ঢাকা ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর চার প্রদেশে দেশ ভাগ করার কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন যুদ্ধবিরতি এখনই কার্যকর হচ্ছে না, জানালেন নেতানিয়াহু সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি লক্ষ্মীপুরের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সংগঠন, ইলেভেন ষ্টার ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংঘের ২০২৫ সালের নতুন কমিটি গঠন যেখানেই আইন লঙ্ঘন হবে পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থানিতে পিছু হটবেনা-ওসি কোতয়ালী টাঙ্গাইলে সমন্বয়ক পরিচয়ধারীদের পদ স্হগিত করলেন হাসনাত আবদুল্লাহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রোববার পাকিস্তানের ‘জেএফ-১৭ থান্ডার’ যুদ্ধবিমানে আগ্রহ বাংলাদেশের

রাজধানীতে চলছে ‘মাদকের মৌসুম’

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৯:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৩১৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের অনুসন্ধান রিপোর্ট।।
রাজধানীতে ইয়াবা, গাঁজা ও ফেনসিডিলের চালান প্রবেশ এবং দেদার কেনাবেচা কোনোভাবেই থামছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অভিযানেও থামানো যাচ্ছে না মাদক কারবারিদের। প্রতিদিন বিভিন্নভাবে আসছে গাঁজা, ইয়াবা এবং ফেনসিডিলের চালান। করোনা ভাইরাস শুরুর পর লকডাউনের মধ্যে মাদক কারবারিরা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু পরে আবারও তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

Nogod
মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরা ও সূত্রাপুর এলাকা থেকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তিনটি টিম পৃথক অভিযান চালিয়ে জব্দ করেছে ৩১ হাজার ৮৬০ পিস ইয়াবা। অন্যদিকে গোয়েন্দা পুলিশের অন্য একটি টিম মতিঝিল এলাকা থেকে জব্দ করেছে ২০০ বোতল ফেনসিডিল। চারটি ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে ৯ মাদক কারবারি। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারাও স্বীকার করেছে বর্তমানে মাদক ব্যবসার ‘ভালো মৌসুম’ চলছে রাজধানীতে। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, সম্প্রতি প্রায় প্রতিদিনই রাজধানীর কোনও না কোনও এলাকা থেকে উদ্ধার হচ্ছে ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাঁজা।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তরা জোনাল টিমের অতিরিক্তি উপ-পুলিশ কমিশনার বদরুজ্জামান জিল্লু জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আজমপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি মাইক্রোবাস তল্লাশি করে জব্দ করা হয় ১০ হাজার পিস ইয়াবা। গ্রেফতার করা হয় দুই মাদক কারবারি আলী হোসেন ওরফে রনি ও মো. আবুল কাশেমকে।মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের একটি টিম পুরান ঢাকার বানিয়ানগর ধোলাইখাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করে। গ্রেফতার করা হয় মাদক কারবারি শরিফুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে জিন্নাহ ও মো. বাবুলকে। গোয়েন্দা পুলিশের কোতোয়ালি জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুর রহমান আজাদ বলেন, গ্রেফতারকৃতরা কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করত।

আরো পড়ুন: এক বছরের মধ্যে বিসিএস শেষ করতে চায় পিএসসি

এছাড়া মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগের একটি টিম উত্তরা পূর্ব থানার আবদুল্লাহপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে মাদক কারবারি সৈকত হোসেনকে। এ সময় তার কাছ থেকে জব্দ করা হয় ১ হাজার ৮৬০ পিস ইয়াবা। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের অন্য একটি টিম আরামবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে মাদক কারবারি আলম, সাইফুর রহমান ওরফে রোকন, মাহতাব উদ্দিন ও শাহীনকে। এ সময় তাদের হেফাজত হতে জব্দ করে ২০০ বোতল ফেনসিডিল। এ ব্যাপারে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার শাহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃতরা চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ফেনসিডিল সংগ্রহ করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে।

মাদক কারবার বৃদ্ধির ব্যাপারে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মানজারুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে অনেকে বেকার হয়ে পড়েছে। ফলে অনেকেই জড়িয়ে পড়েছে মাদক কারবারে। এ কর্মকর্তা জানান, ২০১৯ সালে মাদক সংশ্লিষ্ট মামলা হয়েছে ১৭ হাজার ৯০৫টি আর ২০২০ সালে মামলা হয়েছে ১৭ হাজার ২০৪টি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাজধানীতে চলছে ‘মাদকের মৌসুম’

আপডেট টাইম : ০৬:৪৯:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২১

সময়ের অনুসন্ধান রিপোর্ট।।
রাজধানীতে ইয়াবা, গাঁজা ও ফেনসিডিলের চালান প্রবেশ এবং দেদার কেনাবেচা কোনোভাবেই থামছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অভিযানেও থামানো যাচ্ছে না মাদক কারবারিদের। প্রতিদিন বিভিন্নভাবে আসছে গাঁজা, ইয়াবা এবং ফেনসিডিলের চালান। করোনা ভাইরাস শুরুর পর লকডাউনের মধ্যে মাদক কারবারিরা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু পরে আবারও তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

Nogod
মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরা ও সূত্রাপুর এলাকা থেকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তিনটি টিম পৃথক অভিযান চালিয়ে জব্দ করেছে ৩১ হাজার ৮৬০ পিস ইয়াবা। অন্যদিকে গোয়েন্দা পুলিশের অন্য একটি টিম মতিঝিল এলাকা থেকে জব্দ করেছে ২০০ বোতল ফেনসিডিল। চারটি ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে ৯ মাদক কারবারি। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারাও স্বীকার করেছে বর্তমানে মাদক ব্যবসার ‘ভালো মৌসুম’ চলছে রাজধানীতে। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, সম্প্রতি প্রায় প্রতিদিনই রাজধানীর কোনও না কোনও এলাকা থেকে উদ্ধার হচ্ছে ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাঁজা।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তরা জোনাল টিমের অতিরিক্তি উপ-পুলিশ কমিশনার বদরুজ্জামান জিল্লু জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আজমপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি মাইক্রোবাস তল্লাশি করে জব্দ করা হয় ১০ হাজার পিস ইয়াবা। গ্রেফতার করা হয় দুই মাদক কারবারি আলী হোসেন ওরফে রনি ও মো. আবুল কাশেমকে।মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের একটি টিম পুরান ঢাকার বানিয়ানগর ধোলাইখাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করে। গ্রেফতার করা হয় মাদক কারবারি শরিফুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে জিন্নাহ ও মো. বাবুলকে। গোয়েন্দা পুলিশের কোতোয়ালি জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুর রহমান আজাদ বলেন, গ্রেফতারকৃতরা কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করত।

আরো পড়ুন: এক বছরের মধ্যে বিসিএস শেষ করতে চায় পিএসসি

এছাড়া মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগের একটি টিম উত্তরা পূর্ব থানার আবদুল্লাহপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে মাদক কারবারি সৈকত হোসেনকে। এ সময় তার কাছ থেকে জব্দ করা হয় ১ হাজার ৮৬০ পিস ইয়াবা। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের অন্য একটি টিম আরামবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে মাদক কারবারি আলম, সাইফুর রহমান ওরফে রোকন, মাহতাব উদ্দিন ও শাহীনকে। এ সময় তাদের হেফাজত হতে জব্দ করে ২০০ বোতল ফেনসিডিল। এ ব্যাপারে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার শাহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃতরা চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ফেনসিডিল সংগ্রহ করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে।

মাদক কারবার বৃদ্ধির ব্যাপারে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মানজারুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে অনেকে বেকার হয়ে পড়েছে। ফলে অনেকেই জড়িয়ে পড়েছে মাদক কারবারে। এ কর্মকর্তা জানান, ২০১৯ সালে মাদক সংশ্লিষ্ট মামলা হয়েছে ১৭ হাজার ৯০৫টি আর ২০২০ সালে মামলা হয়েছে ১৭ হাজার ২০৪টি।