ই-অরেঞ্জ মালিকসহ সহযোগী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা
- আপডেট টাইম : ০৯:১২:৩৭ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর ২০২১
- / ১৯২ ৫০০০.০ বার পাঠক
সময়ের অনুসন্ধানের।।
আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক ও পেছনের ব্যক্তিসহ সহযোগী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ এনে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সোমবার (৪ অক্টোবর) সিআইডির পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন বাদী হয়ে বনানী থানায় মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করেন। মামলায় ই-অরেঞ্জের কর্ণধার সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান, এর পেছনের ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানা, বিথী আকতার ও আমান উল্লাহ চৌধুরীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পাঁচ-ছয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
এছাড়াও মামলায় সহযোগী প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ ডটশ প, রেড অরেঞ্জ ইন্টারন্যাশনাল, অরেঞ্জ বাংলাদেশ লিমিটেড ও অল জোন নামের প্রতিষ্ঠানগুলোকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়, “২০১৯ সালের জুলাই শুরু থেকে ২০২১ সালের আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত পরস্পর যোগসাজসে সংঘবদ্ধভাবে অবৈধভাবে লাভবান হবার উদ্দেশ্যে ই-অরেঞ্জ ডট শপ নামে ই-কমার্স ব্যবসার নামে গ্রাহকদের পণ্যের ক্রয়াদেশ বাবদ অগ্রিম গৃহীত অর্থ হতে ব্যবসায়িক লেনদেনের বাইরে নগদ উত্তোলন ও ব্যাংক হিসাব স্থানাস্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং প্রতীয়মান হয়।”
আরও পড়ুন: আরব-বাংলা ব্যাংকের ডিএমডি গ্রেপ্তার
এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কয়েকটি অ্যাকাউন্ট পর্যালোচনা করে ছয়শ’ ৩৫ কোটি টাকা জমা এবং ছয়শ’ ৩০ কোটি টাকা উত্তোলনের তথ্য পেয়েছে সিআইডি। এছাড়া বর্তমানে পাঁচ কোটি টাকা স্থিতি রয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তা সোহেল রানা ব্যক্তিগতভাবে ই-অরেঞ্জের একটি ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ১৭টি চেকের মাধ্যমে দুই কোটি ৪৭ লাখ ৭৮ হাজার টাকা তুলেছেন। এছাড়াও ওই হিসাব থেকে অল জোন নামের হিসাবে ই-অরেঞ্জ শপের পণ্য সরবরাহ বন্ধ হওয়ার আগে ও পরে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত ২২ বারে ১৩৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ‘ট্রান্সফার’ হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
সহযোগী প্রতিষ্ঠান রেড অরেঞ্জ ইন্টারন্যাশনালের হিসাবে ৯৯ লাখ টাকা এবং অরেঞ্জ বাংলাদেশের হিসাবে ১৫ লাখ ১৮ হাজার টাকা সরাসরি স্থানান্তর করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করেছেন পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন।
এর বাইরে ২৬ জন গ্রাহকের সাড়ে আট কোটি টাকার পণ্য সময়মত সরবরাহ না করার বিষয়টিও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ২৭ জন ভুক্তভোগীর পক্ষে বাদী হয়ে গত ৩ অক্টোবর সোনিয়া মেহজাবিনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন গ্রাহক মো. নাসিম।