ঢাকা ০২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

বাঘায় আম বিক্রয়ের টাকা তিন মাসেও জমা হয়নি স্কুল ফান্ডে

  • আপডেট টাইম : ০৪:৩৬:৫৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর ২০২১
  • / ২৩৭ ৫০০.০০০ বার পাঠক

রাজশাহী ব‍্যুরো।। রাজশাহীর বাঘায় মনিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের চলতি বছরের আম বিক্রয়ের টাকা স্কুল ফান্ডে জমা না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিদ‍্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির (এডহক ) সভাপতি কাফাতুল্লাহর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উত্থাপিত হয়।

জানা যায়, উপজেলার মনিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের চলতি বছরের আম ফসল (গাছের সংখ্যা-শতাধিক) গত ৩১ মে, উন্মুক্ত ডাকের মাধ্যমে বিক্রয়ের জন‍্য ঘোষনা দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ । সে মোতাবেক ডাকে ১০ জন আম ব‍্যবসায়ি অংশগ্রহণ করেন। উক্ত ডাকে সর্বোচ্চ ডাককারি ছিলেন স্থানীয় আফাজ উদ্দিন ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা, দ্বিতীয় ডাককারি ছিলেন মাইনুল ইসলাম ৩ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা এবং তৃতীয় ডাককারি ছিলেন আনিসুর রহমান ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু ডাকে কাঙ্ক্ষিত মূল‍্য না পাওয়ার অজুহাতে কমিটির সভাপতি ডাক বাতিল করে দেন এবং দ্বিতীয় দফায় ডাকের দিন পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে বলে জানান। এর পর কোন রেজুলেশন ছাড়াই প্রধান শিক্ষক বাবুল হোসেনের সঙ্গে যোগসাজষে সভাপতি বিদ‍্যালয়ের আম নিয়ম বহির্ভুতভাবে বিক্রয় শুরু করেন।
কিন্তু আম বিক্রয়ের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও বিদ‍্যালয়ের ফান্ডে এখনও টাকা জমা হয়নি ।
এ বিষয়ে গত সোমবার ( ৪ অক্টোবর ) বিদ্যালয় চলাকালীন সময় প্রধান শিক্ষক বাবুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আম বিক্রি করেছেন সভাপতি, তিনি টাকা জমা না দিলে আমার কি করার আছে। কত টাকার আম বিক্রয় হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সঠিক হিসাবটা সভাপতি আমাকে এখনও দেয়নি। তবে আমার জানা মতে প্রায় তিন লক্ষ টাকার মতো আম বিক্রয় হয়েছে।
এ বিষয়ে সভাপতির সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আম বিক্রয় করেছেন আমার চাচাতো ভাই। সে এখনও টাকা পরিশোধ না করাই টাকা জমা দেয়া হয়নি। তবে টাকা না পেলেও আমের টাকা আমি জমা দেব। কিন্তু বিগত ১২ বছরের আম বিক্রয়ের টাকা এবং প্রধান শিক্ষকসহ ৬ টি পদে নিয়োগ দানের মাধ্যমে অর্জিত টাকার হিসাবটাও আপনারা দেখবেন কোন খাতে কিভাবে ব‍্যয় করা হয়েছে। প্রতিষ্টানের আম ডাকের মাধ্যমে বিক্রয় না করে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে আম বিক্রয় করলেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ প্রতিবেদক কে বলেন, ডাকের মাধ্যমে আম বিক্রয়ের ঘোষনা দিলে সর্বোচ্চ ডাককারি আফাজ উদ্দিন অনেককেই ডাকে অংশগ্রহণ করতে বাধা প্রদান করেন। সর্বোচ্চ ডাককারি হিসেবে তার নিকট আম বিক্রয় করলে সে আমের টাকা না দিয়েই আম ভেঙে নিত। তাই তার নিকট আম বিক্রয় করা হয়নি। দ্বিতীয় দফায় ডাক কেন দিলেন না এমন প্রশ্নে প্রসঙ্গ এড়িয়ে সভাপতি বলেন, তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার আম বিক্রয় হয়েছে। সমস্ত টাকা জমা দিয়ে দেব, একটি টাকাও কম দেবনা।
এ বিষয়ে সর্বোচ্চ ডাককারি আফাজ উদ্দিন বলেন, স্কুলের আম বিক্রয়ের ডাকে অংশগ্রহণকারী সকলের মধ্যে আমি সর্বোচ্চ ডাককারি ছিলাম, সভাপতির পক্ষ থেকে অংশগ্রহণকারী মাইনুল ছিলেন দ্বিতীয় । সর্বোচ্চ মূ‍ল‍‍্যে ডাকার পরেও সভাপতি আমাকে আম না দিয়ে কোন কারন ছাড়াই ডাক বাতিল ঘোষনা করেন। পরে ডাক ছাড়াই সভাপতি নিজেই ঢাকায় আম বিক্রয় করেন। একটি প্রতিষ্টানের আম এভাবে বিক্রয় করার পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরব কেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।
এ ব‍্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কাসেম ওবায়েদ বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই এবং এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ কেউ করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব‍্যবস্থা নেব।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাঘায় আম বিক্রয়ের টাকা তিন মাসেও জমা হয়নি স্কুল ফান্ডে

আপডেট টাইম : ০৪:৩৬:৫৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর ২০২১

রাজশাহী ব‍্যুরো।। রাজশাহীর বাঘায় মনিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের চলতি বছরের আম বিক্রয়ের টাকা স্কুল ফান্ডে জমা না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিদ‍্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির (এডহক ) সভাপতি কাফাতুল্লাহর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উত্থাপিত হয়।

জানা যায়, উপজেলার মনিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের চলতি বছরের আম ফসল (গাছের সংখ্যা-শতাধিক) গত ৩১ মে, উন্মুক্ত ডাকের মাধ্যমে বিক্রয়ের জন‍্য ঘোষনা দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ । সে মোতাবেক ডাকে ১০ জন আম ব‍্যবসায়ি অংশগ্রহণ করেন। উক্ত ডাকে সর্বোচ্চ ডাককারি ছিলেন স্থানীয় আফাজ উদ্দিন ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা, দ্বিতীয় ডাককারি ছিলেন মাইনুল ইসলাম ৩ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা এবং তৃতীয় ডাককারি ছিলেন আনিসুর রহমান ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু ডাকে কাঙ্ক্ষিত মূল‍্য না পাওয়ার অজুহাতে কমিটির সভাপতি ডাক বাতিল করে দেন এবং দ্বিতীয় দফায় ডাকের দিন পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে বলে জানান। এর পর কোন রেজুলেশন ছাড়াই প্রধান শিক্ষক বাবুল হোসেনের সঙ্গে যোগসাজষে সভাপতি বিদ‍্যালয়ের আম নিয়ম বহির্ভুতভাবে বিক্রয় শুরু করেন।
কিন্তু আম বিক্রয়ের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও বিদ‍্যালয়ের ফান্ডে এখনও টাকা জমা হয়নি ।
এ বিষয়ে গত সোমবার ( ৪ অক্টোবর ) বিদ্যালয় চলাকালীন সময় প্রধান শিক্ষক বাবুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আম বিক্রি করেছেন সভাপতি, তিনি টাকা জমা না দিলে আমার কি করার আছে। কত টাকার আম বিক্রয় হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সঠিক হিসাবটা সভাপতি আমাকে এখনও দেয়নি। তবে আমার জানা মতে প্রায় তিন লক্ষ টাকার মতো আম বিক্রয় হয়েছে।
এ বিষয়ে সভাপতির সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আম বিক্রয় করেছেন আমার চাচাতো ভাই। সে এখনও টাকা পরিশোধ না করাই টাকা জমা দেয়া হয়নি। তবে টাকা না পেলেও আমের টাকা আমি জমা দেব। কিন্তু বিগত ১২ বছরের আম বিক্রয়ের টাকা এবং প্রধান শিক্ষকসহ ৬ টি পদে নিয়োগ দানের মাধ্যমে অর্জিত টাকার হিসাবটাও আপনারা দেখবেন কোন খাতে কিভাবে ব‍্যয় করা হয়েছে। প্রতিষ্টানের আম ডাকের মাধ্যমে বিক্রয় না করে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে আম বিক্রয় করলেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ প্রতিবেদক কে বলেন, ডাকের মাধ্যমে আম বিক্রয়ের ঘোষনা দিলে সর্বোচ্চ ডাককারি আফাজ উদ্দিন অনেককেই ডাকে অংশগ্রহণ করতে বাধা প্রদান করেন। সর্বোচ্চ ডাককারি হিসেবে তার নিকট আম বিক্রয় করলে সে আমের টাকা না দিয়েই আম ভেঙে নিত। তাই তার নিকট আম বিক্রয় করা হয়নি। দ্বিতীয় দফায় ডাক কেন দিলেন না এমন প্রশ্নে প্রসঙ্গ এড়িয়ে সভাপতি বলেন, তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার আম বিক্রয় হয়েছে। সমস্ত টাকা জমা দিয়ে দেব, একটি টাকাও কম দেবনা।
এ বিষয়ে সর্বোচ্চ ডাককারি আফাজ উদ্দিন বলেন, স্কুলের আম বিক্রয়ের ডাকে অংশগ্রহণকারী সকলের মধ্যে আমি সর্বোচ্চ ডাককারি ছিলাম, সভাপতির পক্ষ থেকে অংশগ্রহণকারী মাইনুল ছিলেন দ্বিতীয় । সর্বোচ্চ মূ‍ল‍‍্যে ডাকার পরেও সভাপতি আমাকে আম না দিয়ে কোন কারন ছাড়াই ডাক বাতিল ঘোষনা করেন। পরে ডাক ছাড়াই সভাপতি নিজেই ঢাকায় আম বিক্রয় করেন। একটি প্রতিষ্টানের আম এভাবে বিক্রয় করার পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরব কেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।
এ ব‍্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কাসেম ওবায়েদ বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই এবং এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ কেউ করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব‍্যবস্থা নেব।