প্রতারণা করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ
- আপডেট টাইম : ১০:১৩:০০ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২২ অক্টোবর ২০২১
- / ২১০ ৫০০০.০ বার পাঠক
সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রতারণা করে ব্যাংক থেকে এক প্রবাসীর টাকা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী প্রবাসী শহিদুল ইসলামের অভিযোগ, উপজেলার কয়া ইউনিয়নের কয়া গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহিম (৪০) সই জালিয়াতি করে ব্যাংক থেকে তার চার লাখ তুলে নিয়েছেন।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলেন রহিম। সম্প্রতি বাংলাদেশে এসে তার সব টাকা ইসলামী ব্যাংক কালীগঞ্জ শাখায় জমা রাখেন। তিনি চলতি বছরের আগস্ট মাসের ১৫ তারিখে তার অসুস্থ বোনকে চিকিৎসা করাতে খুলনা যান। প্রায় এক মাস পর বাড়িতে আসেন। পরে ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারেন ১৯ আগস্ট ঝিনাইদহের শেখপাড়া উপশাখা থেকে এক লাখ টাকা ও ২৪ আগস্ট কুষ্টিয়া চৌড়হাস উপশাখা থেকে তিন লাখ টাকা তার অ্যাকাউন্ট থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
শহিদুল ইসলাম আরও জানান, বিষয়টি তিনি দুটি উপশাখায় জানান। পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, আব্দুর রহিম নামে একজন তার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করেছেন। কোনো মেসেজ বা ফোন না দিয়ে কীভাবে এত টাকা তারা দিয়েছেন, এমন প্রশ্নের কোনো সঠিক জবাব তারা দেননি বলে জানান এ প্রবাসী।
এ বিষয়ে ইসলামী ব্যাংকের ঝিনাইদহের শেখপাড়া উপশাখার প্রিন্সিপাল অফিসার অ্যান্ড ইনচার্জ মো. মোস্তাক আহমেদ বলেন, আব্দুর রহিম ১ লাখ টাকার চেক জমা দিলে আমরা শহিদুল ইসলামের মোবাইল নম্বরে ফোন দিই। কিন্তু তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আব্দুর রহিম শহিদুল ইসলামের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলিয়ে দিলে টাকা দেওয়া হয়।
অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের সঙ্গে কথা না বলে টাকা দেওয়ার নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভুল হয়েছে, এটি ঠিক হয়নি।
কুষ্টিয়ার চৌড়হাস উপশাখার প্রিন্সিপাল অফিসার অ্যান্ড ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান জানান, লোকবল কম থাকার কারণে এতবড় ত্রুটি হয়ে গেছে। আব্দুর রহিমকে পরে ব্যাংকে হাজির করে তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে। আব্দুর রহিম অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে টাকা ফেরত না দিলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে আব্দুর রহিম বলেন, শহিদুল ইসলামের ছেলে তার দোকানের কর্মচারী ছিল। শহিদুল ইসলামের ছেলের ন্যাশনাল আইডি কার্ড না থাকায় তার আইডি কার্ড দিয়ে টাকা উত্তোলন করে তার ছেলেকে সব টাকা দিয়েছেন।
তবে শহিদুল ইসলামের ছেলে সোহান জানান, আব্দুর রহিমের দোকানে তিনি কাজ করেছেন। আব্দুর রহিম তার বাবা বাড়িতে নেই শুনে চেকবই আনতে বলেন। চেকবই এনে আব্দুর রহিমের কাছে দেওয়ার পর কী হয়েছে তার জানা নেই। পরে তিনি জানতে পারেন আব্দুর রহিম তার বাবার অ্যাকাউন্ট থেকে ৪ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন।