মোঃ আকরাম হোসেন বিশেষ প্রতিনিধি।।
দেশের বৃহত্তর শিল্প প্রতিষ্ঠান ইটভাটা,এই শিল্প-কারখানায় লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন,বাংলা মাসের কার্তিকের প্রথম থেকেই শুরু হয়ে যায় ইট তৈরির কার্যক্রম,ইট তৈরি করতে প্রস্তুতি নিতে হয় প্রায় এক বছরেরও বেশি সময়,ইট তৈরীর শ্রমিকদের আনতে হলে দিতে হয় তাদের দাদন নামক লক্ষ লক্ষ টাকা,মাটি রাখতে হয় মজুদ,পাশাপাশি কয়লার বিকল্প নাই,তবে (২০২১)(২০২২) এ কয়লার সিন্ডিকেটে কবর হতে চলছে ১০০% ভাটা মালিকদের,অন্যান্য বছরে যে কয়লার মূল্য ছিল (৮০০০)থেকে (৮৫০০) টাকা মাত্র,সে কয়লার দাম বেড়ে গিয়ে বর্তমান হয়েছে (২১৫০০) থেকে প্রায় (২২০০০) টাকা,প্রত্যেকটা পণ্যের দাম উত্থানের একটা সীমা আছে,কিন্তু কয়লার ক্ষেত্রে সীমাহীনভাবে বেড়ে গেছে কয়লার দাম,কয়লার দাম বৃদ্ধি সম্পর্কীত বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের পরিচালক শামীম আল মামুন এর নিকট ২০ ই জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টা ২৯ মিনিটে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,কয়লার ব্যাপারে আমাদের নিকটে কেউ কখনো কোনো কম্পিলেন করিনি,তবে আপনি বলছেন যখন বিষয়টি আমি দেখবো আর কি,ভোক্তাদের সকল বিষয়ে দেখভাল করে আমরা ভোক্তাদের পাশে থাকবো। কয়লার দাম বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়ে কয়লার দামের বিষয়ে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের পরিচালক এর কাছে জানতে চাইলে ,নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইট শিল্প মালিকদের বক্তব্য,দেশে তরমুজের বাজার দর বেশি হওয়ায় মোবাইল কোড বসে,কিন্তু কয়লার দাম আকাশছোঁয়া হলেও কোনো রকম ভ্রুক্ষেপ নেই দেশের সচেতন মহলের,অপরদিকে এই শিল্প কারখানা থেকে বিভিন্ন দুস্থ স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা মন্দির সহ অগনিত ধর্ম প্রতিষ্ঠানে অনুদান দিয়ে থাকেন,রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সংযুক্ত হয়ে দেশের সকলদেশের জাতীয় প্রোগ্রামে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে অংশগ্রহণ করেন,কন্যাদায়গ্রস্ত এতিম শিশু-সভা-সমাবেশ সকল জায়গায় ইট শিল্প মালীকদের অবদানের অন্ত নেই,অপরদিকে এত কিছু থাকতেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রশাসনে,বিভিন্ন অনিয়ম দেখিয়ে করে যান লক্ষ লক্ষ টাকা জরিমানা,ভ্যাট ট্যাক্স নিতে ভুল করেন না রাজস্ব বোর্ড,ভ্যাট ট্যাক্স এর টাকা আদায় করতে বিন্দু মাত্র সময় লাগেনা, বিক্রি হওয়া ইটের ট্রাক আটকিয়ে মুহুর্তে আদায় করা হয় ভ্যাটের টাকা,এমনিভাবে কয়লার দাম আকাশছোঁয়া ভাবে চলতে থাকলে,চলতি বছরের শেষের দিকে প্রায় 90% ইটভাটা মালিকদের মানবেতর জীবন-যাপন করতে হবে রাস্তায় বসে,ব্যবসায়ে লোকসানের ও একটা সীমা থাকে,ইট তৈরীর তুলনায় বিক্রয়ের মূল্য একেবারেই কম,মাঝেমধ্যে বৈরী আবহাওয়ায় ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে,সব মিলিয়ে এবার ভাটা প্রতি এক কোটি টাকার ও বেশি লোকসান আতঙ্কে দিন কাটছে ভাটা মালীকদের,তারা পাচ্ছেনা ব্যাংকিং ধরনের কোনো সহযোগিতা,কোন কোন ভাটা মালিক নিজের পৈত্রিক জমি বিক্রয় করে অথবা চড়া সুদে টাকা উত্তলন করে ভাটায় বিনিয়োগ করে নিশ্ব হতে চলেছে,তবে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলো অবৈধ উচ্ছেদ চান প্রকৃত ব্যবসায়ীরা,স্ত্রী পরিবার-পরিজন নিয়ে বাঁচতে মানবেতর জীবনযাপন থেকে রক্ষা পেতে,ইট শিল্পের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করতে,সরকারের প্রতি অনুরোধ করেন প্রত্যেকটা ইট ভাটা মালিকরা।
Leave a Reply