ঢাকা ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
নাহিদসহ তিন জন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে আহতদের দেখতে ঢামেক হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার সিলেট: ১৮-২৩ জুলাইয়ের ঘটনাপ্রবাহ রক্তাক্ত জুলাই থেকে কি কোনো শিক্ষা হবে? সব দল নিয়ে জাতীয় ঐক্যের মাঠে নামছেন বিএনপি শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে দেশের মানুষ: নৌবাহিনী প্রধান মেট্রোরেল স্টেশনের ধ্বংসলীলা দেখে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী রুশ এমআই-২৮ সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত মস্কোর দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত কালুগা অঞ্চলে আজ বৃহস্পতিবার হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয় কে হামলা চালাবে—বিএনপির নীল নকশা আগেই প্রস্তুত ছিল: কাদের

অবৈধ গ্যাস সরবরাহ চক্রের ১৭ সদস্য গ্রেফতার

  • আপডেট টাইম : ০৪:২৪:৫১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২৯২ ৫০০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

ফেনীতে সিএনজি ফিলিং স্টেশন থেকে অবৈধভাবে গ্যাস সরবরাহ এবং ভ্রাম্যমাণ কাভার্ডভ্যানে করে বিক্রয়কারী চক্রের ১৭ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লার র‌্যাব-১১ সিপিসি-২। রোববার ফেনী সদরের দেবীপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৪০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ৬০২টি সিলিন্ডারসহ ৫টি কাভার্ডভ্যান।

রোববার বিকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ফেনী সদরের উত্তর শর্শদী খানেরবাড়ি গ্রামের আবু তাহের, ছাগলনাইয়ার পশ্চিম সবুগ্রাম গ্রামের সাইদুর রহমান, আধার মানিক গ্রামের সাইদুল ইসলাম রনি, লক্ষ্মীপুর গ্রামের গোপী, হরি গ্রামের শিবু, যাদব কুমার দাস, লক্ষ্মীপুরের রামগতির শিক্ষাগ্রাম গ্রামের মো. হামীমসহ ১৭ জন।

মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, রোববার ভোরে ফেনী সদরের দেবীপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মেসার্স প্রাইম সিএনজি ফিলিং স্টেশন লি. হতে সিলিন্ডারে অবৈধভাবে সিএনজি গ্যাস সরবরাহের সময় ওই ১৭ জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। ওই চক্রটি মূলত সিএনজি ফিলিং স্টেশনের আড়ালে সরাসরি গাড়িতে জ্বালানি সরবরাহ করার পাশাপাশি বিশেষ প্রক্রিয়ায় কাভার্ডভ্যানের ভেতর সিলিন্ডার স্থাপন করে মিটার ব্যতীত মূল গ্যাস লাইন থেকে গ্যাস মজুদ করে। এরপর তা অবৈধভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে বিক্রি করে। বিশেষ করে যেসব এলাকায় গ্যাস সংযোগ নেই, সেসব এলাকার বিভিন্ন কারখানায় এই গ্যাস চড়া মূল্যে বিক্রি করতো তারা।

তিনি আরও জানান, চক্রটি গ্যাস সংগ্রহ করে বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ সিএনজি স্টেশন স্থাপন করে প্রতি ঘনফুট গ্যাস প্রচলিত বাজার মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে বিক্রি করে আসছিল। এভাবে অবৈধভাবে গ্যাস চোরাই পথে সরবরাহ ও বিক্রির সময় বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। পাশাপাশি মিটার ব্যতীত এভাবে গ্যাস বিক্রির ফলে সরকার বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অবৈধ গ্যাস সরবরাহ চক্রের ১৭ সদস্য গ্রেফতার

আপডেট টাইম : ০৪:২৪:৫১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

ফেনীতে সিএনজি ফিলিং স্টেশন থেকে অবৈধভাবে গ্যাস সরবরাহ এবং ভ্রাম্যমাণ কাভার্ডভ্যানে করে বিক্রয়কারী চক্রের ১৭ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লার র‌্যাব-১১ সিপিসি-২। রোববার ফেনী সদরের দেবীপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৪০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ৬০২টি সিলিন্ডারসহ ৫টি কাভার্ডভ্যান।

রোববার বিকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ফেনী সদরের উত্তর শর্শদী খানেরবাড়ি গ্রামের আবু তাহের, ছাগলনাইয়ার পশ্চিম সবুগ্রাম গ্রামের সাইদুর রহমান, আধার মানিক গ্রামের সাইদুল ইসলাম রনি, লক্ষ্মীপুর গ্রামের গোপী, হরি গ্রামের শিবু, যাদব কুমার দাস, লক্ষ্মীপুরের রামগতির শিক্ষাগ্রাম গ্রামের মো. হামীমসহ ১৭ জন।

মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, রোববার ভোরে ফেনী সদরের দেবীপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মেসার্স প্রাইম সিএনজি ফিলিং স্টেশন লি. হতে সিলিন্ডারে অবৈধভাবে সিএনজি গ্যাস সরবরাহের সময় ওই ১৭ জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। ওই চক্রটি মূলত সিএনজি ফিলিং স্টেশনের আড়ালে সরাসরি গাড়িতে জ্বালানি সরবরাহ করার পাশাপাশি বিশেষ প্রক্রিয়ায় কাভার্ডভ্যানের ভেতর সিলিন্ডার স্থাপন করে মিটার ব্যতীত মূল গ্যাস লাইন থেকে গ্যাস মজুদ করে। এরপর তা অবৈধভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে বিক্রি করে। বিশেষ করে যেসব এলাকায় গ্যাস সংযোগ নেই, সেসব এলাকার বিভিন্ন কারখানায় এই গ্যাস চড়া মূল্যে বিক্রি করতো তারা।

তিনি আরও জানান, চক্রটি গ্যাস সংগ্রহ করে বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ সিএনজি স্টেশন স্থাপন করে প্রতি ঘনফুট গ্যাস প্রচলিত বাজার মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে বিক্রি করে আসছিল। এভাবে অবৈধভাবে গ্যাস চোরাই পথে সরবরাহ ও বিক্রির সময় বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। পাশাপাশি মিটার ব্যতীত এভাবে গ্যাস বিক্রির ফলে সরকার বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।