়া সত্ত্বেও সব সময় ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।