নাটোরের লালপুরে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিধবা ও বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার শ্যালক রানার বিরুদ্ধে
- আপডেট টাইম : ০৫:৫২:৩৯ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২
- / ২৯১ ৫০০০.০ বার পাঠক
স্টাফ রিপোর্টার লালপুর, নাটোর।।
অনুসন্ধানে জানা যায়। নাটোর, লালপুর, উপজেলার ৮ নং দুড়দুড়ীয়া ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মোঃ সোহানুর রহমান সোহান পিতা মোহাম্মদ হাবিল মিয়া এর সাথে বলে জানা যায় সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নানের নাম ভাঙ্গিয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সোহানের ২,২৫০ টাকা তিন মাস পরে পরে আসলে ও সে টাকা চলে যায় সাবেক চেয়ারম্যানের ড্রাইভার রানার মোবাইলে এই প্রতিবন্ধী সোহানের টাকা বিগত দিনে সাবেক চেয়ারম্যানের ড্রাইভার রানা মিয়ার মোবাইলে চার বার আশার কথা স্বীকার করলেও সে টাকা ফেরত দেওয়া হয় নাই ঔ প্রতিবন্ধী সোহান কে ,সাবেক চেয়ারম্যানের শ্যালক রানা মিয়ার মোবাইলে চারবার টাকা আসার স্বীকারোক্তি সাংবাদিকের কাছে আছে। পরে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সোহান ও তার পরিবারের লোকজন এসে বিষয়টা বর্তমান চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা কে অবহিত করে। তাৎক্ষণিক চেয়ারম্যান সাহেব রানার সাথে যোগাযোগ করলে প্রথমে বিষয়টা এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করে, পরে বিভিন্ন প্রমাণাদি দেখানোর পরে ড্রাইভার রানা তার মোবাইলে চারবার টাকা আসছে বলে স্বীকার করেন। স্বীকার করলে সে টাকা ফেরত দেননি প্রতিবন্ধী সোহান কে। সাবেক চেয়ারম্যানের ড্রাইভার রানা মিয়া বলেন আমার দুলা ভাই সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আমরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি আমরা আবুল কালাম আজাদের লোক টাকা খেয়ে ফেলছি দেওয়া যাবে না। শুধু সোহানের না এমন আরো কত বয়স্ক ভাতা প্রতিবন্ধি বিধবা ভাতাধারীদের টাকা খাইছি কিছুই করতে পারে নাই বলে হুমকি-ধামকি প্রদান করেন। পারে বর্তমান নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ২০০০ টাকা ফেরত আনতে সক্ষম হন । পরে সে টাকা নিয়ে ছুটে যান অজ-পাড়া গন্ডবিল গ্রামে খুঁজে বের করেন সেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সোহান কে তুলে দেন তার হাতে সেই টাকা। ভাতার টাকা হাতে পেয়ে, দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন, হে আল্লাহ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা ভাইকে আল্লাহ নেক হায়াত দান করেন ও গরিব দুঃখী অসহায়,মানুষের পাশে থেকে সারা জীবন যেন সেবা করে যেতে পারে সেই তৌফিক দান করুন আমিন।
৮নংদুড়দুড়ীয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ও তার
শ্যালক রানার দুর্নীতির পরিমান এতটাই যে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেও জয়লাভ হতে পারেন নাই। এতে করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও নৌকা মার্কার এবং দলের মান ক্ষুন্ন হয়েছে বলেও মনে করেন অনেকে । বিগত নির্বাচনে মানুষকে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিলেও কোনোটা বাস্তবায়ন করেন নি সাবেক এই চেয়ারম্যান। এলাকার ভিতরে ঘুরে অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায় বিধবা প্রতিবন্ধী বয়স্ক ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার কথা বলে একেক জনের কাছ থেকে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে সাবেক চেয়ারম্যান ও তার শ্যালক রানার বিরুদ্ধে। তবুও থেমে থাকেনি তাদের অপকর্ম তারপরে ও সুযোগ বুঝে বিকাশ ও নগদ একাউন্টে নিজেদের একাধিক নাম্বার ব্যবহার করেছে। সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ও তার শ্যালক রানা।টাকা আত্মসাতের ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে টাকার ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে স্বীকৃতি দেন সাবেক চেয়ারম্যান। পরে সাংবাদিকদের নানান প্রশ্নের মুখোমুখি হলে এক পর্যায়ে অপরাধের কথা স্বীকার করেন সাবেক চেয়ারম্যান। এবং সংবাদটি প্রচার না করতে অনুরোধ করেন। এবং সাংবাদিক কে ম্যানেজ করার চেষ্টা ও করেন সাবেক চেয়ারম্যান যা সাংবাদিকের মোবাইলে রেকর্ডকৃত আছেন ।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলে যানা যাই এবারের ইউনিয়ন নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়েও নির্বাচিত হতে পারেন নি অত্র ইউনিয়নে এই সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হান্নান শুধুমাত্র দুর্নীতির কারণে। বিগত সময়ে দেশে যখন মহামারী করোনার কারণে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন ঠিক তখন জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্রাণ তহবিল থেকে যে সমস্ত ত্রাণ পাঠিয়ে ছিলেন তার নাম মাত্র কিছু জনগণকে দিয়ে ফটোসেশন করে বাকি মালা মাল আত্মসাৎ করে ফেলল। অত্র ইউনিয়নের এই চেয়ারম্যান ও তার শ্যালক। এলাকার মুরব্বি ও নেতাকর্মীরা মনে করেন এই সব দুর্নীতির কারণেই পরাজিত হয়েছেন।সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হান্নান।বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন আগামী সংখ্যায়। সময়ের অনুসন্ধান অনলাইন টিভি ও দৈনিক সময়েকন্ঠ পত্রিকায়।।