ঢাকা ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
গরু বহনকারী ভটভটির ধাক্কায় প্রাণ হারালো  দুই যুবক ইবিতে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য থাকছে না কোন পরিবহন সেবা নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকের সঙ্গে ওসির সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৪ মামলার পরোয়ানাভূক্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা কোনাবাড়ি পল্লী বিদ্যুৎ পাওয়ার সাবস্টেশনে আগুন তামাক হচ্ছে মাদকের মূল লক্ষ্য -ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম কিরাটন ইউনিয়নের পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আমাদের মাঝে আর নেই শিবগঞ্জে সানামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন

বিদেশি টেলিভিশন বন্ধ থাকাই কাম্য 

নিজস্ব প্রতিনিধি।।

বেশ কিছু দিন ধরে দেখা যাচ্ছে বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার কার্যক্রম সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে বন্ধ আছে। বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর বাণিজ্যিক সম্প্রচার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে স্বাগত জানাই। বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সমগ্র  বাংলাদেশ জুুুড়ে তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও কোন প্রকার ট্যাক্স কিংবা আয় কর প্রধান করছে না বাংলাদেশ সরকারকে। অন্য দিকে বাংলাদেশ সরকারকে আয় কর এবং ট্যাক্স পরিশোধ করে দেশীয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে চলতে হয়। যার ফলে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো নানা ভাবে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো কাছে। বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালাতে অবশ্যই এ দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলো মত করে  বাংলাদেশ সরকারকে আয় কর এবং ট্যাক্স পরিশোধ করা উচিত। যদি বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বাংলাদেশ সরকারকে আয় কর এবং ট্যাক্স পরিশোধ না করে, তাদের বাণিজ্য কার্যক্রম পরিচালনা করে বাংলাদেশে, তাহলে এ দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সাথে বাংলাদেশ সরকারের বৈরী নীতিমালা প্রণয়ন করেছ বলে মনে করা হবে। যেহেতু বিশ্বের সব দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে; সেহেতু যে দেশে তাদের বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কার্যক্রম চলবে সেই দেশের সরকারকে আয় কর এবং ট্যাক্স পরিশোধ করা উচিত বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
এছাড়া বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তাদের দেশীয় কনটেন্ট দ্বারা পরিচালিত হয়, যার ফলে তাদের সংস্কৃতি আমাদের বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে নানা ভাবে ধ্বংসের সম্মুখে ফেলছে বলে মনে করেন অনেক বিশিষ্টজনে। এভাবে যদি বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তাদের দেশীয় সংস্কৃতি দ্বারা বাংলাদেশে তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করে তাহলে এক সময় গিয়ে আমাদের স্বদেশী সংস্কৃতি বলতে আর কিছু খুঁজে পাওয়া যাবে না। কথায় আছে, দেখে দেখে শিখা। বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দেখে দেখে অনেক বৈদেশিক সংস্কৃতি আমরা আয়ত্ত করে ফেলেছি। এবং সেগুলো দেশীয় সংস্কৃতির সাথে সংমিশ্রণ করে এক ধরনের সংকর জাতীয় সংস্কৃতির জন্য দিচ্ছি আমরা। এভাবে বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসন বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দ্বারা চলতে থাকলে কোন এক সময় গিয়ে আমরা আমাদের স্বদেশীয় সংস্কৃতি সম্পূর্ণরূপে ভুলে যাবো বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন অনেকে। আমরা দেখতে পাই  আমাদের পোশাক পরিচ্ছেদ সংস্কৃতিতে নানা ভাবে প্রভাব ফেলছে বিদেশি সংস্কৃতির পোশাক পরিচ্ছেদ। এছাড়া আমাদের চাল চলন কথা বার্তায় ব্যাপক ভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে বিদেশি সংস্কৃতি। আমাদের দেশে যদি ঐ সকল বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তাদের দেশীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন আমাদের দেশে প্রচার প্রচারণা না করতো তাহলে এত পরিবর্তন হত না আমাদের সংস্কৃতির।
নব্বইয়ের দশকে আমাদের দেশের মায়েরা নানা রকম গল্প শুনাতো তাদের ছেলেমেয়েদের ঘামানোর আগে। এখন আর এ সকল ঘুমপাড়ানি কেচ্ছাকাহিনী সংস্কৃতির চর্চা হয় না আমাদের দেশে। নব্বইয়ের দশকে আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা নানা ধরনের মাটির তৈরী খেলনা সামগ্রী ব্যবহার করে খেলাধুলা করতো। এখন আর তাহা দেখা যায় না। মাটির খেলনার পরিবর্তে বিদেশি সংস্কৃতি খেলনা সামগ্রী আমাদের ছেলেমেয়েদের হাতে চলে এসেছে। যার ফলে এদেশে একশ্রেণীর পেশাজীবি কামার কুমার আর এখন দেখা যায় না। এদেশে এখন আর চলে না এ দেশীয় খেলাধুলা। নব্বইয়ের দশকে এদেশে প্রত্যেক গ্রামে চলতো কাবাডি প্রতিযোগিতা, সন্ধ্যায় গুল্লাছুরুত খেলা, পলানটুকটুক খেলা, লাঠিবাড়ি খেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, বদন খেলা, ষোলোপাতি খেলা, বাঘবর্কী খেলা, রাতে চলতো জারিগান, কেচ্ছা, পুঁথি পাঠ, বিয়ে বাড়িতে দলবদ্ধ হয়ে গীতিগান ইত্যাদি কত কিছুই তো হারিয়ে গেছে আমাদের দেশ থেকে বিদেশি সংস্কৃতি আগ্রাসনে ফলে। এ সকল পরিবর্তনের পিছনে কিন্তু দায়ী বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর কনটেন্ট এবং তাদের বিজ্ঞাপন।
বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা করে এ দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলো চলতে গিয়ে তাদের অনুষ্ঠান কার্যক্রম পরিচালনা করতে না ধরনের পরিবর্তন আনছে। যার ফলে দেশীয় সংস্কৃতির হচ্ছে অপঘাত মৃত্যু। যদি বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো এদেশে চলতে না দেওয়া হয় তাহলে এ দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তাদের দেশীয় সংস্কৃতি দ্বারা পরিচালিত হতে পারবে। যার ফলে বিদেশি সংস্কৃতি আগ্রাসন অনেকটাই কমবে এবং দেশীয় সংস্কৃতি আবার প্রাণ ফিরে পাবে।
অনেকেই বলছে বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বন্ধ থাকলে, মানুষ স্যাটেলাইট টেলিভিশন দেখা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। কেন নিবে প্রশ্ন করা হলে অধিকাংশ ক্যাবল পরিচালনা কর্তৃপক্ষ বলছে, দর্শক তাদের  পছন্দমতো চ্যানেল খুঁজে পাচ্ছেন না বলে। বাস্তবিক পক্ষে কিন্তু তা হবে না। যখন বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো এ দেশীয় দর্শক খুঁজে পাবে না তখন তাঁরা বাধ্য হয়ে দেশীয় সংস্কৃতির টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দেখবে এবং দেশীয় সংস্কৃতির সাথে আবার পরিচিত হবে। এছাড়াও  এ দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তাদের সেবার মান উন্নত করার সুযোগ পাবে।
তাই দেশীয় সংস্কৃতি বাঁচাতে বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বন্ধ রাখা একান্ত কাম্য ।
আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

গরু বহনকারী ভটভটির ধাক্কায় প্রাণ হারালো  দুই যুবক

বিদেশি টেলিভিশন বন্ধ থাকাই কাম্য 

আপডেট টাইম : ০৬:৫১:১৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিনিধি।।

বেশ কিছু দিন ধরে দেখা যাচ্ছে বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার কার্যক্রম সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে বন্ধ আছে। বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর বাণিজ্যিক সম্প্রচার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে স্বাগত জানাই। বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সমগ্র  বাংলাদেশ জুুুড়ে তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও কোন প্রকার ট্যাক্স কিংবা আয় কর প্রধান করছে না বাংলাদেশ সরকারকে। অন্য দিকে বাংলাদেশ সরকারকে আয় কর এবং ট্যাক্স পরিশোধ করে দেশীয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে চলতে হয়। যার ফলে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো নানা ভাবে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো কাছে। বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালাতে অবশ্যই এ দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলো মত করে  বাংলাদেশ সরকারকে আয় কর এবং ট্যাক্স পরিশোধ করা উচিত। যদি বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বাংলাদেশ সরকারকে আয় কর এবং ট্যাক্স পরিশোধ না করে, তাদের বাণিজ্য কার্যক্রম পরিচালনা করে বাংলাদেশে, তাহলে এ দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সাথে বাংলাদেশ সরকারের বৈরী নীতিমালা প্রণয়ন করেছ বলে মনে করা হবে। যেহেতু বিশ্বের সব দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে; সেহেতু যে দেশে তাদের বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কার্যক্রম চলবে সেই দেশের সরকারকে আয় কর এবং ট্যাক্স পরিশোধ করা উচিত বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
এছাড়া বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তাদের দেশীয় কনটেন্ট দ্বারা পরিচালিত হয়, যার ফলে তাদের সংস্কৃতি আমাদের বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে নানা ভাবে ধ্বংসের সম্মুখে ফেলছে বলে মনে করেন অনেক বিশিষ্টজনে। এভাবে যদি বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তাদের দেশীয় সংস্কৃতি দ্বারা বাংলাদেশে তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করে তাহলে এক সময় গিয়ে আমাদের স্বদেশী সংস্কৃতি বলতে আর কিছু খুঁজে পাওয়া যাবে না। কথায় আছে, দেখে দেখে শিখা। বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দেখে দেখে অনেক বৈদেশিক সংস্কৃতি আমরা আয়ত্ত করে ফেলেছি। এবং সেগুলো দেশীয় সংস্কৃতির সাথে সংমিশ্রণ করে এক ধরনের সংকর জাতীয় সংস্কৃতির জন্য দিচ্ছি আমরা। এভাবে বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসন বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দ্বারা চলতে থাকলে কোন এক সময় গিয়ে আমরা আমাদের স্বদেশীয় সংস্কৃতি সম্পূর্ণরূপে ভুলে যাবো বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন অনেকে। আমরা দেখতে পাই  আমাদের পোশাক পরিচ্ছেদ সংস্কৃতিতে নানা ভাবে প্রভাব ফেলছে বিদেশি সংস্কৃতির পোশাক পরিচ্ছেদ। এছাড়া আমাদের চাল চলন কথা বার্তায় ব্যাপক ভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে বিদেশি সংস্কৃতি। আমাদের দেশে যদি ঐ সকল বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তাদের দেশীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন আমাদের দেশে প্রচার প্রচারণা না করতো তাহলে এত পরিবর্তন হত না আমাদের সংস্কৃতির।
নব্বইয়ের দশকে আমাদের দেশের মায়েরা নানা রকম গল্প শুনাতো তাদের ছেলেমেয়েদের ঘামানোর আগে। এখন আর এ সকল ঘুমপাড়ানি কেচ্ছাকাহিনী সংস্কৃতির চর্চা হয় না আমাদের দেশে। নব্বইয়ের দশকে আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা নানা ধরনের মাটির তৈরী খেলনা সামগ্রী ব্যবহার করে খেলাধুলা করতো। এখন আর তাহা দেখা যায় না। মাটির খেলনার পরিবর্তে বিদেশি সংস্কৃতি খেলনা সামগ্রী আমাদের ছেলেমেয়েদের হাতে চলে এসেছে। যার ফলে এদেশে একশ্রেণীর পেশাজীবি কামার কুমার আর এখন দেখা যায় না। এদেশে এখন আর চলে না এ দেশীয় খেলাধুলা। নব্বইয়ের দশকে এদেশে প্রত্যেক গ্রামে চলতো কাবাডি প্রতিযোগিতা, সন্ধ্যায় গুল্লাছুরুত খেলা, পলানটুকটুক খেলা, লাঠিবাড়ি খেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, বদন খেলা, ষোলোপাতি খেলা, বাঘবর্কী খেলা, রাতে চলতো জারিগান, কেচ্ছা, পুঁথি পাঠ, বিয়ে বাড়িতে দলবদ্ধ হয়ে গীতিগান ইত্যাদি কত কিছুই তো হারিয়ে গেছে আমাদের দেশ থেকে বিদেশি সংস্কৃতি আগ্রাসনে ফলে। এ সকল পরিবর্তনের পিছনে কিন্তু দায়ী বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর কনটেন্ট এবং তাদের বিজ্ঞাপন।
বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা করে এ দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলো চলতে গিয়ে তাদের অনুষ্ঠান কার্যক্রম পরিচালনা করতে না ধরনের পরিবর্তন আনছে। যার ফলে দেশীয় সংস্কৃতির হচ্ছে অপঘাত মৃত্যু। যদি বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো এদেশে চলতে না দেওয়া হয় তাহলে এ দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তাদের দেশীয় সংস্কৃতি দ্বারা পরিচালিত হতে পারবে। যার ফলে বিদেশি সংস্কৃতি আগ্রাসন অনেকটাই কমবে এবং দেশীয় সংস্কৃতি আবার প্রাণ ফিরে পাবে।
অনেকেই বলছে বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বন্ধ থাকলে, মানুষ স্যাটেলাইট টেলিভিশন দেখা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। কেন নিবে প্রশ্ন করা হলে অধিকাংশ ক্যাবল পরিচালনা কর্তৃপক্ষ বলছে, দর্শক তাদের  পছন্দমতো চ্যানেল খুঁজে পাচ্ছেন না বলে। বাস্তবিক পক্ষে কিন্তু তা হবে না। যখন বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো এ দেশীয় দর্শক খুঁজে পাবে না তখন তাঁরা বাধ্য হয়ে দেশীয় সংস্কৃতির টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দেখবে এবং দেশীয় সংস্কৃতির সাথে আবার পরিচিত হবে। এছাড়াও  এ দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তাদের সেবার মান উন্নত করার সুযোগ পাবে।
তাই দেশীয় সংস্কৃতি বাঁচাতে বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বন্ধ রাখা একান্ত কাম্য ।