ঢাকা ১১:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

খাগড়াছড়িতে এক দল হনুমানের হানায় শিশু সহ আহত ১০ জন

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০১:১০:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১
  • / ২২০ ১৫০.০০০ বার পাঠক
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ-
খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারায় এক দল হনুমানের অত্যাচারে গত দুই সপ্তাহ ধরে অতিষ্ঠ মেম্বার পাড়া,দার্জিলিংপাড়া ও ডাক্তারটিলার বাসিন্দারা। সুযোগ পেলেই বাড়িতে ঢু্কে ছোট বাচ্চাদের কোলে করে নিয়ে গাছে উঠে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে । বাধা পেলে দাঁত খিঁচিয়ে তেড়ে আসছে বা ঝাঁপিয়ে পরছে গায়ের ওপর। ইতিমধ্যেই ৮জন শিশু ও ৪জন মহিলাকে কামড় দিয়েছে এই হনুমান। বাধ্য হয়ে দিনরাত দরজা জানলা বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।গত দুই সপ্তাহ ধরে এরকমই অবস্থা মেম্বার পাড়া, ডাক্তারটিলাও দার্জিলিং টিলা এলাকায় ।

মেম্বার পাড়া এলাকায় প্রায় ৫০টি বাড়ি আছে। সব বাড়িতেই হানা দিচ্ছে বানর। সাধারনত এই ধরনের হনুমান এই এলাকায় দেখা যায় না। এলাকায় বানর দেখা যায়। তারা দলে আসে কখনো কারো বাড়ির ভিতর ঢোকে না। কিন্তু এই হনুমান একাই দাপিয়ে বেরাচ্ছে। দরজা জানলা খোলা পেলে যখন তখন ঢুকে পরছে বাড়িতে। ঘরের খাবার সাবার করছে।যে খাবার পছন্দ হচ্ছে না তা ফেলে ছরিয়ে নষ্ট করছে।অতিষ্ঠ পাড়ার বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে বন দপ্তরের সহযোগিতা কামনা করছেন।
জানা গেছে, ৯ নবেম্বর মেম্বার পাড়ার  গৃহবধু নাদিয়া তার ৩বছরের মেয়ে আরিয়ান ছাপাকে গোসল করাছিলো হঠাৎ  হনুমানের  আক্রমণের শিকার হয়ে মারাত্মক আহত হন ছাপা। পরে এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে বিজিবি হসপিটালে ভর্তি করেন। একই এলাকার মোঃ মোশারফ হোসেন এর চার মাসের ছেলেকে একা পেয়ে কোলে করে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে হনুমান এলাকাবাসী কারণে বড় কোনো দূর্ঘটনা ঘটেনি তবে তার গলা ও হাতে কামড় দিয়ে আহত করে। এছাড়াও একই পরিবারের ৫ জন ডাক্তারটিলা এলাকার ৪জন সহ অনেকেই হনুমানের আক্রমণের শিকার হন।বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের জালিয়াপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, যে কোন বন্যপ্রানী ও বন্য হনুমান তাড়ানোর প্রয়োজনীয় সরকারী সাপোর্ট তাদেরকে সরবরাহ করা হয়নি। এরপরও তিনি এলাকায় যাবেন। সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন হনুমানের যেনো কোনো ক্ষতি না করা হয়।
আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

খাগড়াছড়িতে এক দল হনুমানের হানায় শিশু সহ আহত ১০ জন

আপডেট টাইম : ০১:১০:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ-
খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারায় এক দল হনুমানের অত্যাচারে গত দুই সপ্তাহ ধরে অতিষ্ঠ মেম্বার পাড়া,দার্জিলিংপাড়া ও ডাক্তারটিলার বাসিন্দারা। সুযোগ পেলেই বাড়িতে ঢু্কে ছোট বাচ্চাদের কোলে করে নিয়ে গাছে উঠে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে । বাধা পেলে দাঁত খিঁচিয়ে তেড়ে আসছে বা ঝাঁপিয়ে পরছে গায়ের ওপর। ইতিমধ্যেই ৮জন শিশু ও ৪জন মহিলাকে কামড় দিয়েছে এই হনুমান। বাধ্য হয়ে দিনরাত দরজা জানলা বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।গত দুই সপ্তাহ ধরে এরকমই অবস্থা মেম্বার পাড়া, ডাক্তারটিলাও দার্জিলিং টিলা এলাকায় ।

মেম্বার পাড়া এলাকায় প্রায় ৫০টি বাড়ি আছে। সব বাড়িতেই হানা দিচ্ছে বানর। সাধারনত এই ধরনের হনুমান এই এলাকায় দেখা যায় না। এলাকায় বানর দেখা যায়। তারা দলে আসে কখনো কারো বাড়ির ভিতর ঢোকে না। কিন্তু এই হনুমান একাই দাপিয়ে বেরাচ্ছে। দরজা জানলা খোলা পেলে যখন তখন ঢুকে পরছে বাড়িতে। ঘরের খাবার সাবার করছে।যে খাবার পছন্দ হচ্ছে না তা ফেলে ছরিয়ে নষ্ট করছে।অতিষ্ঠ পাড়ার বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে বন দপ্তরের সহযোগিতা কামনা করছেন।
জানা গেছে, ৯ নবেম্বর মেম্বার পাড়ার  গৃহবধু নাদিয়া তার ৩বছরের মেয়ে আরিয়ান ছাপাকে গোসল করাছিলো হঠাৎ  হনুমানের  আক্রমণের শিকার হয়ে মারাত্মক আহত হন ছাপা। পরে এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে বিজিবি হসপিটালে ভর্তি করেন। একই এলাকার মোঃ মোশারফ হোসেন এর চার মাসের ছেলেকে একা পেয়ে কোলে করে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে হনুমান এলাকাবাসী কারণে বড় কোনো দূর্ঘটনা ঘটেনি তবে তার গলা ও হাতে কামড় দিয়ে আহত করে। এছাড়াও একই পরিবারের ৫ জন ডাক্তারটিলা এলাকার ৪জন সহ অনেকেই হনুমানের আক্রমণের শিকার হন।বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের জালিয়াপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, যে কোন বন্যপ্রানী ও বন্য হনুমান তাড়ানোর প্রয়োজনীয় সরকারী সাপোর্ট তাদেরকে সরবরাহ করা হয়নি। এরপরও তিনি এলাকায় যাবেন। সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন হনুমানের যেনো কোনো ক্ষতি না করা হয়।