টানা বৃষ্টিতে যানজট, ভোগান্তিতে নগরবাসী
- আপডেট টাইম : ০৭:৩৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১
- / ২৮১ ৫০০০.০ বার পাঠক
সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।
প্রকৃতিতে শীত আসন্ন। এই সময়ে সাধারণত বৃষ্টি হয় না। অসময়ে এই বৃষ্টি ভোগাচ্ছে মানুষকে। সোমবার সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। বিশেষ করে অফিস ও স্কুলগামীরা।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টানা বৃষ্টি হওয়ায় সড়কে পানি জমে আছে। গাড়ির সংখ্যাও কম। এ কারণে অফিসগামীরা ঘণ্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়ির দেখা পানি। অনেকক্ষণ পরপর গাড়ি এলেও তাতে উপচেপড়া ভিড়, উঠার কোনো জো নেই। আবার সড়কে পানি জমে থাকায় প্রচন্ড যানজট। গাড়ি যেন এগোচ্ছেই না।
সকাল সাড়ে ৮ টায় রাজধানীর আবদুল্লাহপুরে দেখা গেছে, বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন কয়েকশ’ মানুষ। অনেকক্ষণ পর পর এক দুইটা বাস আসছে। তাতে ওঠার জন্য রীতিরত সংগ্রাম করছেন অফিসগামীরা।
রাতুল নামে এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী জানান, আধা ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। বাড্ডাগামী কোনো বাস পাচ্ছেন না। এখন সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাড়তি খরচে অফিস যেতে হবে।
উত্তরা আজমপুরে নুসরাত নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী জানান, বৃষ্টিতে জামাকাপড় ভিজে গেছে। আবার সড়কে যানজট। সঠিক সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌছতে পারব কিনা বুঝতে পারছি না।
ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের বিমানবন্দর এলাকায় দেখা গেছে, সড়কের দুদিকেই তীব্র যানজট। বাসের সংখ্যা কম থাকলেও সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি-সিএনজি অটোরিকশা বেশি। রাজিয়ান নামে এক গণমাধ্যমকর্মী জানান, আজমপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত বাসে আসতে সময় লেগেছে ৩০ মিনিট।
রাজধানীর বনানী, ফার্মগেট, শাহবাগ, গুলিস্তান, গ্রিন রোড, ধানমন্ডি, বাড্ডা, রামপুরা, হাতিরঝিল, নাবিস্কোসহ বিভিন্ন রাস্তায় প্রায় একই চিত্রের খবর পাওয়া গেছে। এ কারণে স্কুলে ও কর্মস্থলে যেতে রাজধানীবাসীকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর ও উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে আজ সোমবার বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে দেশের বেশির ভাগ এলাকার আকাশ আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে পরিষ্কার হতে থাকবে। ফলে তাপমাত্রা কমে বাড়তে পারে শীতের অনুভূতি।