ঢাকা ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ময়মনসিংহ-গাজীপুর আরপিসিএল এর জমি অধিগ্রহণে শত কোটি টাকা লোপাট হওয়ার পথে, নেপত্বে জালাল ও ফারুক মাষ্টার ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা এবার শাহবাগে সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে রকেট হামলার পরদিন সহিংসতায় নিহত ৫ শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকার ভালোভাবে নেয়নি ভারত আজমিরীগঞ্জে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক গাছ কাটার অভিযোগ  নান্দাইলে সরকারী জায়গা দখল করে দোকানপাট নিমার্ণ করলেন আ’লীগ নেতা নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা, খোঁজখবর নিলেন আহতদের রাষ্ট্র কখন সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে পারে প্রশ্ন গণভবনে তিন উপদেষ্টা, যা জানালেন তারা বিটিসিএল এর নাম ব্যবহার করে অবৈধ ভাবে ব্যবসা করছে

মুসা বিন শমসেরের মুখোমুখি হতে পারেন ভুয়া সচিব কাদের মাঝি

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১১:২৪:৩৭ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১
  • / ২২৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

আলোচিত ধনকুবের মুসা বিন শমসেরকে (প্রিন্স মুসা) জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সচিব পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে তিন সহযোগীসহ গ্রেফতার আব্দুল কাদেরের সঙ্গে মুসা বিন শমসেরের যোগাযোগ ও লেনদেনের তথ্য পেয়েছিলেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এর সূত্র ধরে তাকে হাজির হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের মাধ্যমে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।

মঙ্গলবার বিকালে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে ঢাকার মিন্টো রোডে গোয়েন্দা কার্যালয়ে যান মুসা বিন শমসের।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার হারুন অর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতারক আব্দুল কাদেরের সঙ্গে মুসা বিন শমসেরের বিভিন্ন ব্যবসায়িক সম্পর্কের চুক্তিপত্রসহ নানান তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে। এ কারণে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র জানায়, প্রতারক কাদের মাঝির মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে মুসা বিন শমসেরকে। প্রতারক এই আবদুল কাদের ধনকুবের মুসা বিন শমসেরের আইন উপদেষ্টা হিসেবে নিজের পরিচয় দিতেন।

গত ৭ অক্টোবর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার প্রতারককে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ।

তারা হলেন, আব্দুল কাদের চৌধুরী, শারমিন চৌধুরী ছোঁয়া, শহিদুল আলম ও আনিসুর রহমান। তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও এক রাউন্ড গুলিসহ একটি ওয়াকিটকি, একটি প্রাডো গাড়ি, অতিরিক্ত সচিবের অফিসিয়াল আইডি কার্ড, ভিজিটিং কার্ডসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতার চার প্রতারকের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্লবী থানায় একটি অস্ত্র মামলা ও তেজগাঁও থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুটি মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দা পুলিশ।

আব্দুল কাদেরের প্রতিষ্ঠানে মুসা বিন শমসেরের সঙ্গে তার একাধিক ছবি টানানো রয়েছে। মুসা বিন শমসরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে টাকা-পয়সা নিয়ে সমস্যা হবে না বলে প্রতারণা করতেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রতারক আব্দুল কাদের চৌধুরীর কাছ থেকে মুসা বিন শমসের ও তার স্ত্রীর সঙ্গে করা কিছু চুক্তিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া মুসা বিন শমসেরের সঙ্গে তার ২০ কোটি টাকা লেনদেনের কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। কীসের ভিত্তিতে এসব লেনদেন করা হয়েছে তা জানতেই মূলত মুসা বিন শমসেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মুসা বিন শমসেরের মুখোমুখি হতে পারেন ভুয়া সচিব কাদের মাঝি

আপডেট টাইম : ১১:২৪:৩৭ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

আলোচিত ধনকুবের মুসা বিন শমসেরকে (প্রিন্স মুসা) জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সচিব পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে তিন সহযোগীসহ গ্রেফতার আব্দুল কাদেরের সঙ্গে মুসা বিন শমসেরের যোগাযোগ ও লেনদেনের তথ্য পেয়েছিলেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এর সূত্র ধরে তাকে হাজির হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের মাধ্যমে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।

মঙ্গলবার বিকালে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে ঢাকার মিন্টো রোডে গোয়েন্দা কার্যালয়ে যান মুসা বিন শমসের।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার হারুন অর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতারক আব্দুল কাদেরের সঙ্গে মুসা বিন শমসেরের বিভিন্ন ব্যবসায়িক সম্পর্কের চুক্তিপত্রসহ নানান তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে। এ কারণে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র জানায়, প্রতারক কাদের মাঝির মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে মুসা বিন শমসেরকে। প্রতারক এই আবদুল কাদের ধনকুবের মুসা বিন শমসেরের আইন উপদেষ্টা হিসেবে নিজের পরিচয় দিতেন।

গত ৭ অক্টোবর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার প্রতারককে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ।

তারা হলেন, আব্দুল কাদের চৌধুরী, শারমিন চৌধুরী ছোঁয়া, শহিদুল আলম ও আনিসুর রহমান। তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও এক রাউন্ড গুলিসহ একটি ওয়াকিটকি, একটি প্রাডো গাড়ি, অতিরিক্ত সচিবের অফিসিয়াল আইডি কার্ড, ভিজিটিং কার্ডসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতার চার প্রতারকের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্লবী থানায় একটি অস্ত্র মামলা ও তেজগাঁও থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুটি মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দা পুলিশ।

আব্দুল কাদেরের প্রতিষ্ঠানে মুসা বিন শমসেরের সঙ্গে তার একাধিক ছবি টানানো রয়েছে। মুসা বিন শমসরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে টাকা-পয়সা নিয়ে সমস্যা হবে না বলে প্রতারণা করতেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রতারক আব্দুল কাদের চৌধুরীর কাছ থেকে মুসা বিন শমসের ও তার স্ত্রীর সঙ্গে করা কিছু চুক্তিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া মুসা বিন শমসেরের সঙ্গে তার ২০ কোটি টাকা লেনদেনের কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। কীসের ভিত্তিতে এসব লেনদেন করা হয়েছে তা জানতেই মূলত মুসা বিন শমসেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।