পাথরঘাটায় প্রবাসীর স্ত্রীর পরকীয়ার কারনে ভেঙে যাচ্ছে স্বামীর স্বপ্ন।
- আপডেট টাইম : ০৩:৪০:৪৩ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ৩২৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
বরগুনা নিজস্ব প্রতিবেদক।।
পাথরঘাটা উপজেলার রায়হাপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের কড়ইতলা গ্রামের মোশারফ হাওলাদারের ছেলে প্রবাসী মহিউদ্দিনের স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে ভেঙে যেতে চলছে তার ছোট সুখের সংসার। গত ২৩ শে সেপ্টেম্বর আটটার সময় মহিউদ্দিনের স্ত্রী মনি বেগম শ্বশুর-শাশুড়ির অনুপস্থিতিতে খালি বাসা পেয়ে তার প্রেমিক বাসায় আসলে তার সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হলে তাদের কাছে রেখে যাওয়া প্রতিববেশীর (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বাসার চাবি চাইতে গেলে তিনি দেখতে পান সম্পূর্ণ ঘরের ভেতরের বাতি বন্ধ অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং পাশের রুমে মোবাইল ফোনে গেইম খেলছে তার দুটি সন্তান। অন্য রুমে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে তার স্ত্রী মনি বেগম রং-তামাশায় ব্যস্ত এমন দৃশ্য প্রতিবেশী দেখতে পেয়ে বাসার দরজা ও জানালা খুলতে বলেন এবং ভেতরে বাতি জ্বালাতে বলেন কিন্তু মনি বেগম ইহার কোনটাই না করে জানালার ফাঁকা দিয়ে প্রতিবেশীর রেখে যাওয়া চাবিটি দিয়ে দেন ততক্ষণে তাদের কর্মকান্ড প্রতিবেশী দেখতে পান বলেই লাইট জ্বালানো ও দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানায় মনি বেগম। এমত অবস্থায় প্রতিবেশী চিৎকার করলে মনি বেগম তার পরকীয়া প্রেমিককে পেছনের দরজা থেকে পালিয়ে যেতে সুযোগ করে দেয় দরজাটি ছিল শক্তভাবে বাধা এবং মনি বেগম ভেবেছিলেন পেছনের দরজা খুলে পালিয়ে গেছে এই ভেবে মনি বেগম পরবর্তীতে সামনের দরজা খুলে দেয় কিন্তু কোনভাবেই তাৎক্ষণিক তার প্রেমিক পেছনের দরজা খুলতে না পারায় সামনের দরজা দিয়ে প্রতিবেশিকে ধাক্কা ও কিল ঘুষি মেরে পালিয়ে যেতে চাইলে প্রতিবেশি চিৎকার করলে বাড়ির অন্য প্রতিবেশিরাও এগিয়ে আসলে উক্ত প্রেমিক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় এবং অন্য প্রতিবেশিরাও প্রেমিককে দেখতে পেয়ে দাওয়া শুরু করেন। এবং শেষ পর্যন্ত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। মনি বেগমের শশুর শাশুড়ি বাড়ির সামান্য দূরে তাদের একটি চায়ের দোকান রয়েছে সেখানে তারা তাদের কাজে ব্যস্ত ছিলেন, এই সুযোগেই মনি বেগম প্রায় সময়ই তার পরকীয়া প্রেমিককে ঘরে এনে এসমস্ত কর্মকাণ্ড করতেন। এর পূর্বেও একাধিকবার শ্বশুর ও দেবরের হাতে এ ধরনের কাণ্ডে ধরা খেয়েছে বলে তার শ্বশুর জানান, মান-সম্মানের ভয়ে তাহারা কাউকে কিছু বলেননি। উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মনি বেগমের বাবা কে ওই রাতেই মোবাইল ফোনে জানালে তিনি তার ভাগ্নে রাসেলকে নিয়ে উপস্থিত হলে উক্ত এলাকার ইউপি সদস্য ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের খবর দিলে তারা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে এবং মনি বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মনি বেগম চোর ঘরে ঢুকেছে বলে ব্যাপারটি এড়িয়ে যান।উপস্থিত ইউপি সদস্য ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনার সত্যতা পেয়ে মনি বেগমের স্বামী সৌদি প্রবাসী মহিউদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তার সম্মতি ক্রমে মনি বেগমের বাবা জলিল ও ফুফাতো ভাই রাসেলের হাতে সাদা কাগজে উক্ত ঘটনার সামান্য বিবরনী লিখে তাদের ইউপি সদস্য সহ উভয় পক্ষের স্বাক্ষর রেখে তাদের দুটি সন্তান সহ তুলে দেয়া হয়,স্বামী মহিউদ্দিন দেশে ফিরলে চুড়ান্ত ফয়সালা হবে বলে কাগজে উল্লেখ করা হয়। এদিকে মহিউদ্দিনের একটি পুত্র সন্তান ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের মায়ায় সৌদি আরবের চাকরি ছেড়ে দেশে আসতে চায় বলে তার বাবা জানান,সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য মহিউদ্দিন ৪,৫ লাখ টাকা ধার কর্য করেন সেগুলোও এখন পর্যন্ত পরিশোধ করতে পারেননি বলে তার মা বাবা জানান।দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলে স্ত্রীর পরকীয়ার কারনে এরকম শত শত মহিউদ্দিনের সুখের সংসার ও বেচে থাকার অবলম্বন শেষ হয়ে যাচ্ছে।
ভাগ্যের এই নির্মম পরিহাসের শেষ কবে হবে? আর কতো রেমিট্যান্স যোদ্ধারা স্ত্রীর কারণে সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসবে? এর কি কোনো সমাধান নেই?