আশুলিয়ায় প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করাকালে ১০ জন চাঁদাবাজ’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
- আপডেট টাইম : ০৯:৪১:০৫ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১
- / ২৪৪ ৫০০০.০ বার পাঠক
মোঃ আকরাম হোসেন।।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন,র্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছেন। খুন, ডাকাতি, রাহাজানি দস্যুতা, ধর্ষণ,অপহরণ,অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং জঙ্গীবাদের মত ঘৃণ্যতম অপরাধ নির্মূলের পাশাপাশি চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে,কঠোর ভুমিকা রেখে গ্রেফতার করছেন চাঁদাবাজির মুল হোতা সহ সন্ত্রাসীদের,কিছুদিন পূর্বে ২১ শে নভেম্বর দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার চাঁদাবাজির নিউজ প্রকাশ হয়,পরবর্তীতে ২৮ শে নভেম্বর একই পত্রিকায় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফায় নিউজ প্রকাশ হয়,এবং দেশের বহুল আলোচিত পত্রপত্রিকায় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে নিউজ সম্প্রচার করা হয়,উক্ত চাঁদাবাজেরা নিজেদের দোষ ধামা চাপা দিতে নিউজের প্রতিবেদকদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজ আক্ষাদিয়ে মানববন্ধন এর পরিকল্পনা করেন,সকল বিষয়ে পরিপূর্ণ তদন্ত পর্যবক্ষন করে বাংলাদেশ র্য্যাব বাহিনী অনিয়ম দুর্নীতির রাজা শ্রেষ্ট চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের কাজ করে আসছেন, এ ধরণের চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশ র্যাব বাহিনী সদা সর্বদা সচেষ্ট।এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৯/১২/২০২১ তারিখ বেলা ১৮.৩০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকা আশুলিয়া থানাধীন নবীনগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন,এবং প্রকাশ্য চাঁদাবাজী করা কালে চাঁদাবাজীর নগদ ৪,২৩০/-টাকা ও ০৮ টি মোবাইল সহ নিম্নোক্ত ১০ জন চাঁদাবাজ’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হন গ্রেফতার কৃত চাঁদাবাজরা হলেন
১। মোঃ মাসুদ রানা (৪০), জেলা- কিশোরগঞ্জ।
২। ইকবাল হোসেন রতন (৪২), জেলা-ময়মনসিংহ।
৩। মোঃ বিপ্লব (৩০), জেলা-ঢাকা।
৪। মোঃ পান্নু হাওলদার (৩৪), জেলা-যশোর।
৫। মোঃ জাহাঙ্গীর (৪৮), জেলা-ঢাকা।
৬। মোঃ আনোয়ার শেখ (৪২), জেলা-ঢাকা।
৭। মোঃ আলম মোল্লা (৩৭), জেলা-রংপুর।
৮। মোঃ আব্দুল্লাহ আল হেলাল (২০), জেলা-ফরিদপুর।
৯। মোঃ শাহাদত হোসেন (৩০), জেলা-ঢাকা।
১০। মোঃ সঞ্চয় (৩০), জেলা-ঢাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা জানায় যে, তারা উক্ত এলাকার পেশাদার চাঁদাবাজ।ধৃত আসামী সহ পলাতক অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জন আসামী পরষ্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবত উক্ত ঘটনাস্থলে বিভিন্ন দোকান হতে ১০০/২০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছিল।কেউ চাঁদার টাকা দিতে না চাইলে তারা তাকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি সহ প্রাণনাশের হুমকি ও উক্ত স্থান হতে দোকান উঠিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে জোরপূর্বক চাঁদার টাকা আদায় করে আসছিল মর্মে ধৃত আসামীরা স্বীকার করে।গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।অদূর ভবিষ্যতে এইরুপ সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানাযায়।