ঢাকা ০৮:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের হস্তক্ষেপে মামলা প্রত্যাহার হওয়া টাঙ্গাইলবাসী খুশি! সভাপতি/সম্পাদকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অনিয়মের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান সিইসির পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের নতুন পোশাক চুড়ান্ত নাইজেরিয়ায় ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৮৬ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর চার প্রদেশে দেশ ভাগ করার কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন যুদ্ধবিরতি এখনই কার্যকর হচ্ছে না, জানালেন নেতানিয়াহু সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

কলেজছাত্রকে অপহরণ করে নিয়ে বিয়ে!

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০২:৫৭:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
  • / ২৬৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

পটুয়াখালী সরকারি কলেজের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র নাজমুল আকনকে (২৩) অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় গত ৩ অক্টোবর নাজমুল বাদী হয়ে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক আমিরুল ইসলামের আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ইশরাত জাহান পাখি (২৫) নামে এক তরুণীসহ আরও অজ্ঞাত ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পটুয়াখালী সদর থানাকে এজাহার নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে নাজমুলকে জোরপূর্বক বিয়ে করার একটি ভিডিও চিত্র আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। আর মামলা দায়েরের পর ১৫ অক্টোবর দুপুরে ওই তরুণী নিজেকে নাজমুলের স্ত্রী দাবী করে নাজমুলের বাবার বাড়ি মির্জাগঞ্জে অবস্থান করছেন। এ ঘটনায় পুরো মির্জাগঞ্জ এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

নাজমুল মির্জাগঞ্জ উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের জালাল আকনের ছেলে। ইশরাত জাহান পাখি একই উপজেলার গাজিপুর এলাকার মো. আউয়ালের মেয়ে।

নাজমুলের আইনজীবী আল নোমান জানান, তার মক্কেল নাজমুল পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের নিয়মিত ছাত্র এবং তিনি সরকারি কলেজের আবাসিক হোস্টেলে থাকেন। ইশরাত জাহান পাখি দীর্ঘদিন যাবত নাজমুলকে মোবাইল ফোনে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিয়ের প্রলোভন দেখায়।

তিনি জানান, এতে নাজমুল রাজি না হওয়ায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী লঞ্চঘাট এলাকা থেকে নাজমুলকে চোখ বেঁধে অপহরণ করে ২৮ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে সাত আটজন ব্যক্তি বলপূর্বক তাকে একটি নিল কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। ধারনা করা হচ্ছে এ দিয়ে তারা একটি কাবিন নামা তৈরির পায়তারা করছেন। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।

এদিকে নাজমুলকে অপহরণ এবং পরে জোরপূর্বক বিয়ে করার একটি ভিডিও ফুটেজ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। যা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়- একটি কক্ষে এক নারী ইশরাত জাহান পাখি, আর বাম পাশে নাজমুল বসে আছে, পেছন থেকে নাজমুলের মাথার দুইদিক থেকে এক ব্যক্তি ধরে রেখেছে। সেখানে আরও কয়েকজনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এ সময় ওই নারীকে নীল কাগজে স্বাক্ষর করতে দেখা গেছে। স্বাক্ষর গ্রহণের পর নাজমুলকে মিষ্টি খাইয়ে দিলে নাজমুল তা মুখ থেকে ফেলে দেয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত নারী ইশরাত জাহান পাখি দাবী করেন, নাজমুলের সঙ্গে তার দীর্ঘ দুই বছর প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং নাজমুল নিজ ইচ্ছায় বিয়ে করেছেন। এখানে অপহরণ কিংবা জোরপূর্বক বিয়ে করার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ কারণে বর্তমানে তিনি নাজমুলের বাড়িতে অবস্থান করছেন।

পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, আদালতের নির্দেশে মামলা এজাহার করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কলেজছাত্রকে অপহরণ করে নিয়ে বিয়ে!

আপডেট টাইম : ০২:৫৭:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

পটুয়াখালী সরকারি কলেজের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র নাজমুল আকনকে (২৩) অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় গত ৩ অক্টোবর নাজমুল বাদী হয়ে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক আমিরুল ইসলামের আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ইশরাত জাহান পাখি (২৫) নামে এক তরুণীসহ আরও অজ্ঞাত ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পটুয়াখালী সদর থানাকে এজাহার নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে নাজমুলকে জোরপূর্বক বিয়ে করার একটি ভিডিও চিত্র আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। আর মামলা দায়েরের পর ১৫ অক্টোবর দুপুরে ওই তরুণী নিজেকে নাজমুলের স্ত্রী দাবী করে নাজমুলের বাবার বাড়ি মির্জাগঞ্জে অবস্থান করছেন। এ ঘটনায় পুরো মির্জাগঞ্জ এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

নাজমুল মির্জাগঞ্জ উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের জালাল আকনের ছেলে। ইশরাত জাহান পাখি একই উপজেলার গাজিপুর এলাকার মো. আউয়ালের মেয়ে।

নাজমুলের আইনজীবী আল নোমান জানান, তার মক্কেল নাজমুল পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের নিয়মিত ছাত্র এবং তিনি সরকারি কলেজের আবাসিক হোস্টেলে থাকেন। ইশরাত জাহান পাখি দীর্ঘদিন যাবত নাজমুলকে মোবাইল ফোনে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিয়ের প্রলোভন দেখায়।

তিনি জানান, এতে নাজমুল রাজি না হওয়ায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী লঞ্চঘাট এলাকা থেকে নাজমুলকে চোখ বেঁধে অপহরণ করে ২৮ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে সাত আটজন ব্যক্তি বলপূর্বক তাকে একটি নিল কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। ধারনা করা হচ্ছে এ দিয়ে তারা একটি কাবিন নামা তৈরির পায়তারা করছেন। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।

এদিকে নাজমুলকে অপহরণ এবং পরে জোরপূর্বক বিয়ে করার একটি ভিডিও ফুটেজ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। যা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়- একটি কক্ষে এক নারী ইশরাত জাহান পাখি, আর বাম পাশে নাজমুল বসে আছে, পেছন থেকে নাজমুলের মাথার দুইদিক থেকে এক ব্যক্তি ধরে রেখেছে। সেখানে আরও কয়েকজনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এ সময় ওই নারীকে নীল কাগজে স্বাক্ষর করতে দেখা গেছে। স্বাক্ষর গ্রহণের পর নাজমুলকে মিষ্টি খাইয়ে দিলে নাজমুল তা মুখ থেকে ফেলে দেয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত নারী ইশরাত জাহান পাখি দাবী করেন, নাজমুলের সঙ্গে তার দীর্ঘ দুই বছর প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং নাজমুল নিজ ইচ্ছায় বিয়ে করেছেন। এখানে অপহরণ কিংবা জোরপূর্বক বিয়ে করার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ কারণে বর্তমানে তিনি নাজমুলের বাড়িতে অবস্থান করছেন।

পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, আদালতের নির্দেশে মামলা এজাহার করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।