বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান চট্টগ্রাম।।
গতকাল এ বিষয়ে চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ফেইসবুক পেইজের পোস্টের কমেন্ট সেকশনে সম্মানিত জনগণ নানা বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। উত্থাপিত এ সকল বিষয়াদি সংক্রান্তে আমাদের মন্তব্য ফ্রিকোয়েন্টলি আসকড কোয়েশ্চেন্স হিসেবে নিম্নে উপস্থাপন করা হলোঃ
১। নুসরাত জাহানের মন্তব্যঃ আজকে কোনো বাসে স্টিকার লাগানো দেখলাম না, সব উঠিয়ে ফেলছে।
জবাবঃ- ডিজেল চালিত স্টিকার নিয়ে কোন সমস্যা হচ্ছেনা। “সিএনজি চালিত মোটরযান” লেখা স্টিকার কোন কোন পরিবহন খুলে ফেলছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলা হয়েছে। সিএনজি পাম্প/স্টেশন গুলিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যাতে স্টিকার ছাড়া কোন গাড়িতে গ্যাস সরবরাহ করা না হয়। এছাড়াও কোন বাসের বিরুদ্ধে স্টিকার উঠানোর সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ তাৎক্ষনিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
২। ইসতিয়াক জাহাঙ্গীরের মন্তব্যঃ- স্যার,আপনারাও ইঙ্গিতে বলতে চাচ্ছেন, চার্ট অনুযায়ী ভাড়া দিতে। তা ভাড়া তো ৩৪% বেড়েছে। তাহলে ইপিজেড থেকে ৯ টাকার ভাড়া এখন কতো দাঁড়ায়। ঠিক আছে, তাও দেব। কিন্তু ব্লুবুকে উল্লেখিত যাত্রীর বেশি নিলে আমি যদি বাড়তি ভাড়া না দেই, তাতে কি আইন লঙ্ঘন হবে স্যার। আপনার সুচিন্তিত মতামত আশা করছি।
এবং একই সঙ্গে, গৃহীত টাকার বিপরীতে টিকেট কেন দেওয়া হয় না, তার প্রতিকারও চাই।
জবাবঃ- সরকারী প্রজ্ঞাপন অনযায়ী বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত চার্ট অনুযায়ী ভাড়া দিতে হবে। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় কিংবা অন্য যে কোন অভিযোগের ক্ষেত্রে আমরা সব সময়ই সম্মানিত যাত্রী সাধারণকে অনুরোধ করছি, গাড়ীতে চলাচল অবস্থায় ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশ কিংবা টোল ফ্রি নম্বর ৯৯৯ বা সিএমপি কন্ট্রোল রুম নাম্বার 630352/639022/630375 এ অভিযোগ জানালে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়। অন্যথায় ভিন্নতর সময়ে অভিযুক্ত গাড়ীর নাম্বার ছাড়া কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় না। তথাপি অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে সিএমপি ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
৩। তারেক নিজামের মন্তব্যঃ- ধন্যবাদ আপনাদের মহৎ উদ্যোগগুলোকে। আপনারাই পারবেন সাধারণ যাত্রীদের হয়রানি থেকে বাঁচাতে। আপনাদের জরুরি এবং কন্ট্রোল নং খুবই সময় উপযোগী। তারপরও যাত্রীরা ড্রাইভারের সাথে কথাকাটি/ বাড়াবাড়ি করতে ভয় পায়। কারন ড্রাইভার বা হেলপারদের আচরণ সম্পর্কে আমাদের সবার জানা আছে। আপনাদের যেহেতু প্রত্যেকটা রাস্তার মোড়গুলোতে পর্যাপ্ত পরিমান ট্রাফিক/সার্জন/কর্মকর্তা থাকে, আপনারা চাইলে নিজেরা আরো একটু যাচাই করতে পারেন ভাড়ার লিষ্ট টা আছে কিনা, যাত্রীরা স্বাভাবিক ভাড়ায় যেতে পারতেছেনা কিনা।
নতুন ব্রীজ থেকে জমিয়তুল ফালাহ পর্যন্ত তিন চাকার থ্রী হুইলারগুলো বহদ্দারহাট/মুরাদপুর/২ নং গেইট আবার কিছু জিইসি পর্যন্ত যায়। তাদের গাড়িতে আজ পর্যন্ত কখনো ভাড়ার লিষ্ট দেখি নাই। ভাড়া সরকার নির্ধারিত এর চেয়ে ১০০% থেকে ২০০% পর্যন্ত বেশি আদায় করতেছে। আপনারা ব্যবস্থা নিয় আমাদের হয়রানি থেকে বাঁচান।
জবাবঃ- থ্রি হুইলার গাড়ীর কোন ভাড়ার চার্ট বিআরটিএ হতে পাওয়া যায়নি। সিএনজি চালিত থ্রি হুইলার গাড়ীতে পূর্বের ভাড়া প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হল।
৪। ডিউক ভাই এর মন্তব্যঃ-আগ্রাবাদ এলাকায় কবে নজর দিবেন? সন্ধ্যায় হকারের যন্ত্রনায় রাস্তায় হাঁটা যায়না। আগ্রাবাদ মোড় থেকে শুরু করে লাকী প্লাজার শেষ মাথা পর্যন্ত হকার, রিকশা, সি এন জি, মোটর সাইকেল দাড়িয়ে থাকে যা অবৈধ পার্কিং। এসবের জন্য রাস্তায় হাঁটা যায়না। পুরো রাস্তা স্থির গাড়ি, হকার এসবের জন্য জ্যাম হয়ে থাকে। এদিকে দয়া করে নজর দিন।
জবাবঃ- মূল সড়কের উপর যে সকল ভাসমান হকার দোকান বসানোর চেষ্টা করে ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে তাদেরকে উঢ্ছেদ করা হয় অর্থাৎ গাড়ি চলাচলের রাস্তায় তাদের দোকান সমূহ বসতে দেয়া হয়না। তবে ফুটপাতে ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে অফ পিক আওয়ারে মাঝে মাঝে এই সকল দোকানসমূহ অপসারণ করা হয়। বিষয়টি ডিসি ,অপরাধ পশ্চিমকে অবহিত করা হয়েছে। আশাকরি অতি শীঘ্রই দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখতে পারেন। ধন্যবাদ।
৫। সুব্রত সরকারের মন্তব্যঃ- ৩ নাম্বার রুটে যা তা অবস্তা। যেন দেখার কেউ নেই। মার্কেট থেকে ভার্সিটি পর্যন্ত যাওয়ার নিয়ম থাকলেও তারা ইচ্ছা মত রুট পরিবর্তন করে। বেশির ভাগ গাড়ি অক্সিজেন না হয় মুরাদপুর নামিয়ে দিবে।তারপর আবার মার্কেট যাবে। মানে জনগনের ডাবল ভাড়া যাচ্ছে। আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
জবাবঃ- ৩নং রুটের বাসের ভিতর ও বাহিরে সিএনজি চালিত ও ভাড়ার চার্ট লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। রুট সম্পূর্ন না করা ও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার জন্য ট্রাফিক পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ফলে গত ১৬/১১/২০২১খ্রিঃ থেকে ১৭/১১/২০২১খ্রিঃ পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধে মোট ১৫টি মামলা এবং ৯টি গাড়ী আটক করা হয়। এছাড়াও সমিতি, চালক, সহকারী সবার সাথে আলোচনা হয়েছে। আশা করি, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
৬। জাহাঙ্গীর হোসেনের মন্তব্যঃ- বন্দরটিলা থেকে জিইসির বাস ভাড়া পূর্বে ছিল ১০ টাকা। সরকার বাসভাড়া বাড়িয়েছে সর্বোচ্চ ২৭%। সে হিসেবে বর্তমান ভাড়া ১৩ টাকা হওয়া উচিত। কিন্তু আজ ১০ নং রুটে আমার কাছে বন্দরটিলা থেকে ওয়াসা পর্যন্ত ২০ টাকা দাবী করল। প্রতিবাদ করায় বাসের কন্ডাক্টর বললো, “আরা তো ন বাড়াই, সরকার বাড়াইয়েদ্দে যে।” এই বলে সে একটা বিআরটিএ’র কর্তা ব্যক্তিদের স্বাক্ষর করা একটি ভাড়ার চার্ট দেখতে দিলেন। লক্ষ্য করে দেখি কন্ডাক্টর ভুল কিছু বলেননি, বন্দরটিলা থেকে জিইসি’র ভাড়া ১৯ টাকা, ওয়াসায় কোন স্ট্যান্ড নেই, তার মানে পরবর্তি স্ট্যান্ড এর ভাড়াই প্রদেয়। অগত্যা ২০ টাকাই দিতে হলো। বাসের কন্ডাক্টর বাস ভাড়ার সমীকরণ মিলিয়ে দিতে পারলেও আমি কিন্তু একটা সমীকরণ মিলাতে পারছি না। তাহলো সরকার কর্তৃক ৩০% বাস ভাড়া বৃদ্ধির কাগুজে ঘোষণাটা বাস্তবে ১০০% কিভাবে হলো সেই মোজেজাটা বুঝতে পারলাম না। শুভকংরের ফাঁকি কি একেই বলে।
জবাবঃ- সরকারী প্রজ্ঞাপন অনযায়ী বিআরটিএ কর্তৃক