ঢাকা ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
পুলিশ প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তন হলেও এসআই মিজানের অসাধু নীতির পরিবর্তন হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ে নারীদের ভূমি অধিকার ও কৃষি ভূমি সংষ্কার বিষয়ক সমাবেশ কালিয়াকৈরে ধর্ষণের অভিযোগে বাড়ির মালিক গ্রেফতার পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত কঠিন সময়ে কীভাবে পাশে ছিলেন স্ত্রী, জানালেন কোহলি ইতালিতে জি৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনার তালিকায় নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে আরো যা ‘পদক্ষেপ’ নিতে বললেন নূরুল কবির মেগা মানডে’: ৩ কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র যাত্রাবাড়ী অর্থের লোভ দেখিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থানের’ ব্যর্থ চেষ্টা, নেপথ্যে কারা? ইমরান খানের হাজারো সমর্থক গ্রেপ্তার

গণমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে” এমপি রিমন

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৮:৫৩ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২৫৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

বরগুনা সংবাদদাতা।।

গণমাধ্যমে অসত্য তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ করেছেন বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন। বুধবার দুপুরে বরগুনার সার্কিট হাউস হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাংসদ শওকত হাসানুর রহমান রিমন বলেন, জনৈক নজরুল ইসলাম নামের একজনকে চড়-থাপ্পড় দেয়ার অভিযোগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর কয়েকটি জাতীয় দৈনিকের পাশাপাশি একটি টিভি চ্যানেলে সংবাদ প্রচারিত হয়। এ ঘটনা আদৌ সত্য নয় দাবি করে তিনি বলেন, নজরুল আমার গাড়ি বহরকে সাইড না দেয়ার কারন জানতে চাই। তখন তিনি তার ভুল বুঝতে পেরে আমার নিকট ক্ষমা চান। তখন আমি নজরুলকে ধাক্কা দিয়ে বলি- এতে ক্ষমা চাওয়ার কিছুই নেই।

তিনি বলেন, নজরুল নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা দাবি করে এ ঘটনায় আমাকে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য নানা ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। অথচ নজরুল কোনদিন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। সে পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণকেন্দ্রের ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের ১০০ নম্বর সদস্য। এ ঘটনায় নিউজ প্রকাশের ক্ষেত্রে এই সাংসদের বক্তব্য নেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০১৭ সালে পাথরঘাটা হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার মোঃ শাহজাহান পারভীন কর্তব্য পালন না করে হিসাবরক্ষকের সহযোগিতায় খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে বেতন তুলে নেন। এ ঘটনায় আমি হিসাবরক্ষকের সঙ্গে রাগ করেছিলাম। সামান্য রাগ করার কারণে আমার বিরুদ্ধে ওই হিসাররক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা আদৌ সত্য ছিল না। এরপর হিসাবরক্ষককে রাগ করার কারনে ওই চিকিৎসক সরকারি কোষাগারে ছয় লাখ ৫৩ টাকা জমা দেন। এছাড়াও আমার পাথরঘাটা থানায় ইদ্রিস চৌধুরী নামের একজন মারধরের অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ এ ঘটনার কোনো সত্যতা পায়নি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দুই প্রকৌশলীকে মারধর করে পাথরঘাটায় সড়কের কাজ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারিত হয়। অথচ এই নিউজের কোনো সত্যতা ছিল না। নিম্নমানের জন্য সড়কের কাজ বন্ধ করে দেয় স্থানীয়রা। এ ঘটনায় ভুল সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

এক সংখ্যালঘু পরিবারকে নির্যাতনের অভিযোগে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, পাথরঘাটায় চায়না প্রজেক্টে নির্মাণাধীন একটি সুইচ গেটের জমিতে প্রিয়াঙ্কা মিত্র নামের এক নারী একটি মন্দির স্থাপন করেন। এ মন্দিরটির কারণে সুইচ গেট নির্মাণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। মন্দিরটি স্থানান্তর করার জন্য চায়না প্রজেক্ট প্রিয়াংকা মিত্রকে ক্ষতিপূরণ দিতে চেয়েছিল। আমিও ক্ষতিপূরণ নিয়ে সরকারি জমি ছেড়ে দিতে বলেছিলাম। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা আমার কথা শোনেনি। এখনো সেই জমিতে তার মন্দির আছে। অথচ আমাকে বলা হচ্ছে আমি তাকে নির্যাতন করেছে। এভাবে একের পর এক ভুল এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

এসব নিউজে এই সংসদের কোনো বক্তব্য নেওয়া হয়নি অভিযোগ করে তিনি বলেন, পরবর্তীতে আমার বিরুদ্ধে যদি কোন অভিযোগ হলে তাহলে যেন আমার বক্তব্য নেয়া হয়।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আবু জাফর মোঃ সালেহ বলেন, সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠা প্রতিটি ঘটনাতেই সংবাদ প্রকাশের আগে তার বক্তব্য নেয়া হয়েছে। আবার কখনো কখনো তাকে ফোন করে পাওয়া যায়নি। তার বক্তব্য না নিয়ে সংবাদ প্রকাশের যে অভিযোগ তিনি করেছেন তা আদৌ সঠিক নয়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গণমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে” এমপি রিমন

আপডেট টাইম : ১০:৫৮:৫৩ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

বরগুনা সংবাদদাতা।।

গণমাধ্যমে অসত্য তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ করেছেন বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন। বুধবার দুপুরে বরগুনার সার্কিট হাউস হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাংসদ শওকত হাসানুর রহমান রিমন বলেন, জনৈক নজরুল ইসলাম নামের একজনকে চড়-থাপ্পড় দেয়ার অভিযোগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর কয়েকটি জাতীয় দৈনিকের পাশাপাশি একটি টিভি চ্যানেলে সংবাদ প্রচারিত হয়। এ ঘটনা আদৌ সত্য নয় দাবি করে তিনি বলেন, নজরুল আমার গাড়ি বহরকে সাইড না দেয়ার কারন জানতে চাই। তখন তিনি তার ভুল বুঝতে পেরে আমার নিকট ক্ষমা চান। তখন আমি নজরুলকে ধাক্কা দিয়ে বলি- এতে ক্ষমা চাওয়ার কিছুই নেই।

তিনি বলেন, নজরুল নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা দাবি করে এ ঘটনায় আমাকে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য নানা ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। অথচ নজরুল কোনদিন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। সে পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণকেন্দ্রের ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের ১০০ নম্বর সদস্য। এ ঘটনায় নিউজ প্রকাশের ক্ষেত্রে এই সাংসদের বক্তব্য নেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০১৭ সালে পাথরঘাটা হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার মোঃ শাহজাহান পারভীন কর্তব্য পালন না করে হিসাবরক্ষকের সহযোগিতায় খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে বেতন তুলে নেন। এ ঘটনায় আমি হিসাবরক্ষকের সঙ্গে রাগ করেছিলাম। সামান্য রাগ করার কারণে আমার বিরুদ্ধে ওই হিসাররক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা আদৌ সত্য ছিল না। এরপর হিসাবরক্ষককে রাগ করার কারনে ওই চিকিৎসক সরকারি কোষাগারে ছয় লাখ ৫৩ টাকা জমা দেন। এছাড়াও আমার পাথরঘাটা থানায় ইদ্রিস চৌধুরী নামের একজন মারধরের অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ এ ঘটনার কোনো সত্যতা পায়নি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দুই প্রকৌশলীকে মারধর করে পাথরঘাটায় সড়কের কাজ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারিত হয়। অথচ এই নিউজের কোনো সত্যতা ছিল না। নিম্নমানের জন্য সড়কের কাজ বন্ধ করে দেয় স্থানীয়রা। এ ঘটনায় ভুল সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

এক সংখ্যালঘু পরিবারকে নির্যাতনের অভিযোগে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, পাথরঘাটায় চায়না প্রজেক্টে নির্মাণাধীন একটি সুইচ গেটের জমিতে প্রিয়াঙ্কা মিত্র নামের এক নারী একটি মন্দির স্থাপন করেন। এ মন্দিরটির কারণে সুইচ গেট নির্মাণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। মন্দিরটি স্থানান্তর করার জন্য চায়না প্রজেক্ট প্রিয়াংকা মিত্রকে ক্ষতিপূরণ দিতে চেয়েছিল। আমিও ক্ষতিপূরণ নিয়ে সরকারি জমি ছেড়ে দিতে বলেছিলাম। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা আমার কথা শোনেনি। এখনো সেই জমিতে তার মন্দির আছে। অথচ আমাকে বলা হচ্ছে আমি তাকে নির্যাতন করেছে। এভাবে একের পর এক ভুল এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

এসব নিউজে এই সংসদের কোনো বক্তব্য নেওয়া হয়নি অভিযোগ করে তিনি বলেন, পরবর্তীতে আমার বিরুদ্ধে যদি কোন অভিযোগ হলে তাহলে যেন আমার বক্তব্য নেয়া হয়।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আবু জাফর মোঃ সালেহ বলেন, সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠা প্রতিটি ঘটনাতেই সংবাদ প্রকাশের আগে তার বক্তব্য নেয়া হয়েছে। আবার কখনো কখনো তাকে ফোন করে পাওয়া যায়নি। তার বক্তব্য না নিয়ে সংবাদ প্রকাশের যে অভিযোগ তিনি করেছেন তা আদৌ সঠিক নয়।