ঢাকা ০৬:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
মোংলায় জামায়াতের উদ্যোগে এক বিশাল ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কোস্টগার্ডের অভিযানে ২৮ কেজি হরিণের মাংস সহ আটক ১ খুলনা বিএনপি নেতা নিজ ভাবীকে ধর্ষণ চেষ্টায় আদালতে মামলা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে পাশে থাকবে জাতিসংঘ: গুতেরেস শত্রুর যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত ইরান ৯ মিনিটেই শেষ ট্রেনের টিকিট, আধাঘণ্টায় ২০ লাখ হিট জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখতে সারা দেশের ন্যায় আজমিরীগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত  গাজীপুর জেলার রিপোর্টার্স ইউনিটি এক বিশাল ইফতার ও মাহফিলের আয়োজন ধর্ষণ, নিপীড়ণ ও নারী সহিংসতায় জড়িতদের শাস্তির দাবীতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন দ্রুত সংস্কার করে, অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিন: কৃষিবিদ শামীমুর রহমান

টাঙ্গাইলের এলেঙ্গাতে প্রেমিকাকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করে মনির।

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪০:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১
  • / ৩৪২ ৫০০০.০ বার পাঠক

টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ-রাইছুল ইসলাম

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সুমাইয়া আক্তার (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে র‌্যাব।

স্কুলছাত্রী সুমাইয়াকে হত্যার পর প্রেমিক মনির আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ওই স্কুলছাত্রীর পাশেই রক্তাক্ত অবস্থায় মনির পড়ে থাকায় বিষয়টি অন্যদিকে মোড় নেয়। দিন শেষে টাঙ্গাইলের র‌্যাব সদস্যরা বিষয়টির রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হন।

এ ঘটনায় আহত মনির মিয়ার (১৭) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে র‌্যাব হেফাজতে চিকিৎসা চলছে। সুস্থ হলে তাকে আদালতে তোলা হবে।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) রাতে টাঙ্গাইলের র‌্যাব-১২ সিপিসি-৩-এর কোম্পানি কমান্ডার লে. আব্দুল্লাহ আল মামুন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সকাল পৌনে ৭টার দিকে উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার শামসুল হক কলেজের সামনের একটি ভবন থেকে সুমাইয়ার গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

অভিযুক্ত প্রেমিক বাস হেলপার মনির উপজেলার মশাজান গ্রামের মেহের আলীর ছেলে। নিহত সুমাইয়া আক্তার উপজেলার পালিমা গ্রামের ফেরদৌসের মেয়ে। সে এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তারা এলেঙ্গা কলেজ মোড় এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল।

র‌্যাব কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘স্কুলছাত্রী সুমাইয়ার সঙ্গে মনিরের দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। গত দুই মাস আগে সুমাইয়া মনিরকে বাদ দিয়ে অন্য এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি মনির সহ্য করতে পারছিল না। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে মনির সুমাইয়াকে মারধর করে। কোচিংয়ে যাওয়ার সময় সুমাইয়াকে একটি ভবনের নিচতলায় ডেকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করে মনির।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিহত স্কুলছাত্রীর পাশেই মনির আহত অবস্থায় পড়ে ছিল। বিষয়টি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থল থেকে ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা মনিরের দুটি ভিডিও পেয়েছি। ছুরিটি স্পেশাল, ওটি চাপ দিলেই দুই দিক থেকে দুটি ছুরি বের হয়। আমাদের ধারণা ছিল, এই ছুরির মালিকই ঘটনা ঘটিয়েছে। মনিরের আগের ভিডিওতে এই ছুরি দেখা গেছে। গতকাল মনির তার বন্ধুদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসে অস্ত্রের কথা বলেছে। সেখানে বসে মনির ড্রিংকস করেছে। মনির বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’

এদিকে, সুমাইয়ার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। স্বজনদের কান্না আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে পরিবেশ। সুমাইয়ার পরিবার অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

সকালে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক রাজিব পাল চৌধুরী বলেছিলেন, ‘মনিরের গলায়, ঘাড়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরির আঘাত রয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

টাঙ্গাইলের এলেঙ্গাতে প্রেমিকাকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করে মনির।

আপডেট টাইম : ০৬:৪০:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১

টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ-রাইছুল ইসলাম

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সুমাইয়া আক্তার (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে র‌্যাব।

স্কুলছাত্রী সুমাইয়াকে হত্যার পর প্রেমিক মনির আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ওই স্কুলছাত্রীর পাশেই রক্তাক্ত অবস্থায় মনির পড়ে থাকায় বিষয়টি অন্যদিকে মোড় নেয়। দিন শেষে টাঙ্গাইলের র‌্যাব সদস্যরা বিষয়টির রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হন।

এ ঘটনায় আহত মনির মিয়ার (১৭) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে র‌্যাব হেফাজতে চিকিৎসা চলছে। সুস্থ হলে তাকে আদালতে তোলা হবে।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) রাতে টাঙ্গাইলের র‌্যাব-১২ সিপিসি-৩-এর কোম্পানি কমান্ডার লে. আব্দুল্লাহ আল মামুন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সকাল পৌনে ৭টার দিকে উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার শামসুল হক কলেজের সামনের একটি ভবন থেকে সুমাইয়ার গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

অভিযুক্ত প্রেমিক বাস হেলপার মনির উপজেলার মশাজান গ্রামের মেহের আলীর ছেলে। নিহত সুমাইয়া আক্তার উপজেলার পালিমা গ্রামের ফেরদৌসের মেয়ে। সে এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তারা এলেঙ্গা কলেজ মোড় এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল।

র‌্যাব কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘স্কুলছাত্রী সুমাইয়ার সঙ্গে মনিরের দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। গত দুই মাস আগে সুমাইয়া মনিরকে বাদ দিয়ে অন্য এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি মনির সহ্য করতে পারছিল না। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে মনির সুমাইয়াকে মারধর করে। কোচিংয়ে যাওয়ার সময় সুমাইয়াকে একটি ভবনের নিচতলায় ডেকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করে মনির।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিহত স্কুলছাত্রীর পাশেই মনির আহত অবস্থায় পড়ে ছিল। বিষয়টি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থল থেকে ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা মনিরের দুটি ভিডিও পেয়েছি। ছুরিটি স্পেশাল, ওটি চাপ দিলেই দুই দিক থেকে দুটি ছুরি বের হয়। আমাদের ধারণা ছিল, এই ছুরির মালিকই ঘটনা ঘটিয়েছে। মনিরের আগের ভিডিওতে এই ছুরি দেখা গেছে। গতকাল মনির তার বন্ধুদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসে অস্ত্রের কথা বলেছে। সেখানে বসে মনির ড্রিংকস করেছে। মনির বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’

এদিকে, সুমাইয়ার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। স্বজনদের কান্না আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে পরিবেশ। সুমাইয়ার পরিবার অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

সকালে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক রাজিব পাল চৌধুরী বলেছিলেন, ‘মনিরের গলায়, ঘাড়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরির আঘাত রয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।