ঢাকা ১১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
যাদবপুর কেন্দ্রের তৃনমূল দলের প্রার্থী শাওনি ঘোষের হরে প্রচারে স্পিকার বিমান ব্যানার্জী ইবিতে কোটি টাকা ব্যয়েও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিবহন সেবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন- মঠবাড়িয়া দুই চেয়াররম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত-৫ : গ্রেপ্তার-৫ টাঙ্গাইল জেলা গোপালপুর উপজেলা গোপালপুর পৌর এলাকা হাটবৈরান গ্রামে বেলা তিনটার দিকে স্বামীর হাতে বউ খুন ফুলবাড়ীতে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহের উদ্ভোদন পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ পদে ১০জন প্রার্থী ব্যপক প্রচার-প্রচারণায় মুখর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২১ মে জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পির মোটরসাইকেলের গনসংযোগ জনগণের ব্যাপক সাড়া জামালপুরে ধান কাটার মৌসুম শুরু র‌্যাব-১২, অভিযানে সিরাজগঞ্জে ৫৪ গ্রাম হেরোইনসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

নাটোর লালপুরে ইমো চক্রের সদস্যরা প্রবাসীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা বানাচ্ছে স্বর্গরাজ্য

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫০:১২ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৩৫৯ ০.০০০ বার পাঠক

বিশেষ প্রতিনিধি নাটোর থেকে।।

লালপুরের বিলমারিয়া ইউনিয়নে একটি চক্র অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। অনেকে গড়ে তুলছেন আলিশান বাড়ি ।ফেসবুল ইমোতে ভুয়া আইডি খুলে সুন্দরী মেয়েদের ছবি ব্যবহার করে অনেকে গড়ে তুলছেন আলিশান বাড়ি ।
বনে গেছেন ককোটি পতি। তবে পুলিশ বলছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ কারী না পাওয়ায় এ পর্যন্ত ২৮ জনকে গ্রেফতার ও পর্ণগ্রাফী মামলায় চালান দেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যভস্থা নিতে। লালপুর – নওপড়া সড়কের নাগশোষা জামে মসজিদ সংলগ্ন কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত একটি বাড়ি চোখে পড়ে , বাড়ির মালিকের দৃশ্যমান কোন কর্ম নেই , নাই কোন জায়গা জমি । সেই বাড়ির মালিক সিরাজুল ইসলাম পাকার কথা প্রায় শতাধিক যুবক উঠাবসা করে
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের র গন্ডি পার হয়েছে কিনা সন্দেহ থাকলেও ইমো হ্যাকের গডফাদার হিসেবে সহজেই পরিচিতি লাভ করেছে। মহারাজপুরের রাজমিস্ত্রি মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে অপু প্রাইমারির গন্ডি পেরিয়ে মাধ্যমিকের পা রেখেছিল বটে, সেই ছেলেটি যে মোটরসাইকেল নিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় তার মুল্য প্রায় তিন লক্ষ টাকা ।
এরকম গাড়ি আরো দুজন কে কিনে দিয়েছে তার কাজের সহযোগিতার জন্য । ইমু হ্যাকার হিসেবে থানার নোটিশ বোর্ডে তার ছবি টাঙ্গানো হলেও এখন আর চোখে পড়ে না। অপুর বাবার বাড়ি করার মত জায়গা না থাকলেও জায়গা কিনে বিল্ডিং বাড়ি করেছে । বিলমাড়িয়া বাজারের পশ্ধিসঢ়;ঢম পাশে গত কোরবানির ঈদের আগে ৫ – ৭ লাখ টাকা জামা কাপড় তুলে ভাই ভাই বস্ত্র বিতান নামে দোকান ঘর চালু করা হয় , দোকানের সাইনবোর্ডে হ্যাকার গ্রুপের সক্রিয় সদস্য হিটলারের নাম প্রেপাইটার হিসেবে নাম থাকলেও আরেক ইমু হ্যাকার দিয়ার শংকরপুর গ্রামের রিফাজের ছেলে সম্রাট শেয়াারে রয়েছে ।
তবে র‌্যাবের অভিষানে অনেকে আটক হওয়ার পর দোকানটি বন্ধ রয়েছে । স্থানীরা জানান , ২০১৭ সালের দিকে লালপুরের বিলমাড়িয়া এলাকায় ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে একটি কোম্পানির মোবাইল ফোন দিয়ে মাস্তি মাধ্যম ( ছেলে কথা বললে নারীকণ্ঠ হয়ে যায় ) কন্ঠ পরিবর্তন করে নারী কন্ঠে ফোন সেক্স , ইমো সেক্স , ভিডিও সেক্স মাধ্যমে প্রবাসীর যুবকদেরকে কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া শুরু করে একটি সঙ্ঘবদ্ধ প্রতারক দল। এ চক্রটিতে মেধাবী ছাত্ররা জড়িয়ে পড়ে।
২০১৭. সালের সেপ্টেম্বরে নাটোরের ডিবির তৎকালীন ওসি আব্দুল হাইয়ের নেতৃত্বে ১১ জনকে আটক করা হয় । এরপর থেকেই পুলিশের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ প্রক্রিয়া শুরু হয় ,। আস্তে আস্তে হ্যাকারদের দৌরাত্ম্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার একজন ব্যক্তি মহারাজ পুর গ্রামের ২৫ জন ইমো হ্যাকারের নাম ও অর্জিত টাকার পরিমাণ সম্পর্কে ধারনা দিতে চেষ্টা করেছেন।

তারা জানান, কমপেক্ষ ২৫ জন ইমো হ্যাকার এখনো সক্রিয় রযেছে। বিলমারিয়া এলাকায় কমপেক্ষ ২৫ জনের একটি ইদৃশ্যমান তেমন আয় না থকালেও তারা কোটি টাকা থেকে ১০ লাক টাকার মালিক। শুধু বিলমারিয়া নয় লালপুরের মোহরকয়া , চকবাদকয়া , নওপাড়া , গন্ডবিল , দুড়দুড়িয়া, মোমিনপুর সহ লালপুর উপজেলার পার্শ্ববর্তী রাজশাহী বাঘা উপজেলার সুলতানপুর , চাঁদপুর এলাকায় রয়েছে হ্যাকারদের উপদ্রব।স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশকে ম্যানেজ করেই চলছে হ্যাকারদের রমরমা ব্যাবসা।

তবে এসব অবিযোগ অস্বীকার করে সিরাজুল ইসলাম বলেন, লোকের ভাল মানুষে দেখতে পায়না। তাই আষাঢে গল্প বানায় । বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোমিনুল ইসলাম বলেন , হ্যাকারের উপদ্রব থেকে আমরাও মুক্তি পেতে চাই , এমন জঘন্য কাজে অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাও জড়িত থাকে। দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান বলেন , ইমো হ্যাকারদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ফজলুর রহমান বলেন, বিলমারিয়া এলাকায় ইমো হ্যাকারদের বিরুদ্ধে লালপুর
থানায় কেউ কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেননি। পুলিশ বিভিন্ধসঢ়; সময়ে অভিযান চালিয়ে ২৭ /২৮ জনকে আটক করেছে। কিন্তু কোন অভিযোগ কারী না থাকায় তাদের মোবাইলে পাওয়া পর্ণ এবং আলামত দেখে পর্ণগ্রাফি আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো জাননান, ইমোচক্রের এই প্রতারণা বন্ধে পুলিশ সক্রিয় রয়েছে।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যাদবপুর কেন্দ্রের তৃনমূল দলের প্রার্থী শাওনি ঘোষের হরে প্রচারে স্পিকার বিমান ব্যানার্জী

নাটোর লালপুরে ইমো চক্রের সদস্যরা প্রবাসীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা বানাচ্ছে স্বর্গরাজ্য

আপডেট টাইম : ০৮:৫০:১২ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি নাটোর থেকে।।

লালপুরের বিলমারিয়া ইউনিয়নে একটি চক্র অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। অনেকে গড়ে তুলছেন আলিশান বাড়ি ।ফেসবুল ইমোতে ভুয়া আইডি খুলে সুন্দরী মেয়েদের ছবি ব্যবহার করে অনেকে গড়ে তুলছেন আলিশান বাড়ি ।
বনে গেছেন ককোটি পতি। তবে পুলিশ বলছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ কারী না পাওয়ায় এ পর্যন্ত ২৮ জনকে গ্রেফতার ও পর্ণগ্রাফী মামলায় চালান দেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যভস্থা নিতে। লালপুর – নওপড়া সড়কের নাগশোষা জামে মসজিদ সংলগ্ন কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত একটি বাড়ি চোখে পড়ে , বাড়ির মালিকের দৃশ্যমান কোন কর্ম নেই , নাই কোন জায়গা জমি । সেই বাড়ির মালিক সিরাজুল ইসলাম পাকার কথা প্রায় শতাধিক যুবক উঠাবসা করে
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের র গন্ডি পার হয়েছে কিনা সন্দেহ থাকলেও ইমো হ্যাকের গডফাদার হিসেবে সহজেই পরিচিতি লাভ করেছে। মহারাজপুরের রাজমিস্ত্রি মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে অপু প্রাইমারির গন্ডি পেরিয়ে মাধ্যমিকের পা রেখেছিল বটে, সেই ছেলেটি যে মোটরসাইকেল নিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় তার মুল্য প্রায় তিন লক্ষ টাকা ।
এরকম গাড়ি আরো দুজন কে কিনে দিয়েছে তার কাজের সহযোগিতার জন্য । ইমু হ্যাকার হিসেবে থানার নোটিশ বোর্ডে তার ছবি টাঙ্গানো হলেও এখন আর চোখে পড়ে না। অপুর বাবার বাড়ি করার মত জায়গা না থাকলেও জায়গা কিনে বিল্ডিং বাড়ি করেছে । বিলমাড়িয়া বাজারের পশ্ধিসঢ়;ঢম পাশে গত কোরবানির ঈদের আগে ৫ – ৭ লাখ টাকা জামা কাপড় তুলে ভাই ভাই বস্ত্র বিতান নামে দোকান ঘর চালু করা হয় , দোকানের সাইনবোর্ডে হ্যাকার গ্রুপের সক্রিয় সদস্য হিটলারের নাম প্রেপাইটার হিসেবে নাম থাকলেও আরেক ইমু হ্যাকার দিয়ার শংকরপুর গ্রামের রিফাজের ছেলে সম্রাট শেয়াারে রয়েছে ।
তবে র‌্যাবের অভিষানে অনেকে আটক হওয়ার পর দোকানটি বন্ধ রয়েছে । স্থানীরা জানান , ২০১৭ সালের দিকে লালপুরের বিলমাড়িয়া এলাকায় ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে একটি কোম্পানির মোবাইল ফোন দিয়ে মাস্তি মাধ্যম ( ছেলে কথা বললে নারীকণ্ঠ হয়ে যায় ) কন্ঠ পরিবর্তন করে নারী কন্ঠে ফোন সেক্স , ইমো সেক্স , ভিডিও সেক্স মাধ্যমে প্রবাসীর যুবকদেরকে কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া শুরু করে একটি সঙ্ঘবদ্ধ প্রতারক দল। এ চক্রটিতে মেধাবী ছাত্ররা জড়িয়ে পড়ে।
২০১৭. সালের সেপ্টেম্বরে নাটোরের ডিবির তৎকালীন ওসি আব্দুল হাইয়ের নেতৃত্বে ১১ জনকে আটক করা হয় । এরপর থেকেই পুলিশের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ প্রক্রিয়া শুরু হয় ,। আস্তে আস্তে হ্যাকারদের দৌরাত্ম্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার একজন ব্যক্তি মহারাজ পুর গ্রামের ২৫ জন ইমো হ্যাকারের নাম ও অর্জিত টাকার পরিমাণ সম্পর্কে ধারনা দিতে চেষ্টা করেছেন।

তারা জানান, কমপেক্ষ ২৫ জন ইমো হ্যাকার এখনো সক্রিয় রযেছে। বিলমারিয়া এলাকায় কমপেক্ষ ২৫ জনের একটি ইদৃশ্যমান তেমন আয় না থকালেও তারা কোটি টাকা থেকে ১০ লাক টাকার মালিক। শুধু বিলমারিয়া নয় লালপুরের মোহরকয়া , চকবাদকয়া , নওপাড়া , গন্ডবিল , দুড়দুড়িয়া, মোমিনপুর সহ লালপুর উপজেলার পার্শ্ববর্তী রাজশাহী বাঘা উপজেলার সুলতানপুর , চাঁদপুর এলাকায় রয়েছে হ্যাকারদের উপদ্রব।স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশকে ম্যানেজ করেই চলছে হ্যাকারদের রমরমা ব্যাবসা।

তবে এসব অবিযোগ অস্বীকার করে সিরাজুল ইসলাম বলেন, লোকের ভাল মানুষে দেখতে পায়না। তাই আষাঢে গল্প বানায় । বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোমিনুল ইসলাম বলেন , হ্যাকারের উপদ্রব থেকে আমরাও মুক্তি পেতে চাই , এমন জঘন্য কাজে অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাও জড়িত থাকে। দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান বলেন , ইমো হ্যাকারদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ফজলুর রহমান বলেন, বিলমারিয়া এলাকায় ইমো হ্যাকারদের বিরুদ্ধে লালপুর
থানায় কেউ কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেননি। পুলিশ বিভিন্ধসঢ়; সময়ে অভিযান চালিয়ে ২৭ /২৮ জনকে আটক করেছে। কিন্তু কোন অভিযোগ কারী না থাকায় তাদের মোবাইলে পাওয়া পর্ণ এবং আলামত দেখে পর্ণগ্রাফি আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো জাননান, ইমোচক্রের এই প্রতারণা বন্ধে পুলিশ সক্রিয় রয়েছে।